সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে যখন উত্তেজনা বিরাজ করছে, ঠিক তখনই উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যৌথ টহল সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকালে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা এই যৌথ টহলে অংশ নেয়।
তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষে উভয় দেশের বাহিনী টহল দেয়। প্রায় ১০ মাস পর উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনী এক সঙ্গে এই টহল দিল।
এর আগে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ও উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে যৌথ টহল হলেও রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর এই যৌথ টহলে সীমান্তে উত্তেজনা কমবে বলে আশা করছেন বিজিবির কর্মকর্তারা।
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, সীমান্তে যৌথ টহল কী করে আরো বাড়ানো যায় সেজন্য মিয়ানমারকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যৌথ টহল অব্যাহত থাকলে উত্তেজনা এমনিতেই কমে আসবে, সেই সঙ্গে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নও হবে।
ঘুমধুমের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমরা চাই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকুক,যৌথ টহল উত্তেজনা অনেকাংশে কমাবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।এর মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করতে না পেরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থান নেয়। এসব রোহিঙ্গাকে জিরো লাইন থেকে তাড়াতে মিয়ানমার সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। বর্তমানে তুমব্রু সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী টহল বৃদ্ধি করেছে।