শিরোনামঃ

আগামীতে ক্ষমতায় আসলে পার্বত্য শান্তি চুক্তির অবশিষ্ট ধারা এবং ভুমি সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের রক্তপাত বন্ধ করতে ১৯৯৭ সনে আমরাই পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছি। এর ফলে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। চুক্তির অধিকাংশ ধারাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চুক্তির অবশিষ্ট অংশ আগামীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে বাস্তবায়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুল সমস্যা ভুমি সমস্যা সমাধানে আমাদের সরকার কাজ করছে। আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলেও পার্বত্য ভুমি সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।Picture25
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকালে খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তির পর আমাদের সরকার ৬২ হাজার শরানার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুর্নবাসন করেছে, চুক্তি মোতাবেক অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জনসংহতি সমিতির সদস্যদের চাকুরী দিয়েছে। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, তারা ক্ষমতায় আসলে দেশে দুর্নীতি হয় জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে। হরতালের নামে মানুষ হত্যা করে। হরতাল করে আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই হরতাল দিয়ে কি পেলেন? তিনি তো হরতাল ডেকে দিব্য বাসায় বসে থাকেন। উনার তো কিছু যায় আসে না, কষ্ট পায় জনগন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যুদ্ধপরাধীদের বিচার চলছে রায়ও হয়েছে এই সরকারের আমলে রায় কার্যকর করা হবে কিন্তু আমাদের বিএনপি নেত্রী যুদ্ধপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আমি উনাকে বলতে চাই যতই যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর চেষ্টা করেন না কেন বাংলার মাটিতে রায় কার্যকর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা শান্তি চাই উন্নয়ন চাই তাই আগামীতে শান্তিপুর্ন নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে সকলে অংশ নিবে মানুষ শান্তিপুর্নভাবে ভোট দিতে পারবে।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুরসহ কয়েকজন মন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের আগে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 305 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen