শিরোনামঃ

শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়: খালেদা জিয়া

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। আপনি এখন সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছেন। আপনার অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আপনার অধীনে আমরা নির্বাচনেও যাব না। একা একা আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে সংবিধান সংশোধন করেছেন , সংবিধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ফিরিয়ে আনা আপনাদের দায়িত্ব। বিএনপি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।
রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।Picture9

প্র্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “২০০৬ সালে কেএম হাসানকে আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মানেননি। অথচ সংবিধান অনুযায়ী তিনিই সেই সরকারের প্রধান হওয়ার যোগ্য ছিলেন। আপনি যদি কেএম হাসানকে না মানেন, তাহলে আমরা কেন আপনাকে মানব? আপনার অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এক নয়। আপনারা সিটি নির্বাচনের সময় মনে করেছিলেন, বিএনপি অংশ নেবে না। আপনারা একতরফাভাবে নির্বাচন করবেন। কিন্তু দেশের জনগণ সব ধর্মের জনগণ বিএনপিকে ভোট দিয়েছে। এটা দেখে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।”

ঢাকা সিটি করপোরেশেন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা একবার বলছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেবেন। আবার টালবাহানা করে নির্বাচন দিচ্ছেন না। আপনারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে হেরেছেন। ঢাকায় হারতে চান না। তাই নির্বাচন দিচ্ছেন না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “দিন যত যাচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে জনমত ততই বাড়ছে। আপনারা জনপ্রিয়তা ততই কমছে। যত দেরি করবেন আপনারই বেশি ক্ষতি। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মেনে নিন।”

খালেদা জিয়া বলেন, “বিজিবি দিয়ে নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।”

‘শেখ হাসিনার মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না’- এমন মন্তব্য করে তার উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনি সবসময় সামরিক সরকারকে অয়েলকাম জানিয়েছেন। ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিন কি সাংবিধানিক সরকার ছিলেন? তারা তো সেনা সমর্থিত সরকার ছিলেন। তাই আপনার মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না।

রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি বক্তৃতা দেয়া শুরু করেন। প্রায় ২৩ মিনিট তিনি বক্তৃতা করেন। এর আগে বিকেল চারটা ১২ মিনিটে খালেদা জিয়া সমাবেশ মঞ্চে হাজির হন। বিকেল সাড়ে তিনটায় এ সম্মেলন শুরু হয়। নানা নাটকীয়তার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পেশাজীবিদের সমাবেশের অনুমতি প্রদান করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এই কনভেনশনে বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় নেতারা ও রাজনৈতিক নেতারা যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মিলনায়তন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কে জেড এম জাহিদ হোসেন।

নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্র-আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও  দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, পেশাজীবীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং পেশার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে পেশাজীবীদের  এই জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, সাংবাদিক নেতা ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকদের আহ্বায়ক সদরুল আমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, চলচ্চিত্রনির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম নাজির আহমদ, ড্যাবের সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 280 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen