সিএইচটি টুডে ডট কম, লামা (বান্দরবান) । বান্দরবানের লামায় পার্বত্য শান্তি চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে সভা আহবান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। লামা পৌর এলাকার চম্পাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ২রা ডিসেম্বর সোমবার সংগঠন দুটি সভা আহবান করে। একই তারিখ, সময় ও স্থানে দু‘ সংগঠনের সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির লামা উপজেলা শাখার উদ্যোগে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৬তম বর্ষপূর্তি দিবস উপলক্ষ্যে চম্পাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টার সময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভূমি বিষয়ক সম্পাদক শ্রী চিংহ্লামং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অপরদিকে, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্ভর স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তি চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতী ও বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টিকারী এবং সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ বাতিল করে বাস্তবতার ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জনগনের মাঝে শাসনতান্ত্রিক ভাবে গ্রহনযোগ্য সমধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের লামা উপজেলা শাখা। সংগঠনে বান্দরবান জেলা সভাপতি মো. আতিকুর রহমান প্রধান অতিথি ও জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের লামা উপজেলা শাখার সভাপতি এম. জামালুদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমরা কারো সভা ঠেকাতে সভা আহবান করিনি। অতীতেও আমরা এই দিনে এই মাঠে সভা সমাবেশ করে আসছি। এবারও যথা সময়ে ২রা ডিসেম্ভর আমাদের ন্যায্যদাবী আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে পার্বত্য জনসংহতি সমিতির লামা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন আসাম সাইনথোয়াই বলেন, আমরাও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছি। এখানে অন্য কোন সংগঠনের সভা সমাবেশ থাকলে প্রশাসনতো আমাদেরকে জানাতেন। লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ্ জাহান খান জানান, সভা সমাবেশের অনুমতি বান্দরবান পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে দিতে পারেন। আমরা কাউকে অনুমোদন দিতে পারি না। সভাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।