শিরোনামঃ

আশরাফ ফখরুল বৈঠকের কথা অস্বীকার

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বৈঠক করেছেন বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারিত হলেও মির্জা ফখরুল তা অস্বীকার করেছেন। 2 oleরাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে ফেরার পথে সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরলে তিনি বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বলেন ‍গোটা দেশবাসী বৈঠকের আশা করলেও তেমন কিছু ঘটেনি কোন বৈঠক হয়নি। খবরটি বিভ্রান্তিমুলক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে বক্তব্য দিয়ে সেখান থেকে বনানীর উদ্দেশে রওনা হন মির্জা ফখরুল। সেখানে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফউদ্দিন নাজিমের বাসায় বৈঠক হয় প্রায় ৪৫ মিনিট।
বৈঠক শেষে রাত ৮টার প্রথমে বের হন সৈয়দ আশরাফ। তিনি বের হওয়ার কিছু সময় পরে মির্জা ফখরুল বের হয়ে সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান।

এদিকে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এসময় তিনি মির্জা ফখরুল ছাড়াও তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী।

অপরদিকে বিভিন্ন সূত্র জানা যায়, আলোচনার জন্য সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা ফখরুল দুই নেত্রীর কাছ থেকে অনুমতি আগেই পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার আগে সৈয়দ আশরাফকে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুই দলের সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীদের ওই প্রতিনিধিদল এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফকে টেলিফোন করেন। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁরা মুখোমুখি বসলেন।
গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেন এবং বিএনপিকে ওই সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এর তিন দিন পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে নির্দলীয় সরকারের পাল্টা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ওই প্রস্তাবের একটি কপিসহ আলোচনায় বসার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে চিঠি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তাঁরা দুজন ফোনেও কথা বলেন।

গত ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেন।

সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ নেওয়ার পরদিন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সংলাপ ও সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনানিবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 217 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen