সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগ এনে চাকমা সার্কেলের রাণী ইয়েন ইয়েনকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ। তারা অভিযোগ করেছে পাহাড়ের পাহাড়ী ও বাঙালীরা যখন সহাবস্থানে বসবাস করছে তখন চাকমা সার্কেলের দ্বিতীয় রাণী ইয়েন ইয়েন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তোলে পরিস্থিতিকে গোলাটে করার চেষ্টা করছে।
আজ সকালে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এসময় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার আহ্বায়ক বেগম নূর জাহান,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান হাবিব,সহ-সভাপতি মো: কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা নারগিস আক্তার, সহ-ছাত্রী বিষয়কসম্পাদিকা জান্নাতুন নাঈম মুন্নি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, বিলাইছড়ির দুই কিশোরী নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষণ প্রমানিত না হওয়া সত্বেও তাদের ধর্ষিতা বানিয়ে একটি আঞ্চলিক দলের প্ররোচনায় রাজা ও রাণী নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৩ তারিখ দুপুরে চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় বিলাইছড়ির দুই মারমা কিশোরী। তিনদিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে উক্ত দুই কিশোরীর পিতা-মাতা তাদেরকে শুক্রবার নিয়ে যেতে চাইলে শুক্রবার ২৬ জানুয়ারি-২০১৮ তারিখ সকালে পাহাড়ের দুই বির্তকিত নারী নেত্রী হাসপাতালে গিয়ে ওই দুই কিশোরীকে দিয়ে তাদের ইচ্ছেমত স্টেটমেন্ট করিয়ে নেওয়ার জন্য ভিকটিমদের নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার অপচেষ্টার চেষ্টা করে। রাঙামাটি জেনারেল হাসাপাতলের বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে আমরা জানতে পেরেছি মারমা দুই কিশোরী চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ করে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পাদন করছিলেন ঐ সময় হঠাৎ করেই ইয়েন ইয়েন, মানবাধিকার কমিশনের বির্তকিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, নারী নেত্রী এডভোকেট সুস্মিতা চাকমা,নারীনেত্রী নেলী প্রু মারমা নেলী সহ পাহাড়ের সন্ত্রাসী আঞ্চলিক দল জেএসএসের ছাত্র সংগঠন পিসিপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন ও জোর করে দুই মারমা কিশোরীকে নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। এ সময় দুই কিশোরীর পিতা-মাতা তাদের কন্যাকে নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার কথা বলে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করে। পরে সেখানে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি বেআইনি বিধায় এ বিষয়ে বাঞ্চিতা চাকমা ও ইয়েন ইয়েনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এসময় তারা পুলিশের সাথে উদ্ধত এবং অশোভন আচরণ করতে থাকেন। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনয়ের সাথে জানান, দুই কিশোরীর আইন সম্মত অভিভাবক তথা তাদের পিতা-মাতা সেখানে উপস্থিত থাকায় তাদের অমতে কর্তৃপক্ষ অন্য কাউকে দুই কিশোরীর জিম্মাদারী প্রদান করতে পারেন না।
তারা আরো অভিযোগ করেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃঢ়তায় তারা সেদিন সেখান থেকে ফিরে এলেও, আমরা জানতে পেরেছি এখনও নানাভাবে ওই দুই কিশোরীকে তাদের আয়ত্তে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ঢাকার চিহ্নিত একটি ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহ করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে রাণীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ৩দফা কর্মসুচী ঘোষণা করে সংগঠনটি। কর্মসুচীগুলো হচ্ছে : আগামী ১৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবার রাঙামাটিতে মানববন্ধন।
আগামী ১৯ তারিখ সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ এবং আগামী ২৭ তারিখের মধ্যে যদি ইয়েন ইয়েন সাম্প্রদায়িক ও বির্তকিত কর্মকান্ড বন্ধ না করে অথবা প্রশাসন তাকে আইনের আওতায় না আনে তাহলে পরবর্তীতে বিক্ষোভ হরতাল অবরোধ সহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
February 6, 2018 at 10:17 pm
রানী এবং অভিযুক্ত যাহা ই সঠিক হোক না কেন। উভয় বিষয় তদন্ত পুরবক বিষ য়টি নিরসন করা দরকার। সঠিক তদন্ত করা সরকার এর দায়িত্ব।এবং তদন্তের দাবি করা জনগনের দা য়িত্ত। এত রাজনৈতিক আস্পালনের দরকার আছে বলে মনে করি না।