সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে কোন্দল যেন প্রকাশ্যে রুপ ধারন করছে। বুধবার বিকালে হঠ্যাৎ করে ২০/৩০জনের একটি দল দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ‘পাহাড়িমুক্ত বিএনপি চাই’ শীর্ষক শ্লোগানে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। দাবিটি নিয়ে শহরের পৌরসভা চত্ত্বর থেকে একটি মিছিল বের করে দলীয় অফিসে গিয়ে সমাবেশ করা হয়।
‘সচেতন বিএনপি পরিবার’ ব্যানারের নামে অনুষ্ঠিত ওই মিছিল ও সমাবেশে নিম্নসারির নেতা নগর যুবদলের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সুমন, যুগ্ম-সম্পাদক লিংকনসহ অন্যরা নেতৃত্বে থাকলেও অন্তরালে জেলার কতিপয় শীর্ষ নেতা চক্রান্তে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন দলের অপর কয়েকজন নেতা। তারা দাবি করে বলেন, এটি দল ভাঙার একটি বড় চক্রান্ত। তারা চাইছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের শক্তি বিএনপিকে ধংস করার জন্য। জড়িতরা ক্ষমতাসীনদের ইশারায় ভেতর থেকে কল-কাঠি নাড়ছেন। উপজেলা কমিটি গঠনের সময়েও এ ধরনের হীন উদ্দেশে যোগ্য পাহাড়ি নেতাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি ভোটারদের অনুপস্থিতি মনগড়া কমিটি করা হয়েছে বলে অনভিযোগ করেছেন অনেকে।
রাঙামাটিতে ‘পাহাড়িমুক্ত বিএনপি চাই’ দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করা হলে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান বলেন, এ ধরনের কার্যকলাপ তথাকথিত কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের ইন্ধনে বিএনপির কাউন্সিলকে বিনষ্ট করার পায়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে যারা এতে জড়িত তাদেরকে রাজপথে প্রতিহত করা হবে। এখানার বিএনপির একটি চক্র এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন দীপেন দেওয়ান।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, এখানে পাহাড়ি বাঙালি উভয়ের সংমিশ্রণে বিএনপি টিকে থাকেতে হবে। যারা বিক্ষোভ করেছে তারা কারা- আমি জেনে তাদের পরিচয় নেব। এছাড়া আওয়ামী লীগের একটি চক্র বিএনপিকে চুরমার করার জন্য এ কাজ করতে পারে। আগামীতে বিএনপির জেলা কাউন্সিলকে তছ্ন্ করার জন্য এখানে পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পায়তারা চালানো হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
বিএনপির বিবৃতি:
এদিকে পাহাড়িমুক্ত বিএনপি চাই এমন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সভাপতি এড. দীপেন দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পনির, জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল, সাধারন সম্পাদক মো: ইলিয়াছ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি দেবজ্যোতি চাকমা, সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মমতাজ মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জাতীয়তাবাদী মৎজীবিদলের সভাপতি নুরুল কবির, আরিফুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল বাসেত অপু, এবং জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভুট্রো স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি একটি অসম্প্রদায়িক দল, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। যারা কথিত সচেতন নাগরিক কমিটির ব্য্যানারে “পাহাড়িমুক্ত বিএনপি চাই” নামে যারা দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।