সিএইচটি টুডে ডট কম কাউখালী (রাঙামাটি)। রাঙামাটি জেলার কাউখালীতে একটি অটোরিক্সাকে আটকে দেয়ার প্রতিশোধ নিতে রাঙ্গুনীয়া ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিল্টন চৌধুরীর নেতৃত্বে কাউখালীর বেতছড়ি গ্রামে গুলি ও ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় মোসলেম মিয়া (৪৫) নামে এক দিনমুজুর গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন রাঙ্গুনীয়ার ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিল্টন চৌধুরীর ছোট ভাই এ্যাপি চৌধুরীর একটি সিএনজি অটোরিক্সা মঙ্গলবার সকালে হরতাল সমর্থকরা কাউখালীর বেতছড়ি এলাকায় আটকে দেয়। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যা ৬টায় মিল্টন চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি দল মোটরসাইকেল মহরা দিয়ে বেতছড়ি এলাকায় এসে এলোপাতারি গুলি চালায়। ভাংচুর করে কমপক্ষে ১৬টি বসতবাড়ি ও দোকান। এ সময় কম বেশী আহত হয় ১৪জন। এসময় গ্রামবাসী ব্যবহৃত গুলির ৭টি খোসা উদ্ধার করে।
ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ আহত মোসলেমকে প্রথমে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গুলি বের করার মত যন্ত্রপাতি না থাকায় তাকে গতকাল রাতেই রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরে গ্রামবাসী প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল আটকা পরে। উত্তেজিত জনতা পরে মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা দুস্কৃতিকারীদের সদস্য মনে করে আরো একটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে মিল্টন চৌধুরীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে প্রায় একই সময়ে কাউখালী থানায় আগুন লাগায় তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী যায়নি। এঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারে হামলার আশংকায় এলাকার নারী ও পুরুষেরা রাস্তায় রাস্তায় পাহাড়া বসিয়েছে। তবে সম্ভ্যাব্য সহিংতা এড়াতে পুরো এলাকাজুড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করেছে। রাতে রির্পোট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশী টহল দিতে দেখা গেছে