সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ধর্মের বাণী ও জ্ঞান সঞ্চয় করে সমাজ জাতি ও দেশের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। তিনি বলেন, মানুষ যখন ধর্মের জ্ঞান সঞ্চয় করে তখন তার মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ন্যায়পরায়নতা জেগে উঠে। তিনি বলেন, বুদ্ধ ধর্ম হচ্ছে কর্মবাদী ধর্ম, তাই সৎ কর্মের মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা ও কল্যানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নভেম্বর শনিবার রাঙামাটি বরকল উপজেলার সুবলং মিতিঙ্গাছড়িতে শ্রাবস্তী বনবিহারে ৩য় তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির ভাষনে চেয়ারম্যান একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ঊষাতন তালুকদার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি দীপেন দেওয়ান, সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কঠিন চীবর দানোৎসবের আহ্বায়ক সুশীল কান্তি চাকমা, মিতিঙ্গাছড়ির কার্বারী মিলন শংকর চাকমা প্রমূখ।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য মন্ত্রনালয় হতে পার্বত্যঞ্চলে বসবাসরত সকল ধর্মের মানুষ যাতে শান্তিতে নিজ নিজ ধর্ম নিবিঘেœ পালন করতে পারে সে জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং তারই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড হতে বরকল উপজেলার সুবলং মিতিঙ্গাছড়ির শ্রাবস্তী বনবিহারটি নির্মানের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের এ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সকলকে এ সরকারের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যে সুবলং মিতিঙ্গাছড়িতে শ্রাবস্তী বনবিহারে ৩য় তম কঠিন চীবর দানোৎসবে অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সঙ্গীত, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান বুদ্ধমুতিদান, হাজার প্রদীপ দানসহ বিভিন্ন দানযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা’সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ পুণ্যার্থী চীবরদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন। রাঙামাটি বনবিহারের প্রধান প্রজ্ঞালংকার ভিক্ষু অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন।