সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, আমাদের দেশে যে জাতিগত সম্প্রদায়গত বৈষম্য রয়েছে তা থেকে বেড়িয়ে আসতে খেলাধুলা গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। আমাদের বৈষম্য মুলক সমাজ ব্যবস্থার প্রভাব খেলাধুলায়ও পড়েছে তাই এর থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে ক্রীড়ামোদী এবং খেলোয়ারদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় আমরা খেলাধুলায় পিছিয়ে পড়ছি।
রোববার বিকালে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে রাঙামাটি আন্ত:উপজেলা ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, ইউএনডিপি,র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার ঐশর্য চাকমা।
শান্তির জন্য ক্রীড়া এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ইউএনডিপি সিএইচটিডিএফের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল খেলার আয়োজন করে। জেলার ১০ উপজেলা যথাক্রমে রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, রাজস্থলী, কাপ্তাই, কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরকে নিয়ে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই এ অঞ্চলের যারা ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়ামোদী তাদেরকে এ অঞ্চলের খেলাধুলার উন্নয়নে আরো আন্তরিক হতে হবে। এসব টুর্নামেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসবে।
তিনি ইউএনডিপির উদ্দ্যেশে বলেন, শুধু খেলার জন্য খেলা আয়োজন করলে হবে না, এখান থেকে যেন পরিপুর্ন খেলোয়ার উঠে আসে সেই পর্যন্ত তাদের কাজ করতে হবে।
উদ্বোধনী ম্যাচে বিলাইছড়ি ১-০ গোলে কাউখালী উপজেলাকে পরাজিত করে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বিজয়ী দলের পক্ষে সুজয় চাকমা একমাত্র গোলটি করেন। সোমবার বিকেল ৩ টায় জুরাছড়ি উপজেলা ও কাপ্তাই উপজেলার একে অপরের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।