সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পাহাড়ি বাঙালি সকলের জন্য একযোগে কাজ করবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন লংগদু জোনের সার্বিক তত্ত্বধানে এই জোনের অধীনে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। কালাপাকুর্জ্যা সেনা মৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয় ও ইয়ারংছড়ি সেনা মৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয় ২টি প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল ব্যয়ভার বহন করছে লংগদু জোন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে অক্লান্ত পরি শ্রম করে যাচ্ছে। পাহাড়ে সরকারের উন্নয়ন ধারা বাহিকতার সাথে সাথে শিক্ষাসহ সকল প্রকার উন্নয়ন উন্নতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর ভুমিকা অবিচল হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন লংগদু জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আবদুল আলীম।
সোমবার সকালে ইয়ারংছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের গরিব দুঃখী মানুষের পাশে সকল ধরনের সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী বদ্ধ পরিকর।
তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনাদের কাছে এখন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই শিক্ষার সুযোগ থেকে আপনাদের ছেলে মেয়েদের বঞ্চিত করবেন না। যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। তাই শিক্ষাই জাতি ও দেশের ভবিয্যৎ। আজকের শিশু আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। আপনাদের ছেলে মেয়েদের অন্যদিকে ধাবিত না করে সবাইকে শিক্ষা মূখী করে গড়ে তোলার আহবান জানান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো.তোফাজ্জল হোমেন,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাইফুল ইসলাম,আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা।
ইয়ারংছড়ি সেনামৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয় ৬জন শিক্ষক ১২জনছাত্র ও একজন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ১০২ জন পাহাড়ি ও ৮৬ জন বাঙালি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত।