সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল হিসেবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফকে নিবন্ধন দেয়ার দাবী জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক রবি শংকর চাকমা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবী জানান।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া উচিত মন্তব্য করে আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছেন। বিতর্কিত একটি দলকে (যে দল কখনই জনগণের ভোট লাভ করেনি ) নিবন্ধন দিতে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সুযোগ দেয়া হয়েছে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত দু’দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এবং জনগণের আস্থা অর্জনকারী রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ নিবন্ধন লাভের আবেদন করেও আইনী উছিলা দেখিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়নি। মূলত: ইউপিডিএফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলসমূহকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার মতলবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের উক্ত আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। ফলে ইউপিডিএফ হাইকোর্টে মামলা করলেও তা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ইউপিডিএফের এই নেতা আরো বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে হয়রানির কারণে শাসকগোষ্ঠীভুক্ত দলসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন ভাষা-ভাষী সংখ্যালঘু জাতি ও সম্প্রদায়কে দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করে না। সংবিধানে তাদের জাতিসত্তার পরিচিতি মুছে দিয়েছে। অধিকারহারা জনগণের নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংগঠন গড়ে উঠুক, তা তারা চায় না। মেজরিটির জোরে আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন জাতিসমূহের ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। সে সময় প্রধান বিরোধী দল বিএনপিভুক্ত দলসমূহ তার প্রতিবাদে কোন ভূমিকা নেয়নি। বর্তমানে এক তরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বিএনপি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাধিয়ে ফায়দা লুটতে সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে তা সারা দেশে তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বিবৃতিতে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে এখনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় রয়েছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ জাগা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা নিজ সংগঠন ইউপিডিএফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য দু’টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলকেও নিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি, নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্বাচনে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার আহ্বান জানান।