মুখোমুখি – সিএইচটি টুডে https://www.oldsite.chttoday.com news site Mon, 02 Apr 2018 11:40:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=4.9.25 পর্দার পেছনের মানুষগুলোর খবর কেউ রাখেনি https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0/#respond Sat, 02 Dec 2017 04:38:46 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40958 নুরুচ্ছাফা মানিক, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশক পূর্তি আজ। নানা আয়োজনে রাজধানী ঢাকাসহ তিন... বিস্তারিত.... »

The post পর্দার পেছনের মানুষগুলোর খবর কেউ রাখেনি appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

নুরুচ্ছাফা মানিক, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশক পূর্তি আজ। নানা আয়োজনে রাজধানী ঢাকাসহ তিন পার্বত্য জেলা ও বরিশাল জেলায় দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার, জাতীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক অনেক সংগঠন। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে যোগাযোগের জন্য গঠিত কমিটির যেসব সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শান্তি বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন তাদের অবদানের স্বীকৃতি কাগজে কলমে কোথাও উল্লেখ নেই। প্রতিবছর চুক্তির বর্ষপূর্তি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও চুক্তি স্বাক্ষরে পেছনে যোগাযোগ কমিটির সদস্যদের অবদানের কথা দিনদিন যেন ভুলতে বসেছে পার্বত্যবাসী।
১লা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সরকার এবং জনসংহতি সমিতির সাথে যোগাযোগ কমিটির সদস্য বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি একান্ত সাক্ষাতকারে মুখোমুখি হন।

প্রতিবেদক: কেমন আছেন?
এসএম শফি: শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। বয়সের সাথে সাথে নানা রকম রোগব্যাধিতে শরীরে বাসা বেধেছে।

প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরে যোগাযোগ কমিটি কি কাজ করেছিল?
এসএম শফি: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের নৈপথ্যে যোগাযোগ কমিটির অবদান অপরিসীম। সরকারের সাথে শান্তি বাহিনী তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সংলাপের প্রাথমিক ধাপ গ্রহণ করেছিল যোগাযোগ কমিটি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তৎকালীন গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হংধ্বজ চাকমাকে আহ্বায়ক করে পার্বত্য চট্টগ্রাম যোগাযোগ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন, পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুরুষোত্তম চাকমা, ইউপি মেম্বার অরুণ উদয় চাকমা, সমাজসেবক নকুল চন্দ্র ত্রিপুরা, মো: শফি, অংক্যচিং মারমা, চাইথোয়াইপ্রু চৌধুরীসহ আরও অনেকেই। পানছড়ির পূজগাং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে শান্তি বাহিনীদের সাথে সরকার পক্ষের প্রথম যে সংলাপ হয়েছিল সে সংলাপের প্রস্তুতি করেছিল যোগাযোগ কমিটি। তৎকালীন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রি: জেনারেল সৈয়দ মো: ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের সামরিক একটি কমিটি শান্তি বাহিনীর তৎকালীন নেতা ও বর্তমান রাঙামাটি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারের নেতৃত্বে ৫ জন গেরিলা নেতা প্রথম সংলাপে মিলিত হন। পরবর্তীতে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে পর্যন্ত সরকারের সাথে শান্তি বাহিনীর যেসব বৈঠক হয়েছিল প্রতিটি বৈঠকের জন্য যোগাযোগ কমিটির সদস্যদের ঝুঁকি গ্রহণ করহে হয়েছিল। প্রতিবার বৈঠকের সময় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যোগাযোগ কমিটির সদস্যদের শান্তি বাহিনীর আস্তানায় থাকতে হতো। আমাকেও(এসএম শফি) ১৫ বারের মতো পানছড়ির দুধুকছড়া গ্রামে অবস্থান করতে হয়েছিল। দুধুকছড়া বিডিআর ক্যাম্প থেকে প্রতিবার ৭-৮মাইল পায়ে হেঁটে আস্তানায় যেতে হতো। বিএনপি সরকারের আমলে ৪বার সংলাপ হওয়ার পর চুক্তি স্বাক্ষরের অগ্রগতি থেমে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পুন:রায় ক্ষমতায় আসর পর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বর্তমান বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন শান্তি বাহিনী প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বে ঊষাতন তালুকদার, সুধা সিন্ধু খীসা, রূপায়ন দেওয়ানসহ ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ফলপ্রসূ বৈঠকের ফলাফল ২রা ডিসেম্বরের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে পার্বত্যবাসী তথা দেশবাসী পান।

প্রতিবেদক: আপনাদের আত্মত্যাগে অর্জিত চুক্তির সুফল দেশবাসী ভোগ করছে, ভাবতে কেমন লাগে?
এসএম শফি: তৎকালীন শান্তিবাহিনীরা তাদের নিজ জাতিগোষ্ঠীর জাতিসত্ত্বা টিকিয়ে রাখতে সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও অনুপ্রেরণায় সে সময়ে যোগাযোগ কমিটিতে নাম জমা দিয়েছিলাম। দেশপ্রেম ও দলীয় প্রধানের প্রতি অনুগত হয়ে যেদিন এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য রাজি হয়েছিলাম সেদিনও কোন প্রতিদানের আশা ছিল না বর্তমানেও নাই। তবে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যথাযথ মূল্যয়ন করেছেন। কিন্তু মাঝে মাঝে চুক্তির সুফলভোগীদের ব্যবহারে কষ্ট লাগে। চুক্তির বিষয়ে প্রতিবছর সভা সেমিনার হচ্ছে। কিন্তু সেখানে আমাদের ডাকা হয়না। তখন কষ্ট লাগে!

প্রতিবেদক: চুক্তি স্বাক্ষর যদি না হতো তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা কি হতো বলে মনে করেন?
এসএম শফি: চুক্তি পূর্ববর্তী সমস্যাগুলোকে যদি প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সমস্যা বিবেচনা না করে চলতে দিতেন তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এতোদিনে রক্ত নদীতে পরিণত হতো। শেখ হাসিনার পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মতো এমন একটি চুক্তি তৃতীয় কোন পক্ষের সহায়তা ছাড়া করা সম্ভব হয়েছে কারণ তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বলে।

প্রতিবেদক: অসুস্থতার মধ্যেও সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এসএম শফি: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

Share This:

The post পর্দার পেছনের মানুষগুলোর খবর কেউ রাখেনি appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0/feed/ 0
চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে : ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8c%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%9f%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%85/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8c%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%9f%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%85/#respond Thu, 01 Dec 2016 17:57:32 +0000 http://www.chttoday.com/?p=30376 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯তম বর্ষপুর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি... বিস্তারিত.... »

The post চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে : ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯তম বর্ষপুর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সদস্য ও চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, শান্তি চুক্তির অনেক কিছু বাস্তবায়িত হলেও মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বিগত বছর থেকে আমরা যদি এ বছর পর্যন্ত যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে পার্বত্য চুক্তির স্বপক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। একটি হচ্ছে ২০০৯ সালের পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন যা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সুপারিশের dsc00659ভিত্তিতে হয়েছে। এটি একটি ভাল উন্নয়ন বলা যায়। অপরটি হলো হিল ট্যাক্টস ম্যানুয়েল ১৯শ সনের বৈধতা দেয়া। আমরা এর মধ্যে ভূমি কমিশনের ২টি বৈঠক করেছি। এর মধ্যে দরখাস্ত এসেছে, কিন্তু কিভাবে বিচার কার্যক্রম করা যায় এখানে একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, কমিশনের যে জনবল, যে কারিগরি, আর্থিক যে অবস্থা সেখানে যথাযথ সহযোগিতা সকলের কাছ থেকে লাগবে। এটির একটি বিধিমালা প্রনয়ন করতে হবে বলে আমরা মনে করি। কিভাবে আইনটি কার্যকর হবে। সমস্যার সমাধান হবে। দ্বিতীয়ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের রেগুলেশন এর বৈধতা বা তার মর্যাদা। এটা অনেক বছর আগে হাইকোর্ট বিভাগে একটি মামলায় ছিল। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি মৃত আইন। এই রেগুলেশনের বৈধতা বা কার্যকারিতা নেই। সেটার বিরুদ্ধে যেমন সরকার, আঞ্চলিক পরিষদ আপিল করেছে। প্রায় এক মাস হয়েছে যে, মহামান্য আপিল বিভাগ ঘোষণা করেছেন যে, হাইকোর্ট রায়টি সেই রায়টি বেআইনি। অর্থাৎ রেগুলেশন একটি পূর্ণাঙ্গ বলবৎ এবং বৈধ আইন। কাজেই পার্বত্য চট্টগ্রামের রেগুলেশনের বিষয় কম যুক্তি উল্লেখ থাকলেও এটার কিন্তু প্রত্যক্ষ গুরুত্ব অনেক। আমাদের যে এখানে সনাতন প্রতিষ্ঠান রয়েছে চীফ হেডম্যান কারবারি তাদের ভূমিকা এবং এখানে যে স্থানীয় প্রথা রীতি নীতি রয়েছে, সেগুলোর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ আমরা স্বীকৃতি পেয়ে থাকি পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটা সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন এ আইনটি থাকা মানে হলো যে আদিবাসীদের ভূমি ও অন্যন্যা প্রথাগত অধিকার থাকা। আমরা মনে করি যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৯তম বর্ষপুর্তি উপলক্ষে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় একান্ত আলাপচারিতায় সিএইচটি টুডে ডট কমকে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বিগত বছরের তুলনায় মোটা দাগে এই দুটি দিক ভালো হয়েছে। এখানে চুক্তি অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ, পার্বত্য জেলা পরিষদের যে ভূমিকা থাকার কথা সেই ভূমিকা আমরা এখনো দেখছি না। সীমান্তে বিজিবি’র মাধ্যমে অনেক কিছু চাউনি ও বিওপি স্থাপিত হয়েছে, স্বাভাবিকভাবে যেখানে সীমান্ত রয়েছে সেখানে বিজিবি থাকবে যে কোন অঞ্চলের ন্যায় এবং চুক্তির মধ্যে কোন সমস্যা নাই কিন্তু ইদানিং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বিজিবি’র ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা আশা করবো যে সরকারের কাছে চুক্তিকে ফলো করে সেভাবে যাতে সবকিছু হয়। এক সময় জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখার তৎপরতা ছিল এটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যে সমস্যা ছিল সেটা এখন আর নেই। এখানে যদি সমস্যা থাকেও তবে অনেকাংশে কমে এসেছে। তবে এখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে রক্ষা করাটা সেটা যথাযথ না।

শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চুক্তিকে যদি আমরা ভোজের সাথে তুলনা করি তাহলে বলা যায় এখানে যে প্রতিষ্ঠানগুলো হয়েছে প্লেটগুলো সাজানো হয়েছে, গ্লাসগুলো সাজানো হয়েছে, জগগুলো সাজানো হয়েছে এখন যদি আমরা তরকারির দিকে দেখি, এখানে দেখবো যে যতগুলো তরকারি ওখানে থাকার কথা মাছ, মাংস, ডিম এর মধ্য থেকে মূল মূল কিছু জিনিস নেই। গুনলে সরকার মাঝে মাঝে বলেন এত শতাংশ । আমি তরকারি দিয়ে ভাত খাচ্ছি এখন যদি আমি মাংসকে বেশি দরকারি মনে করি বা আমরা এ অঞ্চলে নাপ্পি খাই, শুটকি খাই, সেই ভোজের মধ্য যদি শুটকি, নাপ্পিটা বা মাংসটা না থাকে আপনি অনেক ধরনের সবজি দিয়েছেন কিন্তু মুল তরকারিটি দেননি তাহলে সে খাবার কি পরিপুর্ন হবে? কাজেই সেই আঙ্গিকে আমি যদি বলি, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হয়েছে ভূমি কমিশন, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ সেগুলো প্লেট গ্লাস, জগ ঠিক ঠিক জায়গায় আছে। কিন্তু প্লেটগুলো ভিতরে কি আছে সেটি জানলে আমরা সার্বিকভাবে চুক্তির অবস্থাটা বুঝতে পারি।

চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় আরো বলেন, পাহাড়ের আভ্যন্তরীন শরর্ণার্থী রয়েছে তাদের পুর্নবাসনে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি বিগত কয়েক বছরে। যারা শরর্ণার্থী আগে পুর্নবাসিত হয়েছেন অনেকে পুর্নবাসিত হননি তাদের এবং আভ্যন্তরীন পাহাড়ে যে উদ্বাস্ত রয়েছে তাদের পুর্নবাসন তো দুরের কথা যেখানে রয়ে গেছেন, সেখানে তাদের খাদ্যে নিরাপত্তা, চিকিৎসার নিরাপত্তা, পানির নিরাপত্তা, জীবিকার নিরাপত্তার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশ্যই শরর্ণার্থী বিষয়ক টাস্কর্ফোস রয়েছেন কিন্ত টাস্কর্ফোসের কাজ তো নেই, সুপারিশও নেই। কাগজে কলমে শুধু তালিকা রয়েছে। এই অবহেলিত বিষয়টি জোরালোভাবে সরকারের কাছে আমি বলতে চাই এদিকে একটু নজর দিতে। এখানে এখনো খুবই করুণ অবস্থা রয়ে গেছে। তাদের একটি বড় অংশ সাজেক ইউনিয়ন রয়েছে।dsc00657

ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, এক কথায় আমি যদি বলি পার্বত্য চুক্তির কিছুটা অগ্রগতি দেখা যায়। সরকার সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তিকল্পে ভূমি কমিশন আইন সংশোধন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মতামত নিয়েই তা করেছে। এটাকে অবশ্য ভালো দিক বলা যায়। এছাড়া একটি রিটের রায়ে সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৯০০ সালের আইনকে বৈধ এবং বলবৎ ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পার্বত্য চুক্তির মূল বিষয়গুলো এখনও অবাস্তবায়িত।
তিনি বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামকে এখনও বেসামরিকীকরণ করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃংখলা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। বিজিবির দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষার। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃংখলার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করে চলেছে। এটা কাম্য নয়।
রাজা দেবাশীষ বলেন, পার্বত্য আঞ্চলিক ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন কার্যকর হয়নি। এসব পরিষদে নির্বাচন জরুরি। অথচ নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের। পার্বত্য জেলা পুলিশ গঠন করা হয়নি। এছাড়া ভারত প্রত্যাগত ও অভ্যন্তরীণ পাহাড়ি শরনার্থীদের নিজ নিজ জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেই। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স থাকলেও কার্যত তা অচল। এসব বিষয় দ্রুত বাস্তবায়ন ও কার্যকর দরকার।

Share This:

The post চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে : ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8c%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%9f%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%85/feed/ 0
আমাদের আন্দোলন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88/#respond Fri, 18 Nov 2016 17:22:18 +0000 http://www.chttoday.com/?p=29902 ফিরোজা বেগম চিনু ৩ পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ... বিস্তারিত.... »

The post আমাদের আন্দোলন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফিরোজা বেগম চিনু ৩ পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখে তার আর্দশে অনুপ্রানিত হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। তিনি জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি তখন ক্লাশ ফাইভে পড়তাম, সে সময় বঙ্গবন্ধু একবার রাঙামাটি এসেছিলেন আমি ছোট থাকায় আমাকে ফুলের তোড়া দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে দেয়ার জন্য। আমি বঙ্গবন্ধুকে ফুল দেয়ার পর আমি এত আনন্দিত হয়েছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। যেদিন বঙ্গবন্ধু মারা যান dsc00092তখন আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমি এইচএসসি ভর্তি হই রাঙামাটি সরকারী কলেজে। কুমিল্লা থেকে ডিগ্রী পাশ করি। আমি যখন বিয়ের পর কুমিল্লায় যাই তখন আমার শ্বাশুরী আমাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। আমি যখন রাঙামাটি স্থায়ীভাবে চলে আসি তখন এরশাদের আমলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামালীগের সভাপতি বদিউল আলম ওয়ার্ড সভাপতি করার মাধ্যমে আমাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। পরে বর্তমান সভাপতি দীপংকর তালুকদার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেবার পর আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাকের দায়িত্ব দেন এর পর আমি মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে যে পথ চলা শুরু করেছি এখন বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হিসেবে সে পথ চলা আর থেমে থাকেনি। সম্প্রতি তার বাসভবনে সিএইচটি টুডে ডট কম টীমের সদস্যরা পাহাড়ের নানা বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলেন।

ফিরোজা বেগম চিনু এমপি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যদের বরাদ্দের বিষয়ে বলেন, আমাদেরকে আসলে সরকারের কাছে তেমন বলার কিছুই নেই। যতটুকু বলছিলাম আমাদেরকে যদি বরাদ্দ কিংবা বরাদ্দের পরিধিটা বাড়ানো হয় তাহলে হয়তো বা কাজ করতে আরো বেশি সুবিধা হবে। আরো ভাল কাজ করতে পারবো, জনগণের আরো বেশি কাছে যেতে পারবো। আমরা রাজনৈতিক কর্মী সুতরাং আমাদের এমনিতেই মাঠে ময়দানে যেতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, এলাকায় গেলাম সেখানে অনেক নিরীহ মানুষ এসে পাশে দাড়ায়, আমাদের হাতটা যদি ঐভাবে প্রসারিত করতে না পারি নিজের কাছে খারাপ লাগে। রাজনীতির কারনে আমাদের আগেও তাদের সাহায্যে সহযোগিতা করেছি এখনো করতে হয়। বরং এখন মানুয়ের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একজন মহিলা সাংসদ সরকার থেকে কি পরিমান বরাদ্দ পান সেটা কিন্তু সবাই জানে না। তবু বলব সরকার বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সুযোগ এবং সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদেরকে যদি আরো সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমরা আরো ভাল কাজ করবো।

সম্প্রতি আওয়ামীলীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারকে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য পদ দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রাঙামাটি জেলার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্যক্তি দীপংকর তালুদারকে তিন পার্বত্য জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য পদে রেখেছেন। আশা করি তিনি দলকে আরো শক্তিশালী করবেন এবং আগামীতে আমরা সবাই মিলে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব।mpchino

দীর্ঘদিনেও কেন মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কিছু জটিলতা আছে, কোন কিছু অশ্চিয়তার মধ্যে যাবে না। আমি কিছুদিন আগে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ গিয়েছি, তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। কর্তৃপক্ষ আমাকে বলেছেন আমাদের এখানে জমির মুল্য পার্বত্য অঞ্চলের ১৫% যেটি ধরা হয় সেটা সমতলে ৫০%। এই ১৫% আর ৫০% কে ধরে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যেতে হচ্ছে। আমাদের সামনে স্থায়ী কমিটির মিটিং আছে আমি বিষয়টা সেখানে জানাবো। এটা যদি দ্রুত সমাধান হয় তাহলে সব কাজ এগিয়ে যাবে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মান বা প্রকল্পের টাকা এসে গেছে অনেক আগে। কিন্তু জনগণের সাথে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জমির মুল্যর ক্ষতিপুরন ১৫% এর বেশি দিতে পারবে না। ওরা বলছে ৫০% না হলে আমরা জায়গা দিতে পারবো না। এই যে একটা দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বটার অবসান ঘটলে দ্রুত আমরা ভবনের কাজ করতে পারব।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি বিষয়ে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগেও কিন্তু পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ছিলো। এর পর ১৯৯৭সালে শান্তি চুক্তি করার পর আমরা ভেবেছি এর সমাধান পেয়ে গেছি। কিন্ত না আমরা দেখতে পেলাম পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। আর এটা যে বাঙালী গোষ্ঠীর উপর পড়ছে তাও না। এটা পাহাড়ের বসবাসরত সকলের প্রতি এই অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। এই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে পাহাড়ের ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাদা আদায় করা হয়। ঠিকাদারের সব কাজেই চাদা দিতে হয়। এই কথাগুলো বাস্তব সত্য, পরীক্ষিত সত্য। কিন্তু প্রমানের অভাবে এইগুলোর পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে এই চাঁদার হার দিন দিন গৃহের দিকে চলে যাবে। এক পাহাড়ী মেয়ে আমাদের মিটিংয়ে বললো বিয়ে হলেও নাকি তাদের চাদা দিতে হয়। এররকম একটি পরিস্থিতিতে আমরা এগুলো সরকারের কানে দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত আছে থাকবে। আমাদের আন্দোলন সন্ত্রাস, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। আমরা চাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হোক।

গত দুই বছরে প্রত্যাশা অনুযায়ী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,প্রশাসন প্রশাসনের মতই কাজ করছে। তারপরও আমরা চাই এই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা তো শান্তি চুক্তি করেছি সব অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তাহলে এই সব অবৈধ অস্ত্র কোথা থেকে আসছে? কিভাবে আসছে? আমাদের সীমান্ত প্রহরীরা সীমান্ত দায়িত্ব রক্ষা করে। তাদের চোখে ধুলা দিয়ে এই সব অবৈধ অস্ত্র কিভাবে আসছে? সরকারের সবাই বিষয়টা জানেন। এই এলাকার শান্তির জন্য অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনে নিয়ে বাঙালীদের উদ্বেগের বিষয়ে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেছেন, অনেকে মনে করছে, পার্বত্য অঞ্চল থেকে অনেক বাঙালী চলে যেতে হবে। আসলে আমি আইনটা পড়েছি, অনেক বার পড়েছি এবং আমি আমাদের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও ভূমি মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি তারা বলেছেন, আপনারা অনেক ভয় পাচ্ছেন এটা আসলে তেমন কোন সমস্যা না। যেই ভূমিটা নিয়ে বিরোধ আছে সেইগুলোকে নিয়েই ভূমি কমিশন কাজ করবে । এর বাইরে কোন কাজ করবে না ভূমি কমিশন। অনেকে আমাদের বিরোধী আছে তারা বলছে, প্রথাগত অনুযায়ী তারা ভূমি দাবি করে, সেখানে দেখা যাবে অনেকের কোন কাগজপত্র নেই, এটার উপর ভিত্তি করে হয়তো অনেকের আইনের মাধ্যমে ভূমি ছাড়তে হবে। এই বিষয়ে আমি এখনো বুঝি নাই। আমি এই বিষয়টা নিয়েও কথা বলবো। আমার মনে হয় না দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, দেশের প্রচলিত আইনকে শ্রদ্ধা করার স্বার্থে এই ধরনের কার্ম কান্ড করবে। আমি সবাইকে অনুরোধ জানাবো আপনারা শান্ত থাকুন, যারা আপনাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি। সব সমাধান হবে অবশ্যই হবে যে যার ন্যায্য অধিকারটুকু পাবে। আমরা এতটুকু জানি, যদি একটা জায়গা নিয়ে দুই জনের দাবি থাকে তাহলে সেইখানে যার কাগজ পত্র সঠিক আছে সেই জায়গা পাবে কিন্তু যার কাগজ পত্র সঠিক থাকবে না তাকে চলে যেতে হবে না,আমরা তার বিকল্প ব্যবস্থা করবো। Rangamati Pic-21-07-16-03আমার কথা খুব স্পষ্ট এই বাংলাদেশ আমরা ১৯৭১ সালে সকলে মিলে স্বাধীন করেছি। এই পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অংশ। এই দেশের জন্য আমাদের বাপ ভাইয়েরা প্রাণ দিয়েছে। সুতরাং এই স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে কেউ যদি বলে এইখান থেকে চলে যেতে হবে। এটা হবে অযৌক্তিক কথা ও অমানবিকের মত কথা। আপনারা জানেন হয়তো বা পার্বত্য ভুমি কমিশনের যে ২য় সভাটি হলো সেখানে রাজা দেবাশীষ বায় বললেন আমরা তো আইনের বাহিরে যেতে পারবো না। সুতরাং ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই। যদি এই কথাগুলো সত্য হয় তাহলে আমি মনে করি সুন্দর একটি সমাধান হবে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইবে এবং তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটন নগরী হিসাবে বিশ্বের কাছে খ্যাতি লাভ করবে। আমি মিডিয়া মাধ্যমে বলতে চাই যারা অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে চাদাবাজি করছে, আসুন আপনারা চাদাবজি পরিহার করে, অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে আলোর পথে আসুন।

Share This:

The post আমাদের আন্দোলন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88/feed/ 0
সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করাই হবে আমার প্রথম কাজ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae/#respond Sat, 09 Jan 2016 20:14:15 +0000 http://www.chttoday.com/?p=21479 বিশেষ প্রতিনিধি, সিএইচটি টুডে ডট কম। রাঙামাটি পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি... বিস্তারিত.... »

The post সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করাই হবে আমার প্রথম কাজ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

বিশেষ প্রতিনিধি, সিএইচটি টুডে ডট কম। রাঙামাটি পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আমার প্রথম কাজ হবে পৌর এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপন করা। এখানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের বসবাস, তুচ্ছ ঘটনা অনেক সময় সাম্প্রদায়িক ঘটনায় রুপ নেয় তাই আমি চাই রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি Akbar  Hussan Chawdary AL  copyরক্ষাসহ সকল সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
তিনি পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন সিএইচটি টুডে ডট কম এর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।

“যুবনেতা আকবর হোসেন চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯০-১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের কালিন্দিপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারন সম্পাদক, ১৯৯২ সালে বৃহত্তর বনরুপা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি,১৯৯৪ সালে রাঙামাটি সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে রাঙামাটি সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০০ সালে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৪ সালে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ২০০৭ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ২০১২ সাল থেকে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রাজনীতির পাশাপশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের ২০১২-২০১৪ সালের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের একত্রিত করে দলীয় ব্যানারে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ”

সিএইচটি টুডে ডট কম এর সাথে আলাপচারিতায় রাঙামাটি পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি প্রথমে রাঙামাটি পৌরবাসিসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, কারন আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সকলে মিলে পৌরবাসির সেবা করার জন্য যে রায় দিয়েছে তা আমি যথাযথভাবে পালন করব। যদিও আমি একটি দলের ব্যানারে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি কিন্তু পৌরসভাকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করব না, পৌরসভা থাকবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

আপনারা জানেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, এখানে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। আওয়ামীলীগ যেহেতু একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল এবং আমি সে দলের একজন কর্মী হিসেবে অতীতে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমি মাঠে ময়দানে কাজ করেছি, এখন তা আরো বেশী করে করব। আমার প্রথম কাজ হচ্ছে রাঙামাটিকে সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির শহর হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের বিজয়টা আমার একার নয়। এটা আওয়ামীলীগের বিজয়। আওয়ামীলীগের প্রতি বিশেষ করে, এ অঞ্চলে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর ঐক্যের প্রতিক সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা দীপংকর তালুকদারসহ আওয়ামীলীগ ও এর অংগ-সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের পরিশ্রমের ফসল আমার এ বিজয়।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আওয়ামীলীগ একসাথে ঐকবদ্ধভাবে জনগনকে নিয়ে কাজ করলে আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা। আমি আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

পর্যটন শহর রাঙামাটিকে নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অত্যন্ত একটি প্রিয় শহর রাঙামাটি। এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে যা যা করণীয় তা করা হবে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর পর্যটনের উন্নয়নে এখানকার অন্যান্য যে সকল সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রয়েছে যেমন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদসহ সকলের সাথে আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ শুরু করবে। তবে পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ পৌরসভার পক্ষ থেকে শুরু করা হবে।

পৌরসভা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জানাতে গিয়ে মেয়র বলেন, প্রথমে আমার কাজ হবে রাঙামাটি শহরকে সুন্দরভাবে গড়তে সকলকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরী করা। সকলের মতামত নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। তাছাড়া পর্যটন শহর রাঙামাটিকে সুন্দরভাবে ও পর্যটন উপযোগী করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে, তার মধ্যে- দুর্গন্ধমুক্ত পৌর শহর গড়ে তোলা, বর্তমানে শহরের বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত স্থায়ী ডাস্টবিন রয়েছে তা ভেঙ্গে ভ্রাম্যমান কিছু ডাস্টবিন পৌরসভার পক্ষ থেকে তৈরী করা হবে যাতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা জমে না থাকে। এসব স্থানে ময়লা ফেলাসহ সেসব ময়লা কখন পরিস্কার করা হবে তার একটি নির্দেশনা পৌরসভা থেকে সকলকে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে এজন্য শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলে যাতে সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে তার জন্য পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের আয়োজন করা হবে।DSC00484

পৌরবাসির স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে নব নির্বাচিত মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে ও রাঙামাটি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলাম। এ বিষয়ে আমার একটি পূর্বপরিকল্পনা ছিল। যেহেতু জনগনের রায়ে আমি পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছি, জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করকে পৌরসভা থেকে বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। কারন রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক দুস্থ ও গরীব মানুষ আছে, যাদের পক্ষে আর্থিক সমস্যার কারনে চিকিৎসাসেবা গ্রহন করা অনেক সময় সম্ভব হয়না। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে যাতে রাঙামাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাসে একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় তার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। এছাড়া রাঙামাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে দুস্থরোগীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যাতে একটি এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা যায় তার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, যুব সমাজ হচ্ছে দেশের সম্পদ। রাঙামাটি শহরের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করতে যা যা করণীয় আমি করব, কারন যুবসমাজ নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ ধংসের মুখে পড়বে। এ এলাকার সন্তান হিসেবে যুবসমাজকে মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া হবে।
পরিশেষে নব নির্বাচিত মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত করার জন্য পৌরবাসির কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জনগন আমার উপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে রায় দিয়েছে, আমি তার যথাযথ মূল্যায়ন করবো। আমাকে মেয়র হিসেবে না দেখে অতি আপনজন হিসেবে. নিজের ভাই,বন্ধু, ছেলে হিসেবে সহযোগীতা প্রদানের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। চলার পথে আমার কোন ভূল হলে তা আমাকে জানাবেন, আমি সঠিকভাবে পৌরবাসির কাছে থেকে কাজ করতে চাই। আমার দরজা পৌরবাসির জন্য সবসময় খোলা থাকবে।

Share This:

The post সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করাই হবে আমার প্রথম কাজ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae/feed/ 0
যেমন কাটছে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার দিনকাল https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf/#respond Thu, 07 May 2015 19:25:09 +0000 http://www.chttoday.com/?p=14801 হিমেল চাকমা, সিএইচটি টুডে ডট কম। । রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার... বিস্তারিত.... »

The post যেমন কাটছে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার দিনকাল appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

হিমেল চাকমা, সিএইচটি টুডে ডট কম। । রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা । আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত পরিষদে প্রায় ৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। গত ২৫ মার্চ নতুন পরিষদ গঠন হলে পরিষদ হতে বাদ পড়েন তিনি। নতুন পরিষদের কাছে Rangamati Nikhi kumar Chakma Intervewদায়িত্ব হস্তান্তরের পর পরই সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যান জেলায় কিছু দিন আগের জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটি। সামাজিক, ধর্মীয়, নিজ রাজনৈতিক দলীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন জনকল্যাণ কাজে তার পদচারণা চোখে পড়ে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়ার পর সবকিছু মিলে কেমন সময় কাটছে তা নিয়ে শহরের তবলছড়িতে বাসায় খোলামেলা কথা বলেন নিখিল কুমার চাকমা।
এসময় তিনি বলেন, দায়িত্ব ছাড়ার পর পরই দ্রুত সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়েছি। এতে যেতে সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যান হয়ে আমি কখনও নিজেকে বড় ভাবিনি। এখনও ভাবি না। মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছি। চেয়ারম্যান হিসেবে যতদিন ছিলাম ততদিন তাদের কাজ করেছি। তাদের কাছে দুরে থাকলে তো রাজনীতি করার অর্থ হয় না। সাধারণ মানুষ আছে বলে আজকে আমি নিখিল কুমার। তারা না থাকলে আমার থাকার অর্থ হয় না। আমি তাদের কাছ থেকে যেমন দুরে সরে যায়নি। তারাও আমাকে দুরে ঠেলে দেয়নি। আমি চেয়ারম্যান হয়েও কখনও চেয়ারম্যানের ভাব নিয়ে বসে থাকতে পছন্দ করিনি। সব সময় সাধারণ মানুষের মত ছিলাম। যতটুকু পারি তাদের পাশে ছিলাম। এটি আমার জন্য উপকার হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি মানুষ আমাকে দুরে ঠেলে দেয়নি বরং আরো আপন করে নিয়েছে। যেখানে যাচ্ছি সেখানে আমার শুভাকাঙ্খী পাচ্ছি। আগে আত্মীয় স্বজনদের সময় বেশী দিতে পারিনি। এখন তাদের একটু সময় দিচ্ছি। সামাজিক কাজে নিজেকে আরো বেশী সম্পৃক্ত করেছি।

বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যান থেকে অবসরের পর আমি মোটর সাইকেল ও সিএনজিতে ( অটোরিকশা শহরের একমাত্র যাত্রীবাহন) চড়েছি। এখনও তা অব্যাহত আছে। এতে আমার কোন সমস্যা হয় না। আনন্দ অনুভব করি। সাধারণ মানুষের ন্যায় চলাফেরা করতে পারায় আলাদা আনন্দ আছে।

চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা ব্যর্থতা বিষয়ে তিনি বলেন, যতটুকু পারি পরিষদকে ভালভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি। কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল। তা সত্বেও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। যদি ব্যর্থ হতাম তাহলে সাধারণ মানুষ আমাকে গ্রহণ করত না।
চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোন শূন্যতা অনুভব করেছেন কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান- সদস্যদের পদ মর্যাদা নির্ধারণ না হওয়া অন্যতম একটি সমস্যা অনুভব করেছি। চেয়ারম্যান-সদস্যদের পদ মর্যাদায় নির্ধারিত হওয়া দরকার।

নির্বাচনের অজুহাত দেখিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যদের পদ মর্যাদা নিধার্রণ হচ্ছে না। অনির্বাচিত অনেককে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের অজুহাতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যদের পদ মর্যাদা নির্ধারণ করা হচ্ছে না।

নতুন পরিষদের কাছে কোন পরামর্শ আছে কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, নতুন পরিষদের মধ্যে কয়েকজন আমার আমলে সদস্য ছিলেন। তারা আমার কাছে পরামর্শ চাইলে আমার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগী করি। তাছাড়া নতুন যারা এসেছেন তারা সবাই আমার পরিচিত এবং কাছের মানুষ। তবে নতুন পরিষদের প্রতি আলাদাভাবে আমার কোন পরামর্শ নেই।

নতুন পরিষদে থাকতে না পারায় মনে কষ্ট আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, মনে আমার কোন কষ্ট নেই। আমি যখন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করছি তখন ধরে নিয়েছি এই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। তাই যে পোশাক পরে দায়িত্ব নিয়েছি সেই পোষাক পড়ে দায়িত্ব ছেড়েছি। এতদিন পোষাকটি যতœ করে রেখেছি। পোষাকটি ঠিক রাখতে মাঝে মাঝে এই পোষাক দিয়ে অফিসও করেছি। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে বিগত কোন চেয়ারম্যান আমার মত দীর্ঘ সময় চেয়ারম্যান থাকেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমার দীর্ঘ সময় থাকার সুযোগ হয়েছে। এজন্য আমি ভাগ্যবান মনে করি।Rangamati Nkhil Intervew Pic

রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকবেন কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, একজন মানুষ বৃদ্ধকাল পর্যন্ত রাজনীতি করে। তিনি অন্যর সহায়তা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। এখন দলকে আরো সময় বেশী দিচ্ছি। মে দিবসে একাধিক কর্মসূচিতে আমি উপস্থিত ছিলাম।
নতুন পরিষদ গঠনে জেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, কোন কোন্দল আমার চোখে পড়েনি। গণতান্ত্রিক দলে প্রতিযোগীতা থাকবে এটা স্বাভাবিক।

নিজের গ্রামের মানুষের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নানিয়াচরের ১৮ মাইল এলাকার মানুষের কথা সবসময় মনে রাখি। সময় সুযোগ হলে যাওয়া হয় সেখানে। এখন আরো বেশী যাওয়া হবে।

জেলা পরিষদের নির্বাচন প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। নির্বাচন হলে অপ্রয়োজনীয় নানান কথাবার্তা আসত না। নির্বাচন হওয়া জরুরী। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান আরো একটু ঢেলে সাজানো উচিত। বর্তমানে সদস্য বাড়ানো হয়েছে। এতে তেমন উপকারে আসবে না। তারা মাঠে থাকবে। কিন্তু প্রশাসনের কাজ চালানোর জন্য জনবল কম। তা বাড়ানো দরকার।

Share This:

The post যেমন কাটছে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার দিনকাল appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf/feed/ 0
জনসংহতি সমিতির নেতারা দ্বৈতনীতি অবলম্বন করছেন অভিযোগ মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%8d/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%8d/#respond Sat, 17 Jan 2015 13:23:50 +0000 http://www.chttoday.com/?p=11713 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের দিন সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে রাঙামাটিতে... বিস্তারিত.... »

The post জনসংহতি সমিতির নেতারা দ্বৈতনীতি অবলম্বন করছেন অভিযোগ মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের দিন সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলনে MP Chinu Rangamatiসংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একদিকে মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন অন্যদিকে মেডিকেল কলেজে ছাত্র ভর্তির জন্য ডিও লেটার দিচ্ছে , এমন দ্বেতনীতি অবলম্বন করে তারা শান্তি প্রিয় জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা যদি বিপক্ষেই থাকেন, তাহলে আবার সুপারিশ করছেন কেন? জনগনের মাঝে কেন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

আজ শনিবার সকালে রাঙামাটিতে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিরোজা বেগম চিনু এমপি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া, আমরা বলছি চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে আর জেএসএস বলছে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি, তাই বলব আসুন বসি চুক্তি কি বাস্তবায়ন হয়েছে আর কি হয়নি আমরা বিষয়টা নিয়ে আলেচনা করি। আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করি।
ফিরোজা বেগম চিনু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনার বিষয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনা পার্বত্যাঞ্চলে নতুন নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে ঘটুক তা আমরা চাই না। ঘটনাগুলো ঘটছে সাধারণ বিষয় থেকে। তাই ভবিষ্যতে যাতে ঘটতে না পারে সেজন্য সম্মিলিত উদ্যোগে যে কোনো বিষয় স্থানীয়ভাবে সমাধান করে ফেলতে হবে। তিনি যেভাবেই হোক এলাকার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই ঘটতে দেয়া যাবে না। কাজেই এজন্য সবাইকে আন্তরিক ও সহমর্মি হতে হবে।
মেডিকেল স্থাপন নিয়ে এমপি চিনু বলেন, রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাঙামাটিতে মেডকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এর বিরোধিতা যারা করছে তারা গুটিকয়েক। তারা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসেও লিপ্ত। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সব কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধামন্ত্রী রাঙামাটি থেকে এ মেডিকেল কলেজটি কোথাও সরাবেন না। বান্দরবানে মেডিকেল কলেজটি স্থানান্তরে সরকারের প্রস্তাবনার বিষয়টির সত্যতা উল্লেখ করে ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসন থেকে খোঁজ নিয়ে প্রস্তাবনার বিষয়টি জানতে পেরেছি।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন প্রশ্নে মহিলা এমপি চিনু বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে সময় দিতে হবে। ইতিমধ্যে চুক্তির সিংভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে সরকার। চুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। বাস্তবায়নও করবে এ সরকার। এতে উদ্বেগের কিছুই নেই।
ফিরোজা বেগম চিনু এমপি আরো বলেন, চুক্তির কোথাও লেখা নাই যে পার্বত্য চট্টগ্রামে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন করতে গেলে আঞ্চলিক পরিষদ ও জেএসএস কে বলে করতে হবে। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমাকে আহবান করলেও তার কাছ থেকে কোন সহযেগিতা পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা স্থানীয়, জাতীয় , প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share This:

The post জনসংহতি সমিতির নেতারা দ্বৈতনীতি অবলম্বন করছেন অভিযোগ মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%8d/feed/ 0
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যাংক ঋনের ব্যবস্থা করা হলে ঘুরে দাঁড়াবে খাগড়াছড়ি’র পর্যটন খাত : অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%88%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%88%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82/#respond Fri, 26 Dec 2014 16:30:47 +0000 http://www.chttoday.com/?p=11110 বিগত ১৯৯১ সাল থেকে ঠিকাদারী ব্যবসা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। তখন পাহাড়িদের মধ্যে ঠিকাদারীর... বিস্তারিত.... »

The post রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যাংক ঋনের ব্যবস্থা করা হলে ঘুরে দাঁড়াবে খাগড়াছড়ি’র পর্যটন খাত : অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

বিগত ১৯৯১ সাল থেকে ঠিকাদারী ব্যবসা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। তখন পাহাড়িদের মধ্যে ঠিকাদারীর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় হাতেগোনা মানুষই যুক্ত ছিলেন।Onnta
তাঁর হাত ধরেই পাহাড়িদের অনেকে এই পথে পা বাড়িয়েছেন এবং সফলভাবে টিকেও আছেন।
তিন দশকের বেশী সময় ধরেই দাপটের সাথে ব্যবসা করেছেন।
সময় পাল্টেছে, পাল্টে গেছে পাহাড়ে ঠিকাদারী ব্যবসার সহজ সমীকরণও। এক সময় চিন্তা করলেন, স্থায়িত্বশীল এবং কর্মসংস্থানমুখী ব্যবসা করা চায়। সেই চিন্তা থেকেই ২০১১ সালে জেলাশহরের মিলনপুরস্থ নিজস্ব জায়গায় ১ কোটি টাকা বিনিয়োগে আবাসিক হোটেল নির্মাণকাজে হাত দেন। এক বছরের মাথায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই গ্রাহকদের সামনে আত্মপ্রকাশ ঘটান বিলাসবহুল ‘গাইরিং হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’র। এখন যেখানে তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
শুরুতে একটি আবাসিক এলাকায় আবাসিক হোটেলের ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে অনেকে উস্মা প্রকাশ করেন। কিন্তু বছর না যেতেই আশার আলো দেখেন তিনি এবং অন্যরাও।
প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারী ব্যবসা থেকে তিনি এখন পুরোদস্তুর পর্যটন উদ্যোক্তা। তিনি শুধু নন, বিগত আধাযুগে খাগড়াছড়ি জেলাশহরে গড়ে উঠেছে, ২৫টি ছোট-বড়ো আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউজ এবং ডরমেটরি।
বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি হোটেল-মোটেল মালিক এসোসিয়েশনের সাঃ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করছেন।
অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, পর্যটন ব্যবসাকে সামাজিক দায়বদ্ধতা, রাজনীতিমুক্ত, কর্মসংস্থান, পারিবারিক আয়ের ভিত্তি এবং সর্বোপরি সেবা ও আতিথেয়তার ক্ষেত্র হিসেবেই চিহ্নিত করেন।
খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটন খাতের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনার আলো যেমন তাঁর চোখেমুখে। তিনি মনে করেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড়-সমতল এবং নদী মাতৃকতার যে সমন্বয় ঘটেছে, তা দেশের অন্য কোন জেলাতেই নেই। বিশেষায়িত পর্যটন স্পটগুলো ছাড়াও এখানকার জাতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, খাদ্যাভাস, হস্তশিল্প যেকোন মানুষের মনোযোগ আকর্ষন করতে সক্ষম।
তিনি মনে করেন, ‘পর্যটন’ ব্যবসা এমন একটি খাত, যেটির সাথে পরিবহন, খাবার, স্থানীয় শাক-সবজি, ফলমুল এবং শিল্প-সংস্কৃতি পর্যন্ত জরুরী। একদল পর্যটকের আগমনের সাথে পাল্টাতে থাকে ওই এলাকার জীবনমানের অর্থনৈতিক নিক্তিও।
মোটাদাগে হয়তো সেটি রাতারাতি দৃশ্যমান না হলেও গত একদশকে ব্যবসার সাথে বা উদ্যোক্তা হিসেবে সম্পৃক্তদের কাছে বিষয়টি মোটামুটি পরিস্কার।
নিজের প্রতিষ্ঠান ‘গাইরিং’-এর বার্ষিক টার্নওভার এখন ১৫ লক্ষ টাকা হলেও তিনি তাতে সন্তুষ্ট। কারণ, দিনকে দিন পর্যটকের আনাগোনা যেমন বাড়ছে তেমনি টাকার ঘরটিও বড়ো হতে চলেছে।
খাগড়াছড়ি জেলাশহরে নির্মাণাধীন এবং নিকট ভবিষ্যতে চালু হবার পথে থাকা বেশক’টি বড়ো বাজেটের হোটেলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি জেলাটি ভৌগলিক কারণে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার সাথে সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত। ফলে এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো যেমন পর্যটকরা দেখতে পান; তেমনি বাংলার ভূ-স্বর্গখ্যাত ‘সাজেক ভ্যালী’ ঘুরে দেখা অথবা লংগদু হয়ে কাপ্তাই হ্রদে ভাসার রোমাঞ্চ বাড়তি পাওনা।
যোগাযোগ অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার এবং পরিবহন নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে অপর দুই পার্বত্য জেলার চেয়ে খাগড়াছড়ি এগিয়ে থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার সাথে বিভিন্ন উপজেলা এবং উপজেলার সাথে প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটছে। সড়ক সম্প্রসারণ, সেতু উন্নয়নসহ জেলার সাথে ঢাকা-চট্টগ্রামের যোগাযোগ ক্রমেই কমে আসছে। এখানকার আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতাও আস্তে আস্তে পর্যটনবান্ধব হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই জেলাশহরের সবক’টি হোটেল ব্যবসার শুভ সূচনা করেছে। এসব মাপকাঠিই ইঙ্গিত দিচ্ছে, ‘খাগড়াছড়ি’ আগামী দিনের পর্যটন ব্যবসার উর্বরভূমিতে পরিণত হবে।
তিনি মনে করেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, পর্যটন কর্পোরেশন, পাহাড়ের স্থানীয় সরকার কাঠামো ও প্রশাসন যদি পাহাড়ের পর্যটন খাতকে অর্থনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে চিহ্নিত করার সময় এসেছে। সে অনুযায়ী সমীক্ষা, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ঋনের ব্যবস্থা এবং ‘ট্যুরিজম পুলিশিং’ কার্যক্রম হাতে নেয়া প্রয়োজন।
তিনি পর্যটকদের মাঝে পাহাড়ি সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ নিয়ে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পর্যটকের প্রত্যাশিত শ্রান্তি ও বিনোদনের জন্য প্রশিক্ষিত ‘ট্যুর গাইড’ কার্যক্রম হাতে নেয়া যেতে পারে।
তবে অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, এলাকার দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক স্বার্থ, মিডিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা পর্যটন বিকাশে অনেক বেশী সহায়ক হতে পারে।

Share This:

The post রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যাংক ঋনের ব্যবস্থা করা হলে ঘুরে দাঁড়াবে খাগড়াছড়ি’র পর্যটন খাত : অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%88%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82/feed/ 0
রাঙামাটিতে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবেই https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a4/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a4/#respond Sun, 16 Nov 2014 18:47:10 +0000 http://www.chttoday.com/?p=9836 ফিরোজা বেগম চিনু ৩ পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে... বিস্তারিত.... »

The post রাঙামাটিতে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবেই appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফিরোজা বেগম চিনু ৩ পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখে তার আর্দশে অনুপ্রানিত হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। তিনি জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর chinuআমি তখন ক্লাশ ফাইভে পড়তাম, সে সময় বঙ্গবন্ধু একবার রাঙামাটি এসেছিলেন আমি ছোট থাকায় আমাকে ফুলের তোড়া দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে দেয়ার জন্য। আমি বঙ্গবন্ধুকে ফুল দেয়ার পর আমি এত আনন্দিত হয়েছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। যেদিন বঙ্গবন্ধু মারা যান তখন আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমি এইচএসসি ভর্তি হই রাঙামাটি সরকারী কলেজে। কুমিল্লা থেকে ডিগ্রী পাশ করি। আমি যখন বিয়ের পর কুমিল্লায় যাই তখন আমার শ্বাশুরী আমাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। আমি যখন রাঙামাটি স্থায়ীভাবে চলে আসি তখন এরশাদের আমলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামালীগের সভাপতি বদিউল আলম ওয়ার্ড সভাপতি করার মাধ্যমে আমাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। পরে বর্তমান সভাপতি দীপংকর তালুকদার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেবার পর আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাকের দায়িত্ব দেন এর পর আমি মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে যে পথ চলা শুরু করেছি এখন বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হিসেবে সে পথ চলা আর থেমে থাকেনি। সম্প্রতি তার বাসভবনে সিএইচটি টুডে ডট কম টীমের সদস্যরা পাহাড়ের নানা বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা।

প্রশ্ন: স্বাধীনতার ৪২ বছর পর রাঙামাটির মানুষ একজন মহিলা বাঙ্গালী সংসদ সদস্য পেল বিষয়টি কেমন লাগছে?

