সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। মুক্তিযোদ্ধা, জেলা বিএনপির সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে কর্নেল মণীষ দেওয়ান বলেছেন, রাঙামাটি জেলা বিএনপিতে কোন বিভেদ ও গ্রুপিং নেই রয়েছে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। যারা গ্রপিং এর কথা বলছে এটা তাদের জন্য সমস্যা দলের জন্য নয়। দলের মুল স্রোতধারা আমার সাথে রয়েছে এবং আমাকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করছে। আমি বিএনপিতে যোগদানের ৩ বছরের মাথায় দলের তৃনমুল নেতা কর্মী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের সাথে মিশেছি, তাদের সাথে আমার অনেকটা বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার বিকালে রাঙামাটির স্থানীয় একটি রেস্তোরায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে: কর্নেল মণীষ দেওয়ান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মণীষ দেওয়ান আরো বলেন, রাজনীতিতে আমি নতুন হলেও রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছি, দেশের সীমান্ত রক্ষায় নির্ভীক সৈনিকের দায়িত্ব পালন করেছি বিএনপি মাটি ও মানুষের দল তাই আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী বাঙালীদের মধ্যে যে দুরত্ব রয়েছে সেটি ঘুচাতে চাই, এখানে যে বিভেদ বিভ্রান্তি রয়েছে সেটি দুর করে পাহাড়ী বাঙালী সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে চাই এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মণীষ দেওয়ান বলেন, দলে যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারে আমিও মনোনয়ন প্রত্যাশী দল যাকে যোগ্য মনে করবে তাকে দিবে। আমি মনোনয়ন না পেলেও দলের ঐক্যর স্বার্থে যাকে দল মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করব। তবে রাঙামাটির দুটি পৌরসভার মেয়র, বিএনপিপন্থী উপজেলা চেয়ারম্যানরাসহ অনেকে আমার সাথে রয়েছেন।
শান্তিচুক্তি নিয়ে বিএনপির অবস্থান সর্ম্পকে মণীষ দেওয়ান বলেছেন, শান্তি চুক্তি বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবার এখতিয়ার দলীয় হাইকমান্ডের এখানে আমাদের করনীয় কিছু নেই। তবে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে বিভেদ ভুলে দেশের এবং উন্নয়নের স্বার্থে পাহাড়ী বাঙালীর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা।
Pingback: মোহাম্মদ শাখের হোসাইন
Pingback: অসম সমীকরন
Pingback: Jcd Tanim
Pingback: Saroar Hosen Ripon
Pingback: অসম সমীকরন
Pingback: অসম সমীকরন