সিএইচটি টুডে ডট কম, ডেস্ক।
আজ শুভ মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই চন্ডীতেই রয়েছে কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে দেবী দুর্গার।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবশারদীয় দুর্গাপুজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মহালয়া। শুক্রবার ভোরে চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে আবাহন ঘটবে দেবী দুর্গার। দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে মর্ত্যলোকে। আগামী বৃহ¯পতিবার ষষ্ঠীপুজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ শুক্রবার থেকেই সনাতন দুর্গাপুজার আগমনধ্বনি শুনতে পাবেন।
শাস্ত্রীয় বিধান মতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে মহান আলোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে আবাহন। দুর্গাপুজার দুটি পক্ষের (১৫দিনে একপক্ষ) রয়েছে, একটি হলো পিতৃপক্ষ, অন্যটি দেবীপক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর পরের দিন প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয় দেবীপক্ষের। আগামীকাল মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সেই দেবীপক্ষ।
ধর্ম মতে, এই দিনে দেব-দেবীকূল দুর্গাপুজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। এদিন গঙ্গাতীরে ভক্তরা মৃত আত্মীয়স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনায় তর্পণ করে থাকেন। পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি এই পুজার আয়োজন করায় দেবীর এ পুজাকে বাসন্তী পুজাও বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গার পুজা করেছিলেন। অকালে তথা শরৎকালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই পুজা তখন থেকেই অকালবোধন নামে পরিচিত ।
সনাতন বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। যার ফল হচ্ছে মড়ক মতথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ, মহামারীর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া । বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন গজে (হাতি) চড়ে। যার ফল হচ্ছে বসুন্ধরা সুজলা, সুফলা ও শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।