শিরোনামঃ

বিশেষ সংখ্যার সফলতার সংবাদ

রাঙামাটির সফল জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল

রাঙামাটিতে যে কয়জন জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে বর্তমান জেলা মোস্তফা কামালের নাম রাঙামাটি মানুষের হৃদয়ে লিখা থাকবে। কেউ ভোগে বিশ্বাসী আর কেউ বা ত্যাগে বিশ্বাসী। কেউ কাজ করে আনন্দ পায় DC-কেউ বা ভোগ করে আনন্দ পায়। বর্তমান জেলা প্রশাসক দায়িত্ব নেবার পর থেকে সব সময় সাধারন জনগনের পাশে থেকেছেন মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

২০১২ সালে ২৭ এপ্রিল রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকে মোস্তফা কামাল ঝড়ে যাওয়া রোধ করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস, ব্যাগ বিতরণ, মিড ডে মিল চালু, পাবলিক কলেজ, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়াও ইভটিজিং বিরোধী অভিযান, ভেজাল বিরোধী অভিযান,ফুটপাত বেদখল, জেলার একমাত্র শিশু পার্ক উদ্ধার, জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, জেলা ওয়েব পোর্টাল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ওয়াই ফাই জোন এবং জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে সেবা প্রদানের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া পর্যটন শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহরের রাস্তার দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শহরবাসীর কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হন।
এছাড়া দুর্গম লেক বেষ্টিত স্কুলগুলো ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে শিক্ষার তরী বিতরন করেন।
কাজের সাফল্য স্বরুপ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৩ এবং ২০১৪ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় রাঙামাটির জেল াপ্রশাসক মোস্তফা কামাল শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক নির্বাচিত হয়েছেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে উদ্ভাবনীমূলক ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এ পদক লাভ করেন।
রাঙামাটি পাবলিক কলেজ নামে রাঙামাটি জেলা সদরের পৌর এলাকার নারিকেল বাগান এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার গত ১১ মে কলেজটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ হতে ২৯১ শিক্ষার্থী নিয়ে রাঙামাটি সদরের তবলছড়ি এলাকার মিনিস্ট্রিয়াল ক্লাবে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজটি যাত্রা শুরু করে।
এছাড়া অনেক জেলা প্রশাসকের সময় টেবিলে মাসের পর মাস ফাইল পড়ে থাকলেও বর্তমান জেলা প্রশাসকের আমলে দ্রুত ফাইল তার জায়গায় চলে যেত কোন তদবির বা লবিং করতে হতো না। জেলা প্রশাসনের অনেকটা স্বচ্ছতা ও জবাব দিহীতা ফিরে এসেছে। মানুষ এখন আর আগের মত হয়রানির শিকার হয় না।
এছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 1,901 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen