কৌশিক দাশ,সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবানে শুরু হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ফুটবল লীগ। ৩০ অক্টোবর শুরু হয়ে এ টুর্ণামেন্ট আগামী ২৭নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অলস কর্মকর্তাদের উদাসী ভূমিকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ফুটবল জৌলূস হারিয়েছে আরো অনেক আগেই। আর এই ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলাঙ্গনে প্রাণ ফেরাতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপিকে। তাই ফুটবল লীগ চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য চট্রগাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
এদিকে বছরের পর বছর অবহেলা আর অযতেœ পড়ে থাকা ষ্টেডিয়ামের মাঠ, গ্যালারি ,টয়লেট সবকিছুতেই লাগছে রঙের ছোয়া। লীগ শুরু করতে মাঠ সংস্কারসহ বেশিরভাগ প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এখন শুধু অপেক্ষার পালা কখন বল গড়াবে সবুজ মাঠে।
এক সময় সারা বছরই ফুটবলারদের পদচারনায় মূখর থাকতো এই ষ্টেডিয়ামের সবুজ মাঠ। জাতীয় পর্যায়সহ ঢাকার বিভিন্ন লীগে খেলতো এখানকার অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় রয়েছে অনেক গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য। তবে এতকিছু সত্বেও জেলায় দীর্ঘদিন ফুটবলের কোন আয়োজন না থাকায় এরই মধ্যে ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিভাবান খেলোয়াড়।
পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা থাকা সত্তেও নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছেনা ফুটবল । লীগ হয়েছিল সর্বশেষ ২০১০ সালে। তারপর দীর্ঘ বিরতি। আস্তাকুঁড়ে যায় জেলার ফুটবল উম্মাদনা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের ব্যর্থতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ফুটবল খেলায় প্রান ফেরাতে তাই পার্বত্য মন্ত্রনালয় নিয়েছে এবারের ফুটবল লীগ চালুর এই উদ্যোগ। ডিএফএ আর ডিএসএ’র দ্বন্দ্বের অযুহাত বাদ দিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী দিনগুলোতে নিয়মিতভাবে ফুটবল লীগ চালুর প্রতিশ্রুতি ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের।
বান্দরবান জেলার ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ সভাপতি, দিপ্তী কুমার বড়–য়া বলেন, অতীতে অনেক ব্যর্থতা থাকলে ও শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক থাকলে ৩০ অক্টোবর বিকেল ৪ টায় মাঠে গড়াবে ফুটবল ।উদ্বোধন করবেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। লীগে অংশ নিবে জেলার প্রায় ১০ টি দল। আশা করি এই সমস্যা আর থাকবে না, নিয়মিত চলবে বান্দরবানের ফুটবল ও অন্যান্য লীগগুলো।
জেলার ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাস বলেন , দীর্ঘদিন বান্দরবান স্টেডিয়ামে ফুটবল লীগ বন্ধ থাকলে ও আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি ক্রীড়ার সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য। আশা করছি এবারের পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রণালয় ফুটবল লীগ একটি জমজমাট আয়োজন হিসেবে সকলের মনে স্থান করে নিবে।ধারাবাহিকভাবে আমরা এরপরপরই ক্রিকেট ,ভলিবল ও অন্যন্যা খেলাধুলা পরিচালনা করব।
বান্দরবান জেলা টিমের খেলোয়াড় শহীদুর রহমান সোহেল আক্ষেপ করে বলেন ,শুধু ব্যাপক আয়োজনে একটি টুর্ণামেন্ট পরিচালনা করে দীর্ঘ সময় খেলোয়াড়দেরর খবর নেই না অনেক কর্মকর্তারা তাই এধরণের ব্যাপক আয়োজনের অর্থ অপচয়ের চেয়ে ধারাবাহিকভাবে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ তাদের পাশে থাকাটাই একান্ত জরুরি।
তাই দীর্ঘপ্রতীক্ষার পর ফুটবল লীগ চালু হলেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কিনা এ নিয়ে ফুটবলার সংগঠকদের মনে রয়েছে সংশয় আর ক্ষোভ।