ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিএইচটি টুডে ডট কম। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট ক্লাবগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছে। রাঙামাটি পৌরসভা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহনকারী ১০ টি ক্লাব লীগ শেষ হওয়ার চার মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-পরিষদ প্রতিশ্রুত অংশগ্রহন টাকা ও ফাইনালের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ দলের প্রাইজমানি পায়নি।
ক্রিকেট লীগ শুরু হওয়ার সময় ক্রিকেট উপ-পরিষদের আহবায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারন সম্পাদক আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম অংশগ্রহনকারী প্রতিটি দলকে ৫০ হাজার টাকা করে,চ্যাম্পিয়ন ৫০ হাজার ও রানার্সআপকে ৩০ হাজার করে টাকা ক্লাবগুলোর সাথে বৈঠকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত ক্লাবগুলো জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতায় অংশগ্রহনের কিছু টাকা পেলেও বাকী টাকা আদৌ পাবে কিনা ক্লাবগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
এদিকে ক্লাবগুলোর কর্মকর্তারা বিভিন্ন হোটেল,দোকান ও খেলোয়ারদের পাওনা টাকা যথাসময়ে দিতে না পেরে অনেকটা লজ্জায় লোক চক্ষুর আড়ালে রয়েছেন।ক্লাব কর্মকর্তারা দুঃখ করে বলছেন ক্রীড়া সংগঠন চালাতে গিয়ে যদি নিজের ব্যাক্তিগত ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে ভবিষ্যতে আর কোন জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইভেন্টে অংশ করার আগে আমাদের ভাবতে হবে।ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহন করে আমরা তো কোন অপরাধ করিনি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করবে বলে আমরা দলগুলো ঐভাবে ভালো খেলোয়ার দিয়ে সাজিয়েছি।রঙ্গিন জার্সি বানিয়েছি।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভালো খেলোয়ারকে কোটায় এনে খেলিয়েছি। আমাদের প্রতিশ্রুতি টাকা না দিলে আমরা এত টাকা খরচ করে দল করতে যেতাম না। আজ লীগ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থার কথা চিন্তা করে স্পোর্টিং স্পিরিটে প্রতিশ্রুত টাকা ছাড়া ধার দেনা করে লীগের খেলা শেষ করেছি।কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদাসহীনতায় আমরা ব্যাক্তিগত সংকটে পড়েছি।কারো সাথে কোন কমিটমেন্ট রাখতে না পারায় আমাদের প্রতি ব্যাবসায়ী ও খেলোয়ারদের বিশ্বাস উঠে গেছে যা আমাদের ভবিষ্যতে খেলা ধুলার অন্তরায় হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এদিকে প্রতিশ্রুত বকেয়া টাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা দ্রুত দিয়ে হলেও কিছুটা সংকট দূর করবে বলে ক্লাবগুলো কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।