সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। প্রধানমন্ত্রী সফরের দিন খাগড়াছড়িতে সকাল সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসুচী দেয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে আসতে মানুষকে বাঁধা প্রদান করায় ক্ষুব্দ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যর এক পর্যায়ে বাঁধা দানকারী সংগঠনটির নাম উচ্ছারন না করে বলেন তাদের দেখে নিবেন।
শান্তি চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)সড়ক অবরোধ ও ১৮ দলীয় জোটের পুর্বঘোষিত হরতাল কর্মসুচী ছিল সোমবার। ১৮ দলীয় জোট হরতাল প্রত্যাহার না করলেও কোন পিকেটিং করেনি কিন্তু প্রশাসনের অনুরোধ উপেক্ষা করে মাঠে ছিল পিসিপি।
তারা কেবল মাঠে থেকে ক্ষান্ত হয়নি প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগ দিতে আসা চাঁদের গাড়ী ও বাস বিভিন্ন স্থানে থামিয়ে গাড়ী থেকে লোকজন নামিয়ে দেয়। কোন কোন জায়গায় পুলিশের গাড়ীতে আগুন দেয় এবং লোকজনকে মারধর করে।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী সমাবেশ আখ্যা দিয়ে এটি বর্জনের দাবীতে অবরোধের ডাক দিয়েছিল সংগঠনটি।
রাঙামাটি থেকে আওয়ামীলীগের যে সব নেতা কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিল তাদের মহালছড়ি থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামীলীগ নেতা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ ঘিরে ইউপিডিএফের অবস্থান জানতে কয়েক দফা ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
১৯৯৭ সনে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তির পর ১৯৯৮ সনের ১০ ফেব্র“য়ারী শান্তিবাহিনীর অস্ত্র জমাদান অনুষ্ঠানেও বাধা দিয়ে হরতাল ডেকে ছিল সংগঠনটি।
প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের সংগঠনটির কার্যক্রম মনিটারিং এবং এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার নেয়ার নির্দেশ দেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান।