সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি শহরের পর দুর্গম বাঘাইছড়র সাজেক ভ্যালী হয়ে উঠতে পারে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবানাময় অঞ্চল। এক সময় ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দুর্গম অঞ্চল সাজেক কমলার জন্য বিখ্যাত ছিল। দেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বর্তমান বিরোধীদলীয়নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাজেক পরিদর্শন করেছেন।
সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় পাহাড় আর আকাশ যেন একাকার হয়ে গেছে। এক সময় কমলার জন্য প্রসিদ্ধ সাজেকের যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি আরেকটু উন্নত করা যেত তাহলে এটি আর্কষণীয় পর্যটন স্পট হতে পারত। তবে সুখবর প্রধানমন্ত্রীর সফর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাজেক থানা ভবন উদ্বোধনের পর সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাজেক ভ্যালির রুইলুইপাড়ায় তৈরি হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্র।
সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জিওসি মেজর জেনারেল সাব্বির আহম্মেদ এর আগে রুইলুইপাড়ায় একটি ক্লাবঘর, চিকিৎসাক্যাম্প ও পর্যটকদের জন্য একটি দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া পর্যটকদের জন্য হোটেল ও রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার করার নির্দেশ দেন তিনি।
রুইলুইপাড়ার প্রধান লাল থাংয়া লুসাই বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রুইলুইপাড়া আসার পর এলাকার চেহারা পাল্টে গেছে। সেনাবাহিনী ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণের পর এখন পর্যটনকেন্দ্রের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটক আসবেন।’
এ ব্যাপারে মেজর জেনারেল সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘সাজেক ভ্যালিতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার লোকজনের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পর্যটনের অবকাঠামো গড়ে তুলতে চাই। সব অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে ভারতের দার্জিলিং না গিয়ে পর্যটকেরা এখানে আসবেন।’