সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৩জন নেতা কর্মী হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন যে, ইউপিডিএফ-সংস্কারপন্থীরা এ যাবৎ যেসব অপহরণ ও হত্যা সংঘটিত করে আসছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এটা সরকারের চরম ব্যর্থতারই পরিচায়। সরকারের নির্লিপ্ততার কারণে সংস্কারপন্থী-ইউপিডিএফ এভাবে একের পর এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। বক্তারা ইউপিডিএফ-সংস্কারপন্থীদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা অনতিবিলম্বে ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্থীদের কর্মকান্ড নিষিদ্ধের দাবী জানান।
জনসংহতি সমিতির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি গুণেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি বাচ্চু চাকমা।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়,জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলার সভাপতি শশাংক মিত্র চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক নন্দ বিকাশ চাকমা একজন গ্রামবাসীর সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে সিজক কলেজের দক্ষিণ মাঠে আসেন। আর আগে থেকে ওত পেতে থাকা সংস্কারপন্থী গ্র“পের রাঙামাটি জেলার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক জুপিটার চাকমার নেতৃত্বে সংস্কারপন্থী-ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ১২ সদস্যের একটি সশস্ত্র দল সেখানে হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। ঘটনাস্থলেই শশাংক মিত্র চাকমা ও নন্দ বিকাশ চাকমা এবং পাশে থাকা অপর এক গ্রামবাসী যুধিষ্ঠির চাকমা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
দুপুরে মিছিলটি জনসংহতি সমিতির উত্তর কালিন্দীপুরস্থ জেলা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বনরূপা পেট্রোল পাম্প এলাকা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মুখে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এদিকে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান।