শিরোনামঃ

আওয়ামীলীগের সাথে আপনাদের কিসের এত মধুর সর্ম্পক প্রশ্ন শওকত মাহমুদের

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিতে অনেক সুবিধাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তি রয়েছে যারা আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে আতাত করে চলে। আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারীতে প্রমাণ হবে, আন্দোলনে কারা নামবে, কারা নামবে না। জিয়ার সৈনিক কারা আর বিএনপিতে আওয়ামীলীগ সরকারের দালাল কারা? রাজপথে যাদের দেখা যাবে না, তাদের দালাল বলতে আমি দ্বিধাবোধ করবো না। যারা আতাত করে চলে, এই সরকারের সুবিধা নিয়ে চলে তাদের বিতাড়িত করার সময় এসেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন আপনারা সরকার বিরোধী আন্দোলন করেন না কেন? আওয়ামীলীগের সাথে আপনাদের কিসের এত মধুর সর্ম্পক। আওয়ামীলীগের সাথে কেনো আপনাদের সহবাস? এইগুলো চলবে না। আন্দোলন যার, মনোনয়ন তার।

আজ রাঙামাটিতে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে প্রতিনিধি সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন মজুমদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. দীপেন দেওয়ান, সহ-উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মনীষ দেওয়ান।

এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি এসে পৌছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।

শওকত মাহমুদ আরো বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী কোন ধরনের বিতর্কিত রায় হলে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিটি জেলা থেকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর মধ্যে দিয়ে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন করা হবে। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার ঘরে আগুন জ্বালাতে গিয়ে নিজের গদির তলায় আগুন দিয়ে বসে আছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেছেন, নির্বাচনে আমরা যাবো, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা নির্বাচনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সে নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বাদ দিয়ে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশে এমন কোনো কারাগার নেই যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আটকিয়ে রাখবে। আর যদি বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়, তাহলে বাংলাদেশ এই সরকারের অধীনে থাকবে না। দেশ চলে যাবে বিএনপির অধীনে, বিএনপির নেতা কর্মীদের হাতে।


প্রতিনিধি সভায় রাঙামাটি জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 489 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen