সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পার্বত্য অঞ্চলের জেলে ও মৎস্য চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে ক্রিক প্রকল্প প্রদান করা হয়েছে কিন্তু এই প্রকল্প বন্ধ করার জন্য কিছু মহল উঠে পরে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের জেলে ও মৎস্য চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ না করে তাদের সহযোগীতায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা মৎস্য বিভাগ (বিএফডিসি) এবং বিএফআরআই এর আয়োজনে বুধবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকাকালীন এ সরকারই জেলেদের ভিজিএফ কার্ড প্রদানের মাধ্যমে খাদ্যশষ্য প্রদান করেছেন যা অন্য কোন করেনি। কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকাকালীন কোন ভাবেই যাতে কোন জেলে মৎস্য শিকার না করে এতে করে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। বৃহত্তম এই কাপ্তাই হ্রদে সুপরিকল্পিতভাবে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্দি করে জেলার মানুষের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায়ও রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও মৎস্য বিভাগের আহ্বায়ক সাধন মনি চাকমা, পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) তানভীর আজম ছিদ্দিকী বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ এই কাপ্তাই হ্রদ। এই হ্রদকে ঘিরে এখানকার মানুষের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। এটিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি পর্যটন খাতেও ব্যবহার করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই এই হ্রদকে দূষন ও দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনাসভার আগে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে “জল আছে যেখানে মাছ চাষ সেখানে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে শহরের রাজবাড়ী নৌযান ঘাঠে এসে শেষ হয়ে কাপ্তাই হ্রদে বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করে অতিথিরা।