রফিকুল আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেই রাজনীতি করি, সংগঠনের জন্য কাজ করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরন করেছি, অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দেইনি, কারো কাছে মাথা নত করি নাই কখনো, অনেক রক্ত এবং ত্যাগের বিনিময়ে আজকের বান্দরবান আওয়ামীলীগ, তাই কারো হেলাফেলার কারনে আসন হাত ছাড়া হউক তা আমি চাইনা। তৃনমূল নেতাকর্মীদের জনমতের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে বিকল্প প্রার্থী খুঁজে বের করতে হবে। সংগঠনের স্বার্থে তৃনমূল নেতাদের ইচ্ছাতেই ১০ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি, দলের সর্বশেষ অবস্থার কথাও নেত্রীকে জানিয়েছি। শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের নিউগুলশানস্থ নিজ বাসবভনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেল বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা।
তৃনমূল নেতাদের মতামত বিবেচনা না করে প্রার্থী নির্বাচন করা হলে আসন হারানোর আংশকা প্রকাশ করেছেন দলের টানা সতের বছরের নির্বাচিত সভাপতি। দলের কারো প্রতি কোন অভিযোগ না এনে কৌশলে প্রসন্ন কান্তি বলেন, মনোনয়ন চেয়ে নেত্রীর সাথে কথা বলেছি, তিনি আশ্বস্থ করেছেন। এসময় কৌতুকের ছলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং আছে, প্রয়োজনে গেরিলাযুদ্ধের কৌশলে এগুবো’’।
বিগত দিনে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এত বিশাল অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। তবে স্বচ্ছতা ছিল। কিছুু ব্যক্তির আচরনে হয়তো স্থানীয় লোকজন মনোক্ষুন্ন হয়ে থাকতে পারেন তবে দলের জন্য নয়। আমার সাথেও ব্যক্তিগত ভাবে কারো সাথে কোন বিরোধ নেই। তবে অন্যায় এবং অপরাধীদের সাথে কখনো আপস করিনাই, করবোনা।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দলের স্বার্থেই মনোনয়ন চাইছি, যোগ্য মনে করলে দল মনোনয়ন দেবে। আর মনোনয়ন না পেলেও প্রিয় দল আ.লীগের সাথেই থাকবো।
সাংসদ বীর বাহাদুরের সাথে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের দুরত্বের এমন সময়ে দলের সভাপতি প্রসন্ন কান্তির সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদেরও অনেক প্রানোচ্ছল দেখা যায়। জনার্কীন এ সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সা.সম্পাদক মিনারুল হক, বেতার প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি ফরিদুল আলম সুমন, দৈনিক বর্তমান প্রতিনিধি রফিকুল আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।