শিরোনামঃ

রাঙামাটি জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায়

অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর দাবি

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ তৎপরতাসহ কঠোর নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সভায় অবিলম্বে শহরের বনরূপা ত্রিদিবনগর এলাকার নাম পরিবর্তনসহ এ নামের সাইনবোর্ড অপসারণের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর করার দাবি তোলা হয়। এছাড়াও রাঙামাটিতে সরকারি রাস্তা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ এবং সদরসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃক্সক্ষলা কমিটির সভায় এসব অভিযোগ তোলা হয়।
সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি দফতর, বিভাগসহ কমিটির গণ্যমান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের বন বিভাগের জেলা সদর দফতর ভবন হতে বনরূপা চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তার একপাশে দখল করে অনেকগুলো দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। অথচ এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এবং তাদেরকে উচ্ছেদ করার ব্যাপারে আইনগত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ ও নজরদারি নেই। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পৌরকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সভায় পৌরসভার কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও শহরের ফিশারিবাঁধ এলাকায় অবৈধ দখল নিয়ে অভিযোগ তোলা হয় সভায়। এতে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণের জবাবে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, এরই মধ্যে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তা দাখিল করা হয়েছে এবং তাদের উচ্ছেদে প্রশাসনিক ও আইনপ্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
সভায় জেলা আইনশৃক্সক্ষলা কমিটির সদস্য এসএম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে নতুন শিক্ষাবর্ষে জেলা সদরসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এসব ভর্তি কার্যক্রমে সরকারি নীতিমালা ও নির্দেশনার বাইরে প্রায় বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দরকার।
এ প্রসঙ্গে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা জানান, বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কোনো বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এর বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেলে তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো চলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্যে বলা হচ্ছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে বাধ্য হয়ে কিছু বাড়তি ফি নিতে হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 234 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen