সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষা সুরক্ষায় পার্বত্য এলাকার গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের গণমাধ্যম কর্মীদের লেখনির কারনে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের মাতৃভাষা জাতীয় পর্যায়ে আজ স্বীকৃতি পেয়েছে।
‘‘বিশ্বের সব জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সুরক্ষায় বাংলাদেশ’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সহ-সাধারন সম্পাদক ও মনসুর আহম্মেদের পরিচালনায় ও রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখায়াত হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা রহমান শম্পা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ, পৌর কাউন্সিলর রবিউল আলম রবি, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রথম আলোর রাঙামাটি প্রতিনিধি হরিকিশোর চাকমা, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমাসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনর নেতৃবৃন্দ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, একুশ শুধু বাংলা ভাষার জন্য নয়, এর চেতনা বাংলা ভাষার পাশাপাশি দেশের সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার জন্য। তিনি বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ২০০৩ সাল শুরু করেছিল।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষা সংরক্ষণের জন্য বই ছাপানোর পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তিনি মাতৃভাষা বাংলাসহ পার্বত্যাঞ্চলে বসাবসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীদের ভাষা সুরক্ষায় জন্য সর্বস্তরের গণমাধ্যমকর্মীদের লেখনিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান জানান।