সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছে। তার বন্ধু চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের জেল ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোতাহার হোসেন দুপুর ১২টায় এই রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। সবাইকে তল্লাশি করে আদালতের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করে। আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম কর্মীরা।
গত ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। পরবর্তী সময় সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটিব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকা থেকে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।
প্রসঙ্গত, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। চিকিত্সার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দেশে যান। পরে তাঁর জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। তিনি না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে পলাতক ঘোষিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাঁর পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। অন্যদিকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন দেশে জেলেই ছিলেন।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে পৃথক একটি অর্থ পাচারের মামলায় ২০১১ সালে ৬ বছরের সাজা দেওয়া হয়।