অভিমত: রাঙামাটিতে দীর্ঘদিন পরে একজন মহিলার সংসদ সদস্য পেয়েছে এটা রাঙামাটিবাসীর জন্য গর্বের ব্যাপার। আমি পাহাড়ী বাঙ্গালী সেই বিভাজনে যাব না, আমি মনে করছি এই পার্বত্য অঞ্চলে রাজনীতি করেছি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পাহাড়ী বাঙ্গালী এবং নারীদের জন্য কাজ করেছি। পাহাড়ের মহিলাদের রাজনীতিতে আনিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, বর্তমান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের সহযোগিতা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার মুল্যায়নের কারনে আমি সংসদ সদস্য হয়েছি। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

প্রশ্ন: পার্বত্য জেলার একমাত্র নারী সংসদ সদস্য হিসেবে আপনার কমিটমেন্ট কি? গত এক বছরে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন?
অভিমত: আমি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহনের পর আমি পার্বত্যবাসীর বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছি আমি এর বাইরে যাই নাই। আমি সংসদে পাহাড়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন অপহরন বন্ধের দাবী জানিয়েছি, আমি বলেছি এখানকার মেয়েরা অবহেলিত, তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয় না, বিশেষ করে অউপজাতীয় মেয়েরা বাবার সম্পত্তি পায় না, এখানকার মেয়েরা পিছিয়ে রয়েছে তাদের আত্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রয়োজন। আগামী ১ বছরের জন্য আমি কতুকছড়িতে জিআর, টিআর, কাবিখা এর মাধ্যমে ৪টি সোলার প্যানেলের প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন ফিশারি বাধ হওয়ার পর এটি সংস্কার হয়নি বাঁধটি এখন হুমকির সম্মুখীন। আমি পানি সম্পদমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি ডিও লেটার দিয়েছি উনি কথা দিয়েছি এটি করে দিবেন। যেখানে বসার জায়গা থাকবে, স্পিল ওয়ে থাকবে বাঁধটি হবে দৃষ্টি নন্দন। এছাড়া রাঙামাটিবাসীর চাহিদা অনুযায়ী যখন যেখানে যা দরকার আমার সহযোগিতা থাকবে।

প্রশ্ন: নারী সাংসদদের এলাকার উন্নয়নে যে পরিমান বরাদ্দ দেয়া হয় সেটি কি যথেষ্ট বলে আপনি মনে করেন?
অভিমত: একেবারেই বরাদ্দ অপ্রতুল। আমাদের নির্বাচিত জন প্রতিনিধি যদি ৩ টাকা পান সেখানে আমি পাই ১টাকা। পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে ছোট বরাদ্দ তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। আমি বিভিন্ন সভা সেমিনারে বলেছি এর পরিবর্তন হওয়া দরকার। উদাহরন স্বরুপ বলতে পারি সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয় থেকে পুরুষ সদস্য পেয়েছেন ২০টি সেলাই মেশিন আর মহিলা সংসদ সদস্যকে ৫টি সেলাইমেশিন দেয়া হয়েছে। এটি এক ধরনের বৈষম্যে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করব নারী পুরুষের এই বিশাল বৈষম্যে দুর করা উচিত। প্রয়োজনে সংরক্ষিত আসনগুলোতে নির্বাচন করা যেতে পারে। আমার ইচ্ছা আছে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর মাধ্যমে নারীর উন্নয়নে কিছু করার।

প্রশ্ন: গত ৫ জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে আপনারা হেরে গেছেন এর কারন কি?

অভিমত: রাঙামাটির প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন ছিল, আপনারা সকলেই জানেন রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি নিজেদের ইচ্ছামত সিল মেরে ব্যালেট বাক্স ভর্তি করেছে এটা অলিখিত সত্য, এক ধরনের ওপেন সিক্রেট আমরা আমাদের গনতান্ত্রিক ভোটারধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি আমরা হেরে যায়নি আমাদের হারানো হয়েছে।

প্রশ্ন: আপনার দলের অনেক নেতা দাবী করেছেন অবৈধ অস্ত্রধারীরা মানুষকে জিম্মি করে রাখায় আপনার দল হেরে গেছে তাই যদি অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?

অভিমত: অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এটা ঠিক না, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঙ্গিকে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্র্র্র্রনালয়কে জানিয়েছি। আমি সংসদে বলেছি আমাদের সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার সংসদে পাহাড়ে চাঁদাবাজি, খুন, অপহরন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন। আমরা আশা করি সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে চাঁদাবাজি বন্ধে।

প্রশ্ন: পাহাড়ী বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্ম্পকের উন্নয়নে কি পদক্ষেপ নিবেন?

অভিমত: আমি সর্বপ্রথম চাই আমরা পাহাড়ী বাঙ্গালী যারা বসবাস করছি তাদের মধ্যে সুসর্ম্পক গড়ে উঠুক। বিশ্বাস ও আস্থা সব সময় থাকুক। সুর্ম্পক উন্নয়নের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। জেএসএস নির্বাচনের সময় আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মাঠে সশস্ত্র অবস্থান নিলেও বিজুর দিন তার বাসায় গিয়েছিলাম। আমি উষাতন তালুকদারকে বলেছি আমার সাথে আপনার মতাদর্শে ভিন্নতা থাকতে পারে, রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে যেটা রাস্তা, মাঠে ঘাটে । কিন্তু আমাদের ব্যাক্তিগত সর্ম্পক থাকবে ভালো নিবিড়। আসলে এই জিনিসটা সকলের বোঝা উচিত আমি বিশেষ করে নিরীহ পাহাড়ীদের কথা বলব তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে একবার বলা হচ্ছে সরকার তাদের বাঙ্গালী বানিয়ে ফেলছে এ কথা বলে বাঙ্গালীদের কাছ থেকে দুরে সরিয়ে রাখা হয়েছে, আন্দোলন করানো হচ্ছে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে। এসব করে তাদের সাথে আমাদের দুরত্ব বাড়ানো হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না সরকার পাহাড়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করছে পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলের জন্য আমরা পাহাড়ী বাঙ্গালী বিভাজন চাই না। কারন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এখানে সবাই তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা, সংস্কৃতি নিয়ে বসবাস করবে।

প্রশ্ন: সরকারের এ মেয়াদে আপনারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন?
অভিমত: শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন একটা চলমান প্রক্রিয়া , চুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে আমার কষ্ট আমরা যাদের সাথে চুক্তি করেছি তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আমরা চুক্তি অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং পর্যটন জেলা পরিষদ ন্যস্ত করেছি। এই দুইটা অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত দেয়া সত্বেও তারা একটা অনুষ্ঠানেও আসেননি এটা দু:খজনক। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক। তারা যদি সত্যিকারর্থে চুক্তি বাস্তবায়ন চায় তাহলে তাদের উচিত সরকারের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে করলে চুক্তিটা আর ফলপ্রুস হবে সে বিষয়ে সহায়তা করা কিন্তু সেটা তারা করছে না। তবে আমার নেত্রী চুক্তি বাস্তবায়নে ওয়াদাবদ্ধ তিনি চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন।

প্রশ্ন: জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাতিল, জেলা পরিষদ আইন সংশোধনী বাতিলের দাবী জানিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবী জানিয়েছে বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন?
অভিমত: পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাতিলের জন্য তারা যে দাবী করেছেন সেখানে বলতে হয়, সংসদে আমরা বিলটি উপস্থাপনের পর যখন স্থায়ী কমিটিতে গেল তখন ৩ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে সুবিদ আলী ভুইয়া, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং উষাতন তালুকদার ছিলেন। ৩ জনকে সমন্বয় করে সাব কমিটি গঠন করা হয়েছিল যাতে চুক্তির কোথাও ভুল ভ্রান্তি আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরাক্ষা করার জন্য। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর উনারা ৩জনই স্বাক্ষর করে বিলটি জমা দিয়েছেন। বিলটি উপস্থাপনের পর আমরা সংসদে পাশ করেছি। অথচ সাব কমিটির মেম্বার উষাতন তালুকদার রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এর বিরোধীতা করেছেন। উনি ঢাকায় এক ধরনের কথা বলেছেন আর রাঙামাটিতে এসে নিরীহ জনগনকে এক ধরনের কথা বলা এটা পাহাড়ী বাঙ্গালী সর্ম্পকের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। আমরা যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করছি আমরা নিরীহ সহজ সরল, মানুষকে ঢাকায় এক ধরনের কথা বলা আবার রাঙামাটিতে এসে আরেক ধরনের কথা বলি এটা সর্ম্পক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। এসব দ্বিমুখী কথা বার্তা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। আমি অনুরোধ উনারা যেন এই কাজটা না করেন । পাহাড়ী বাঙ্গালী সর্ম্পক উন্নয়নে কাজ করেন।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে জনসংহতি সমিতি মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা করেছে যদিও সরকার ইতিমধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে কিন্তু জায়গা নিয়ে সমস্যা রয়ে গেছে সব বাধা বিপত্তি পিরিয়ে কি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কাঙ্খিত পথে চলতে পারবে?

