সিএইচটি টুডে ডট কম,দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)। ২০ দফা প্যাজেক চুক্তির আওতায়পূণর্বাসনের দাবীতে আজ রোববার(১ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মানববন্ধন,স্মারকলিপি কর্মসূচী ও সমাবেশ করেছে স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত বঞ্চিত শরনার্থী কল্যাণ সমিতি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরারব স্মারকলিপি প্রধান করে।
স্মারকলিপিতে দীঘিনালা উপজেলা ৩৮২৫ পরিবারসহ খাগড়াছড়ি জেলায় ১৩৯১৯ পরিবারের কথা উল্লেখ্য করে ও রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩৭২ পরিবার সহ মোট ১৪২৯১ পরিবারের কথা উল্লেখ করে। দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বিভিন্ন শ্লোগান সংবলিত পোষ্টা, ব্যানার ও প্লোকার্ড নিয়ে স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত বঞ্চিত শারনার্থী পরিবারের লোকজন অংশ নেয়।
পরে বড়াদম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ করা হয়। বঞ্চিত শরনার্থী সদস্য দীপুলাক্ষ্য চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ধম্মবীর চাকমা। এসময় স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত বঞ্চিত শরনার্থী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক সুপ্রিয় চাকমা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শতরুপা চাকমা, দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুন কান্তি চাকমা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নব কমল চাকমা ও দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগ বঞ্চিত শরনার্থী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবাররে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন ১৯৮৬ সালের বিরাজমা পরিস্থিতির কারনে এই এলাকার হাজার হাজার পাহাড়ী পরিবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। শরনার্থী শিবিরের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেকেই স্বদেশের টানে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছেন। ফিরে আসার পর শরনার্থী হিসাবে এসব পরিবারকে প্রথম ছয়মাস রেশনও প্রদান করা হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে পূণর্বাসন তালিকা হতে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে বক্তাগন উল্লেখ করেন। বক্তরা অবিলম্বে সরকারীভাবে ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় ফিরে আসা শরনার্থীদের সমপরিমান সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত বঞ্চিত প্রতিটি শরনার্থী পরিবারকে পূণর্বাসনের জন্য বক্তাগন সরকারের প্রতি দাবী জানান।