সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে গত বুধবার প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হওয়া ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মিঠুন চাকমা’র হত্যার প্রতিবাদ এবং হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ এবং সমর্থিত অন্যান্য সংগঠনগুলো।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় খাগড়াছড়ি সদরের বটতলী এলাকার পারিবারিক শশ্মানে মিঠুন চাকমার মৃতদেহ নেয়ার পর সেখানে সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ তাকে শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় করে। ইউপিডিএফ’র দলীয় পতাকা মোড়ানো কফিনে সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বস্তরের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
এর আগে, সকাল থেকে মিঠুন চাকমার লাশ তার দীর্ঘদিনের সংগঠন ইউপিডিএফ কার্যালয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সাথে দীর্ঘ দও কষাকষির পর বিকেল সাড়ে তিনটায় মৌন পদযাত্রার মাধ্যমে বটতলীস্থ পারিবারিক শ্মশানে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
এতে ইউপিডিফ’র বান্দরবান সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চংগ্যা, মানবাধিকার সংগঠক সাদিয়া গুলরুখ, কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এস এম শাহাদাত লেনিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
গত বুধবার বেলা ১২টায় মিঠুন চাকমাকে দিবালোকে খাগড়াছড়ি সদরের স্লইচ গেইট এলাকায় গুলি করে হত্যা করার তিনদিন অতিবাহিত হতে গেলেও এখনও পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থার নেয়ার কথা জানালেন খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান।
ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, মিঠুন চাকমাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দেয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় কারা এঘটনার সাথে জড়িত। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। এছাড়া শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে লোকজন আসতে বাধা দেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মিঠুনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চলার সময় জেলা সদরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিফ’র বান্দরবান সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চংগ্যা, মানবাধিকার সংগঠক সাদিয়া গুলরুখ, কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এস এম শাহাদাত লেনিন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৩ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্লুইচ গেইট এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হন ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমা। আদালত থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অর্পণা চৌধুরী পাড়া এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওইদিন মিঠুন চাকমার একমাত্র সন্তান তিরাজ চাকমার দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী ছিল।