সিএইচটি টুডে ডট কম।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি আসলে দেশে লুটপাটের রাজত্ব চলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, লুটপাট, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের কথা জনগণের সামনে তুলে ধরুন। তিনি নেতা কর্মীদের বলেন, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান। সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরুন। তাদের সেসব ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় নির্বাচনের দলের প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, নাটোর, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ জেলা ও জেলাধীন থানা, উপজেলা, প্রথম শ্রেণীর পৌর আওয়ামী লীগ নেতারা অংশ নেন।
বিডিয়ার বিদ্রোহ নিয়ে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যার ঘুম ভাঙে বেলা ১২/১টায় তিনি কিভাবে বিডিয়ার বিদ্রোহের দিন খুব সকালে বিদ্রোহের ঘটনার এক ঘণ্টা আগে ক্যান্টনমেন্ট থেকে কালো কাঁচের গাড়িতে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। কেন তিনি এরকম করলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তার কী সর্ম্পক? বিরোধীদলীয় নেতা দেশবাসীর কাছে এর জবাব দেবেন?”
শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে সাজা পাওয়ার ভয়ে কোর্টে যান না। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কালো টাকা সাদা করেছেন। নিজে এতিমদের টাকা পর্যন্ত মেরে খেয়েছেন। এখন তিনি সাজা পাওয়ার ভয়ে কোর্টে যান না। এজন্য একেক দিন একেক অজুহাতে কোর্টে হাজির হন না তিনি। সেখানে গেলে এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়ে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘ ও যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এটি অব্যাহত না থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় না।”
পরাজিত শক্তি ও তার দোসররা ক্ষমতায় আসলে দেশের কখনো উন্নতি করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসন ছিল একটা বিভীষিকাময় সময়। তারা দেশকে জঙ্গিবাদ, খুন, সন্ত্রাস, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, দুর্নীতি, লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ সময় তারা দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে।”
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরে বলেন, “আমরা সব ক্ষেত্রে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলাম সেটা আমরা করেছি। মানুষের দোরগোড়ায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছি।”
এ সময় তিনি বিগত ১/১১ সরকারের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে বলেন, “এ সময়টাতে তারা এমন নির্যাতন-নিপিড়ন চালিয়েছে যে ব্যবসায়ী, ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিবিদ আমরা কেউই তাদের নির্যাতন হাত থেকে রক্ষা পাইনি।”
খুলনায় বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তিনি যে আমাকে দেখতে চান না সেটা তিনি কাজে প্রমাণিত করেছেন। তিনি ক্ষমতায় থাকতে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট তার ছেলে ও ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের দিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছেন। আমাকে দেখতে চান না বলেই আমার বাবা-মা, পরিবারের সবাইকে যে দিন হত্যা করা হয়েছে সে দিন তিনি ভুয়া জন্মদিন পালন করেন।