সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলায় পর্যটন উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন স্পটে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলার মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি কনসালটিং ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের কর্মপরিকল্পনায় ইতিমধ্যে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন নতুন নতুন স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্পটে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার একটি মাষ্টার প্ল্যান পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় কনসালটিং ফার্ম এ আই এন্ড এসোসিয়েটস লিমিটেড এ পরিকল্পনার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরার পর এসব কথা বলেন জেলা পরিষদের বৃষ কেতু চাকমা ।
এসময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সাধন মনি চাকমা, সবির কুমার চাকমা, থোয়াই চিং মারমা, ত্রিদীপ কান্তি দাশ, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা রাজু, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, এ আই এন্ড এসোসিয়েটস লি: এর সহকারী প্রকৌশলী মশিউর ইসলাম, সুরেশ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও জেলা পরিষদ আইনের শর্ত অনুযায়ী ২০১৪ সালে পর্যটন বিভাগটি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরিত হয়। হস্তান্তরের পর রাঙামাটি জেলার পর্যটন উন্নয়নে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ উদ্যোগের অংশ হিসাবে রাঙামাটি জেলার পর্যটন উন্নয়নের জন্য পরিষদ মাষ্টার প্লান প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রাঙামাটি জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আকর্ষণ যেমন বাড়বে, তেমনি সুবিধা বঞ্চিত জাতিগোষ্ঠীগুলোরও আত্মকর্মস্ংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কর্মশালায় এআইএন্ড এসোসিয়েটস লি: সহকারী প্রকৌশলী মশিউর ইসলাম প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্ল্যানগুলো উপস্থাপন করেন।