অভিমত: প্রধানমন্ত্রী যখন চেয়েছেন, এলাকাবাসীর যখন দাবী তখন রাঙামাটিতে সকল বাধা বিপত্তি পিরিয়ে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবেই। যারা বিরোধীতা করছেন তাদের বলব এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনার আমার সন্তানেরা লেখা পড়া করবে। আপনারা এটি বাধা না দিয়ে এটা আরো কিভাবে সুন্দর হবে, ভালো হবে সে বিষয়ে সহায়তা করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের কিছু রেখে যাওয়া দরকার। আর বলতে হয় প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন তখন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবেই। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের মত কঠিন কাজ এবং যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্য করার মত কঠিন কাজ যখন বাংলার মাটিতে বাস্তবায়ন হয়েছে তখন মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কাজ করা তেমন কোন বিষয় না। তবে আমাদের কোন সমস্যা থাকলে এটি আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করা উচিত।

প্রশ্ন: পাহাড়ে নব গঠিত ভুমি কমিশন ভুমি সমস্যা সমাধানে কতটুকু কার্যকর ভুমিকা নিতে পারবে ?

অভিমত: আমরা আশা বাদী চুক্তি যাদের সাথে করা হয়েছে তারা যদি আন্তরিক হোন তাহলে ভুমি কমিশন কার্যকর ভুমিকা নিতে পারবে। চুক্তির পর থেকে আমরা যে কয়বার কমিটি গঠন করেছি, তাতে চুক্তি পক্ষ কমিশন সভায় উপস্থিত হননি। ভুমি কমিশনের কার্যক্রমে যদি কারো আপত্তি বা দ্বিমত থাকে তাহলে সেটি কমিশন সভায় উপস্থাপন করতে হবে। মানি না মানব বলে যদি আমি কমিশন সভায় না যাই তাহলে সমস্যার সমাধান হবে কি করে?

Share This:

The post রাঙামাটিতে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবেই appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a4/feed/ 0
মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টি এত জরুরী ও মূখ্য বিষয় নয় https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9c-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a8-4/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9c-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a8-4/#respond Sun, 16 Nov 2014 18:33:07 +0000 http://www.chttoday.com/?p=9832 উষাতন তালুকদার এমপি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে ছাত্রজীবনে মাধ্যমিকে পদার্পণের প্রারম্ভেই শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কাউটিং-এ জড়িত ছিলেন।... বিস্তারিত.... »

The post মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টি এত জরুরী ও মূখ্য বিষয় নয় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

উষাতন তালুকদার এমপি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে ছাত্রজীবনে মাধ্যমিকে পদার্পণের প্রারম্ভেই শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কাউটিং-এ জড়িত ছিলেন। পরে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে শাহ উচ্চ বিদ্যালয় হতে স্কাউট লিডার মনোনিত হয়ে করাচী জাম্বুরীতে Ushatan Talukderযোগদানের সুযোগ লাভ করেন। অধ্যয়নরত অবস্থায় ইন্টারমিডিয়েট থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাজনীতি বিজ্ঞান) বিএ অনার্স সম্পন্ন হয়। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে টঙঞঈ (UOTC (University Officer Training Corps)) এ অংশ নিই। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও দীর্ঘ সময় ধরে একনিষ্ঠ কর্মী এবং সংগঠক হিসেবে জড়িত ছিলেন। উষাতন তালুকদার ৬৯-এর গণআন্দোলনে, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, তিনি জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি। উষাতন তালুকদার ১৯৯৭ সনের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে এ বছরের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের নানা বিষয়ে পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন দৈনিক সিএইচটি টুডে ডট কম এর টীমের সাথে আমাদের খোলামেলা কথা হয়। তার সাক্ষাতকারটি হুবহু পাঠকদের জন্য তোলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: কেমন আছেন?

অভিমত: ভালো আছি। কিন্তু কর্ম ব্যস্ততা তো রয়েছেই।

প্রশ্ন: এমএন লারমার পর আপনিই জনসংহতি সমিতি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কেমন লাগছে?

অভিমত: ভালো। তবে খুব জটিল, প্রতিকূলতা এবং চ্যালেঞ্জিং ………… !

প্রশ্ন: একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল থেকে আপনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত, আপনার উন্নয়ন ভাবনা কি? গত এক বছরে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন?

অভিমত: শুধু দল কেন, এই এলাকার শান্তিকামী সর্বস্তরের আপামর জনতাই আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সকল জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে আপ্রাণ চেষ্টায় আছি। বিশেষ করে পশ্চাৎপদ এলাকাগুলোতে সেখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, কৃষি ও অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন: পাহাড়ী বাঙালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে কি পদক্ষেপ নিবেন?

অভিমত: এ পদক্ষেপ শান্তি ও প্রগতি প্রত্যাশী গণমানুষের কিংবা এখানে যাঁরা বাস করছি তাদের সবার। জনপ্রতিনিধি তার উপলক্ষ মাত্র। এ ব্যাপারে অত্রাঞ্চলের পাহাড়ী বাঙালীসহ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে দেশের অপরাপর বিভিন্ন মহলের পারস্পরিক সহযোগিতা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, বিশ্বাস, আন্তরিকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাব/দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন: সাংসদ হিসেবে সংসদে এবং সংসদের বাইরে এলাকার উন্নয়নে আপনার ভূমিকা কি হবে?

অভিমত: তৃণমূল পর্যায়ে বসবাসকারী পশ্চাৎপদ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আশা-আকাঙ্খা, তাদের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির যতটুকু অধিকার রয়েছে সেই অবস্থান থেকে শুধু সংসদে কেন সংসদের বাইরেও বিভিন্ন দপ্তর কিংবা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের কথা তুলে ধরার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রশ্ন: পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কি?

অভিমত: শুধু উন্নয়ন নয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত রাঙামাটি গড়ার ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
প্রশ্ন: গত ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আপনি একজন হেভিয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, এর পেছনে গোপন রহস্য কি? কোন কৌশল অবলম্বন করেছিলেন?

অভিমত: গোপন রহস্য কিংবা কৌশল বলতে কিছুই নেই। এ বিজয় এলাকার সর্বস্তরের গণমানূষের যাঁদের অনুপ্রেরণা, অকুন্ঠ ভালবাসা ও সমর্থন না পেলে আমি সত্যিই এ দুর্লভ জায়গায় আসতে পারতাম না। তাই শান্তি পিয়াসী জনতার এই ঋণ, এই অবদান, এই স্বীকৃতি কোনো দিন শোধ করার নয়। এ জন্য আমি তাঁদের সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ, দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থী।

প্রশ্ন: বিজিত প্রার্থীর দাবি আপনার দলের অস্ত্রধারীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভোট আদায় করেছে তাই প্রতিপক্ষ হেরে গেছে- এটা আসলে কতটুকু সত্য?

অভিমত: এটি একটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত মন্তব্য। নিজের ব্যর্থ দুর্বলতা ঢাকার অপপ্রয়াস ছাড়া কীই বা হতে পারে। তবে উপদেশ নয়, অনুরোধ করছি গণমানুষের আত্মবিশ্বাসের জায়গায় আরো শ্রদ্ধাশীল ও আন্তরিক হতে। কারণ জনতাই হচ্ছে মূল বিচারক।

প্রশ্ন: বর্তমান সরকারের কিছুদিন পর এক বছর পূর্ণ হবে। গত এক বছরে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের কোন আন্তরিকতা লক্ষ্য করেছেন? সংসদীয় কমিটির সভায় চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে কি আলাপ হয়েছে?

অভিমত: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নে এখনও সরকারের সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি তথা সরকারের কাছে এটুকুই বিশ্বাস, প্রত্যাশা এবং দাবি থাকবে যে, অনতি বিলম্বে রোডম্যাপ আকারে এ মুহুর্ত থেকে যত দ্রুত সম্ভব পার্বত্য চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

প্রশ্ন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত কেন? এই সংঘাতের ফলে আহত নিহত হচ্ছে। সংঘাত উত্তরণে আপনারা কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন কিনা?

অভিমত: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলেই সাধারণ জনমনে নানা প্রশ্ন, সন্দেহ, অবিশ্বাস থাকা স্বাভাবিক। এ দ্বিধা, অবিশ্বাস, সন্দেহ একমাত্র সরকারই দূর করতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নই সকল সমস্যা সমাধানের অন্যতম উপায়। এর বিকল্প কোনো কিছুই নেই এবং হতেই পারে না!

প্রশ্ন: জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাতিল, জেলা পরিষদ আইন সংশোধনী বাতিলের দাবি জানিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এর কারণ কি?

অভিমত: এ প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন/সংস্থার পক্ষ থেকে এখানকার মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনায় এনে কিছু অসংগতি বিষয় যা পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি, সেসব বিষয়ের আলোকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েক দফা দাবিনামা সংশোধনী আকারে এনে সরকারে কাছে উত্থাপন ও পেশ করা হয়। উল্লেখ্য যে পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ভ’মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের কাছে সংশোধনী আকারে তুলে ধরা হয়েছে। তবে ভ’মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন ব্যতিরেকে বাদবাকী বিষয়গুলো সরকার মনগড়াভাবে এগুচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। জনগণ এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে
পার্বত্য চুক্তি যথাযথ ভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করাই সরকার তথা দেশের জন্য মঙ্গল হবে।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে জনসংহতি সমিতি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা করেছে যদিও সরকার ইতিমধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে কোন কারণে আপনারা এর বিরোধীতা করছেন। এর স্বপক্ষে আপনাদের যৌক্তিকতা কি?

অভিমত: এ অঞ্চলে মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টি এত জরুরী ও মূখ্য বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের ন্যায্য অধিকার ও বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণসহ এখানকার সার্বিক প্রেক্ষাপট, রীতিনীতি, প্রথাগত ঐতিহ্য, পদ্ধতি, কৃষ্টি সংস্কৃতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে সর্বপ্রথমেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করা সরকারের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

প্রশ্ন: পার্বত্য ভূমি কমিশন সরকার পুনরায় গঠন করেছে, আপনার কি মনে হয় এই কমিশন ভূমি সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে?

অভিমত: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির (ঘ) খন্ডের ২নং ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে- ‘‘সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন এবং উপজাতীয় শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উপজাতীয় উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের পর সরকার এই চুক্তি অনুযায়ী গঠিতব্য আঞ্চলিক পরিষদের সাথে আলোচনাক্রমে যথাশীঘ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জরিপ কাজ শুরু এবং যথাযথ যাচাইয়ের মাধ্যমে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতঃ উপজাতীয় জনগণের ভূমি মালিকানা চুড়ান্ত করিয়া তাহাদের ভূমি রেকর্ডভুক্ত ও ভূমির অধিকার নিশ্চিত করিবেন।’’

অতি সাম্প্রতিককালে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান শ্রী, জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার সাথে ভ’মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন নিয়ে অতি গুরুত্ব সহকারে আলাপ আলোচনা করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসণীয়। এ আলোচনা ইতিবাচকের মধ্য দিয়েই অতি দ্রুত একটা সমাধানের পথে এগুবে বলে আশা করা যেতে পারে। ঠিক তদ্রুপ আর সামান্যতম কালক্ষেপন না করে যত দ্রুত সম্ভব পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো সমাধানের উদ্যোগ সরকার আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সহিত গ্রহণ করবে এলাকার গণমানুষের পক্ষে আমি এ প্রত্যাশা করলাম।
প্রশ্ন: আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অভিমত: আপনাদেরও ধন্যবাদ।

Share This:

The post মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টি এত জরুরী ও মূখ্য বিষয় নয় appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9c-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a8-4/feed/ 0
জাতির জনককে হত্যার পর ঘাতকরা মনে করেছিল এদেশ থেকে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%a4/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%a4/#respond Thu, 14 Aug 2014 17:31:05 +0000 http://www.chttoday.com/?p=7964 ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর... বিস্তারিত.... »

The post জাতির জনককে হত্যার পর ঘাতকরা মনে করেছিল এদেশ থেকে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ফজলুর রহমান রাজন, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যার পর ঘাতকরা মনে করেছিল এদেশ থেকে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ মাথা তোলে Bongubanduদাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু ঘাতকদের সে ধারনাকে ভুল প্রমান করে বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ আবার ঘুরে দাড়িয়েছে পর পর ৩ বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে।
১৯৭৫ সনের ১৫ আগষ্ট ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে বাড়ীতে বাঙ্গালী জাতির স্বপ্ন দ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের কিছু বিপথগামী সেনা সমস্য হত্যা করার পর তৎকালীন মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী জনতার ব্যানারে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনাসহ ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসত তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থার কারনে সে সময়কার কিছু তরুন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সে সময় তাদের সাথে ছিলেন বর্তমান রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। সে সময় তিনি টগ বগে তরুন ছিলেন। সম্প্রতি তার বাসভবনে আলাপচারিতায় দীপংকর তালুকদার সে সময়কার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে খোলামেলা কিছু কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিবর্তি সময়ে মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম নেতা দীপংকর তালুকদার সে সময়কার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যার পর তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মত আমাদের শক্তি ও সামর্থ্য ছিল না এবং আমার জাতীয় রাজনীতিতে কোন পদ পদবী ছিল না। সে সময় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড আমরা মেনে নিতে পারিনি। বিবেকের তাড়নায় আমার মত অনেকেই এই নির্মম হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারিনি। সে সময় কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বে আমিসহ অনেকেই সৈয়দ তালুকদার, নাসিম, ওসমান, শাহ আজিজ, মান্নান, তরুন, ফারুক আহমদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আব্দুল হালিম, সাইদুর রহমানসহ অনেকেই আমরা মুক্তি বাহিনী গড়ে তুলি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে সে সময় প্রায় ৭ হাজার দলীয় এবং নির্দলীয় সাথী বন্ধু প্রতিরোধ কমিটিতে অংশ গ্রহন করে। সে সময় সরকারের সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে কমপক্ষে ২শতাধিক লোক মারা গেছে এবং হাজারের কাছাকাছি কর্মী আহত হয়েছে।Dipongkor-2
আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর বিভিন্ন সময় সে সময় মুক্তিকামী কমিটির অনেক সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সাহায্যে ও সহযোগিতা প্রদান করেন। যথা সাধ্য চেষ্টা করেছেন সাহায্যে ও সহযোগিতা করার, যদিও বা সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। আশা করি তার সহযোগিতায় অব্যাহত থাকবে।
দীপংকর তালুকদার বলেন, আমাদের মত অনেকেই যারা সে সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তারা মন্ত্রী হবো, চেয়ারম্যান, এমপি হবে, বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হবে এই আশায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ গড়ে তুলিনি। তারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছিল, বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ভালোবেসেছিল, বাংলাদেশকে ভালোবেসেছিল এবং আওয়ামীলীগকে ভালোবেসেছিল বলে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। তাদের কল্যানে আরো কিছু করা যেতে পারে। তাদের জন্য বিশেষ কল্যান তহবিল গঠন করা যেতে পারে। যেহেতু আওয়ামীলীগ এখন সরকারে আছে। যে সমস্ত এলাকায় মুক্তিবাহিনীরা যুদ্ধ করেছে বিশেষ করে নেত্রাকোনার দুর্গাপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটসহ যে সব এলাকায় মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা শহীদ হয়েছে তাদের নামে রাস্তা, স্কুল কলেজের নামকরন করা হলে তাদের প্রতি সম্মান দেখানো যেতে পারে।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, যারা জীবনবাজি রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তারা তো কিছু চায়নি তারা আর্দশিক চেতনা থেকে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটা অনেক গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রেখেছিল, আমরা কি করতে পেরেছি, কি করতে পারিনি সেটি বড় কথা নয় সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের ভুমিকা কি ছিল সেটি ইতিহাস একদিন কথা বলবে। আমাদের তখন উদ্দেশ্যে ছিল আন্দোলন আর আন্দোলন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে আটক হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরন করেছেন অনেকেই তবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা মনে করেছিল আওয়ামীলীগ নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে তারা ভাবতে পারিনি আওয়ামীলীগ আবার ঘুরে দাড়াবে।
বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে আমি জোর দাবী জানাব সে সময় যারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিবাহিনীতে অংশগ্রহন করেছিল তাদের মধ্যে যে সব সার্থী এখনো বেছে আছেন তাদের নিয়ে একটি মহাসমাবেশ করার জন্য, সবাইকে অন্তত একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিলে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলামেলা কথা বলতে পারবেন। মুক্তিবাহিনীর যে সব যোদ্ধা এখনো বেছে আছেন তারা আর্দশিক রাজনৈতিক চেতনার কারনে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ এবং যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল, তারা তো জীবনে কিছু চায়নি আমরা যদি তাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি দিতে পারি তাহলে অন্তত ইতিহাসের দায়ভার কিছুটা লাঘব হবে। বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অতীতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের খোজ খবর নিয়েছিলেন আগামীতেও বর্তমান সরকার ১৫ আগষ্ট জাতির জনক হত্যাকান্ডের সময় যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দিবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে হত্যার পর প্রতিরোধ কমিটি ও মুক্তিবাহিনী গঠনে আমাদের মুল শক্তি ছিল আর্দশিক চেতনা আর জনগনের সহযোগিতা। আমাদের প্রতিরোধ কমিটি কয়েকটা সেক্টরে ভাগ করা ছিল, বাংলাদেশে আমাদের দ্বিতীয় হেড কোয়াটার ছিল মহাদেবপুর। এ ধরনের যুদ্ধে আমরা পাহাড়ী এলাকাকে বেছে নিয়েছে কারন যুদ্ধে আমাদের নিরাপদ জায়গা দরকার ছিল যেখান থেকে আমরা সংগঠিত হতে পারি। আমাদের যোদ্ধার নিরাপদ মনে করেছিল পাহাড়ী এলাকা সবচেয়ে নিরাপদ।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে হত্যার পর সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় হয়। দলীয় নেতা কর্মী এবং জনগনের সহযোগিতা ছাড়া আমরা এই যুদ্ধ করতে পারতাম না। Dipongkor Gv
তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী যে সব আত্ব স্বীকৃত খুনী বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের দেশে এনে ফাসির রায় কার্যকর করার দাবী জানান।

 

Share This:

The post জাতির জনককে হত্যার পর ঘাতকরা মনে করেছিল এদেশ থেকে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%a4/feed/ 0