সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ে বনের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ সাধারণ বনগুলো সংরক্ষণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, কালের পরিবর্তন ও জনসচেনতার অভাবে বনাঞ্চলে বিরাট প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে পার্বত্যাঞ্চলের বনাঞ্চলে শত বছরের বৃক্ষ আর দেখা যায়না। এতে যেমন একদিকে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। তাই পাহাড়ের বনের পরিমান বাড়াতে হলে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। একই সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ বনায়নের প্রতিও নজর দিতে হবে। তাই পাহাড়ি গ্রামের হেডম্যান-কার্বারীদেরও এ জনসচেতনতায় সম্পৃক্ত করার আহবান জানান তিনি ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে বেসরকারি সংগঠন জাবারাং কল্যাণ সমিতি, টংগ্যা এবং হিউম্যানিটারিয়ান এর উদ্যোগে আয়োজিত পার্বত্য ভিসিএফ সম্মেলন উদ্বোধনকালে বৃষ কেতু চাকমা এসব কথা বলেন।
বান্দরবানের আলীকদম ২৮৭নং তৈন মৌজার হেডম্যান মংক্যনু মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর কর্মকর্তা বিল্পব চাকমা এবং টংগ্যা’র নির্বাহী পরিচালক বিল্পব চাকমা।
পরে অতিথিরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ চারা রোপন করেন।
সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার প্রায় দেড় শতাধিক ভিসিএফ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।