সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। শান্তি ও সম্প্রীতিসহ যে কোনো মূল্যে রাঙামাটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আহবান জানানো হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ আহবান জানানো হয়। সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) মো. রুহল আমিন সিদ্দিকী, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যক্তি ডা. একে দেওয়ানসহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, রাঙামাটি পর্যটন শহর। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠী মানুষের বসবাস। কিন্তু অনেক সময় কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির ইন্ধনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা চলে। এছাড়া শহরে দিন দিন মাদকের ছড়াছড়ি বিস্তার লাভ করছে। মাদকসেবীরা আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হচ্ছে। ফলে দেখা যায়, অনেক সময় শহরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি মাসে একটি খুনের ঘটনাসহ ২৬ অপরাধ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৬ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে জেলায়। এসব অপরাধ দমন ও মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণসহ শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার আহবান জানানো হয় সভায়।
সভায় এছাড়াও আসন্ন বর্ষার আগে রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ জেলার অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত ও সংস্কার, ফুটপাত দখলমুক্ত, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা বিলোপ, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নির্মিত অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ঝুঁকিমুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, এখানে সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। এজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ২০১৭ সালের ১৩ জুনের পাহাড় ধসের মতো যাতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পুনরাবৃত্তি ঘটতে না পারে বা দুর্যোগ এড়াতে আসন্ন বর্ষার আগে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক, রাস্তাঘাট, স্থান ও স্থাপনার ঝুঁকিমুক্ত কাজ শেষ করতে হবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ মন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে। অন্যথায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।