শিরোনামঃ

বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসবাসরত ১৩ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার দাবী

সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি(রাঙামাটি)। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক থানার বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ১৩ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক ও অভিভাবকেররা। দ্রুত সরিয়ে না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। Baghaichari,,pic,,08,,12,,13.jpg

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর টিনের বেড়ার ঘরে পাঠদান শুরু করে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০০৫ সালে রাঙামাটি জেলা পরিষদ তিন কক্ষের টিনের ছাউনি ভবন নির্মাণ করে দেয়। কক্ষ সংকট থাকায় ২০০৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চার কক্ষের অপর একটি ভবন নির্মাণ করে। ২০১০ সালের ২০ ফেব্র“য়ারী পাহাড়ী-বাঙালি সংঘর্ষের পর চার কক্ষের ভবনটিতে ৩০টি বাঙালি পরিবার আশ্রয় নেয়। বিভিন্ন সময়ে ১৭টি পরিবার চলে গেলেও ১৩টি পরিবার এখনো রয়ে গেছে। বাকি তিন কক্ষের মধ্যে একটি ভান্ডার ও একটি শিক্ষক মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাত্র একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব। বাকি শিক্ষার্থীদের পরিত্যক্ত ও বারান্দায় ক্লাস নেওয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকের সংখ্যা নয়জন এবং শিক্ষার্থী আছে ৫১১ জন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: শাহজাহান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়কক্ষে বসবাসরতদের অন্যত্র সরিয়ে পূর্নবাসনের জন্য কতৃপক্ষকে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু এখনো সরানো হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবরা দাবি জানিয়েছে পরিবারগুলোকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য। অন্যথায় পাঠদান ও শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক মো: আবু তাহের বলেন, তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ছাউনি ভবনের মধ্যে মাত্র একটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া হয়। এত বছর বারান্দা ও পরিত্যক্ত ভেড়াঘরে কোনোরকমে ক্লাস নেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ে বসবারত পরিবারগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 358 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen