বান্দরবান ভ্রমন – সিএইচটি টুডে https://www.oldsite.chttoday.com news site Mon, 02 Apr 2018 11:40:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=4.9.25 এই ঈদে বান্দরবান ঘুরে আসুন https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a7%81-2/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a7%81-2/#respond Thu, 24 Sep 2015 18:11:16 +0000 http://www.chttoday.com/?p=18544 কৌশিক দাশ, বান্দরবান থেকে। যান্ত্রিক জীবনের নানা কর্মব্যাস্তর ফাঁকে ঈদের ছুটিতে অবকাশ যাপনে কিছুটা প্রশান্তি... বিস্তারিত.... »

The post এই ঈদে বান্দরবান ঘুরে আসুন appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

কৌশিক দাশ, বান্দরবান থেকে। যান্ত্রিক জীবনের নানা কর্মব্যাস্তর ফাঁকে ঈদের ছুটিতে অবকাশ যাপনে কিছুটা প্রশান্তি পেতে ঘুরে আসুন পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে। বান্দরবানের পাহাড়ে, কত রং আহা রে- ছন্দটির সঙ্গে বান্দরবানের অপার সৌন্দর্য্যরে কতটা মিল তা শুধু গিয়েই উপলব্ধি করা সম্ভব।nilgiry--

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে একটি বান্দরবান। যেখানে রয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর বসবাস। প্রকৃতি যেন সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে। তাই সবুজে মোড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য,ে অবারিত সবুজের সমারোহ এবং মেঘ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে হলেই ঘুরে আসুন পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানে। যেখানে প্রকৃতি নিজ ঐশ্বর্য্যকে ঢেলে দিতে কৃপণতা করেনি। পাহাড়ি এ জেলায় রয়েছে অসংখ্য হ্রদ, ঝরনা, নদী। এখানকার জীববৈচিত্র্য এবং তাদের ঐতিহ্যপূর্ণ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি যেকোন সংস্কৃতি মনা ও ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে কাছে টানে সহজেই। তাই এই ছুটি বা আপনার সময় সুযোগে ঘুরে আসুন পর্যটন নগরী বান্দরবানে । বান্দরবানে আপনি যেখানে গিয়ে ঘুরতে পারবেন ।
মেঘলা
বান্দরবান শহর থেকে ৪ কি. মি. দূরে অবস্থিত সুন্দর মনোরম পরিবেশে এ পর্যটন অবস্থিত। সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেকটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এ স্পটটি। চারিদিকে ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি আর প্রাকৃতিক লেকের স্বচ্ছ পানি যে কাউকেই প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয়।
লেকে ভ্রমণ করতে রয়েছে ভাড়ায় চালিত প্যাডেল বোট আর নৌকা। এছাড়া মিনি চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, সাফারী পার্ক, ঝুলন্ত ব্রিজ, পিকনিক স্পট এবং আকাশে ঝুলে আছে কেবল কার।
অবকাশ যাপনের জন্য রয়েছে জেলা প্রশাসনের একটি সুন্দর রেস্ট হাউজ। রাত্রিযাপনের জন্য ৪টি কক্ষ রয়েছে।
নীলাচল
বান্দরবান শহরের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট হল নীলাচল। শহর থেকে ৫ কি.মি. দুরে সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২ হাজার ফুট উচতায় অবস্থিত এটি। যেখান থেকে উপভোগ করা যায় মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব দৃশ্য। যে দিকে দুচোখ যায় অবারিত সবুজ ও নীল আকাশের হাতছানি। যেন আকাশের নীল আচল ছড়িয়ে দিয়েছে সবুজের জমিনে। মুহুর্তেই মন প্রাণ ভরে উঠে মুগ্ধতায়।
বিশেষ করে নীলাচলে সূর্যাস্তের দৃশ্য ভ্রমণ পিয়াসুদের মনে আনে স্বর্গীয় অনুভূতি। কথিত আছে নীলাচলের নির্মল বাতাস যেকোন পুরানো রোগ নিরাময়ের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নীলাচলে রয়েছে নীল রঙের ৫টি কটেজ, যেগুলো রাত্রি যাপনের জন্য ভাড়ায় পাওয়া যায়।

শুভ্র নীলা
নীলাচল এর খানিকটা নিচে চমৎকার এ পর্যটন স্পটের অবস্থান। বান্দরবান শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরে এ পর্যটন স্পটটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কটেজ ও রেস্টুরেন্ট। সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২০০০ হাজার ফুট উচুতে এ স্পটটি থেকে বান্দরবানের সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় জমায় হাজারও পর্যটক। চান্দের গাড়ি, প্রাইভেট কার, বেবি টেক্সি ভাড়া করে এখানে যাওয়া যায়।
শৈল প্রপাত
বান্দরবান শহর হতে ৮ কি.মি. দূরে চিম্বুক বা নীলগিরি যাওয়ার পথে শৈল প্রপাত। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হিমশীতল এ ঝর্নাটিতে অবিরাম বয়ে চলেছে স্বচ্ছ পানি। যার শীতল ছায়ায় নিমেশেই দূর হবে ভ্রমণের ক্লান্তি। যেখানে লক্ষ্য করা যায় স্থানীয় বম আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনধারা। পাওয়া যাবে হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী দ্রব্যসামগ্রী।
বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্র্ণ মন্দির)
বুদ্ধ ধাতু জাদি সু-উচ পাহাড়ের চূড়ায় বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বালাঘাটা নামক এলাকায় অবস্থিত। বান্দরবান শহর হতে ৪ কি.মি. দূরে এ উপাসনালয়টি আধুনিক স্থাপত্য শিলের এক অনবদ্য নিদর্শন। বর্তমানে বুদ্ধ ধাতু জাদি দেশের একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে।এটির নির্মাণশৈলী মায়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পল গুলোর স্থাপত্য নকশায় তৈরি।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও যাদুঘর
পার্বত্য এলাকার আবহমান কালের আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এটি। এখানে রয়েছে একটি নৃ-তাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠির জাদুঘর। যেখানে সংরক্ষণ করা হয় বিলুপ্ত প্রায় পাহাড়ি জাতি গোষ্ঠির জীবন ধারার বিভিন্ন ঐতিহ্য।

নীলগিরি
সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২২০০ ফুট উচতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এ নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি পাহাড় এবং আকাশের মিতালীর এক অপূর্ব নিদর্শন। যেখান থেকে খালি চোখে সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বান্দরবান শহর থেকে ৫৪ কি.মি. দূরে পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান।
এখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে। তবে যারা মেঘ ছুঁয়ে দেখতে চান তারা এই স্পট ভ্রমণে যেতে ভুল করবেন না। কারণ মেঘ নিজেই আপনাকে ছুঁয়ে যাবে। যারা রাত্রিযাপন করতে চান তারা অবশ্যই আগে থেকে কটেজ বুকিং এবং খাবার অর্ডার দিয়ে রাখবেন। নীলগিরির মেঘের সমুদ্রে রয়েছে কিছু দৃষ্টি নন্দন কটেজ। যেগুলোর নামকরণ করা হয়েছে মেঘদূত, নীলাঞ্জনা ইত্যাদি।
চিম্বুক
বাংলার দার্জিলিং নামে খ্যাত চিম্বুক পাহাড় বান্দরবনের সবচেয়ে পুরোনা পর্যটন স্পট। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৩৫০০ ফুট উচতায় অবস্থিত এ পাহাড়ের পাশেই রয়েছে আদিবাসী ¤্রাে সম্প্রদায়ের বসবাস। বান্দরবান শহর হতে ২৬ কি.মি. দূরে মিলনছড়ি এবং শৈল প্রপাতের পরেই চিম্বুক। যেখানে পাহাড়ের চুড়ায় রেস্টুরেন্ট এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। বান্দরবান জেলার সবকটি উপজেলার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য এখানে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড একটি বেইজ স্টেশন ও টাওয়ার স্থাপন করেছে। পর্যটকদের দৃষ্টিতে যা খুবই আকর্ষণীয়। এছাড়া পাহাড়ের চুড়া থেকে চারদিকের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য্য প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে টেনে আনে সহজেই।

বগালেক
পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি জলাশয় বগালেক। যার পানির উচতা শীত বর্ষায় কখনোই পরিবর্তন হয়না। এ লেক বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৫০০ ফুট উঁচুতে এ লেক সৃষ্টির পেছনে অনেক পুরোনো কল কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। পাহাড়িরা এটিকে দেবতার লেক বলেও মনে করে।
পাহাড়ের উপরে শান বাঁধানো বেষ্টনিতে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে বগালেকের অবস্থান। তবে বষার্য় বগালেক ভ্রমণ কিছুটা কষ্টসাধ্য। তাই শীতকালে সেখানে যাওয়ার সময় বেছে নেওয়া ভালো। বগালেক ভ্রমণের সময় সঙ্গে শুকনো খাবার, পানি, টর্চলাইট ও জরুরি ওষুধ রাখা প্রয়োজন। পর্যটকদের রাতযাপনের সুবিধার্থে বগালেকে জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজ এবং স্থানীয়ভাবে কিছু গেস্ট হাউজ রয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা পর্যটকদের খাবার ও আবাসন সুবিধা দিয়ে থাকে।baga lake--

বান্দরবান যাওয়ার ব্যবস্থা:
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে ২/৩টি রুট ব্যবহার করতে পারেন।

ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন ডলফিন, এস.আলম, বিআরটিসি, সেন্ট মার্টিন ব্লু, ইউনিক, শ্যামলী পরিবহনের যেকোনটি।এসব পরিবহনের ভাড়া জনপ্রতি ৮৫০-১০০০ (এসি), ৬০০-৭৫০ (নন এসি)।

ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম নেমে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে পূরবী, পূর্বাণী পরিবহনে সরাসরি নন এসি বাসে চড়ে বান্দরবান পৌছতে পারেন। প্রতি ৩০ মিনিট পরপর চট্রগ্রাম বহদ্দারহাট বাসটার্মিনাল থেকে বাসগুলো বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি ১১০-১৩০ টার মধ্যে।

তাছাড়া চট্রগাম থেকে বিআরটিসি এসি বাসে করে ঘন্টা তিনের মধ্যে আপনি পৌছে যাবেন স্বপ্নের বান্দরবানে । বান্দরবান ভ্রমণে আপনাকে স্বাগমত জানাতে প্রস্তুত হোটেল ,মোটেল ও প্রশাসন ।

তাই এ ঈদে আর দেরি কেন ঘুরে আসুন পার্বত্য কন্যা পর্যটন নগরী বান্দরবান।

Share This:

The post এই ঈদে বান্দরবান ঘুরে আসুন appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a7%81-2/feed/ 0
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনিন্দ্য নিকেতন বান্দরবানের লামা উপজেলা https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%bf/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%bf/#respond Tue, 23 Jun 2015 16:27:19 +0000 http://www.chttoday.com/?p=16051 সিএইচটি টুডে ডট কম, লামা (বান্দরবান)। পাহাড়ি-বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী, উচুঁ-নিচু রাস্তা, বেঁকে যাওয়া মাতামুহুরী নদী, প্রাকৃতিক... বিস্তারিত.... »

The post প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনিন্দ্য নিকেতন বান্দরবানের লামা উপজেলা appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, লামা (বান্দরবান)। পাহাড়ি-বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী, উচুঁ-নিচু রাস্তা, বেঁকে যাওয়া মাতামুহুরী নদী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সম্পদের lama pic 44অনিন্দ্য নিকেতন লীলাভূমি অপার সম্ভাবনা আর দর্শনীয় স্থানের নাম লামা উপজেলা।
এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া সকল গোত্রের মানুষের ভাগ্যোন্নোয়নের লক্ষ্যে ১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল উপজেলাটি মহকুমা শহর নামে পরিচয় লাভ করে। আবহমান কাল থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি পূর্ণ সহাবস্থান এ উপজেলায়। লামা উপজেলায় রয়েছে সাতটি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা, ১৮টি মৌজা এবং ৩৫৯টি গ্রাম। এর আয়তন ৬৭১.৮৪ বর্গ কিলোমিটার। অধিকাংশ ভূমিই পাহাড় ও বনভূমির অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে উপজেলাটি রূপান্তরিত হয়েছে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। ধারণা করা হয় পার্বত্য অঞ্চলের অবস্থিত মাতামুহুরী নদীর ভাটি অঞ্চলে লামের খালের নাম হতেই লামা উপজেলা নামের উৎপত্তি।
এই উপজেলায় দেখার মত দৃর্শ্য রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র মিরিঞ্জা আর পাহাড়ের মাঝখানে বেঁকে যাওয়া মাতামুহুরী নদী। পর্যটনটি ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম সড়কে পাশে অবস্থিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দেড় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এখানে রয়েছে টাইটানিক নামে একটি পাহাড়, সেখান থেকে দেখা মিলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের। মিরিঞ্জা পর্যটন কেন্দ্র প্রায় ১ হাজার ফুট নিচুতে রয়েছে একটি ঝরণা। বান্দরবান জেলার বৃহত্তর উপজেলা লামা শহর থেকে সাড়ে ৭কি.মি দূরে রিরিঞ্জা পাহাড়ে অবস্থিত পর্যটন মিরিঞ্জা। সমতল ভূমি থেকে প্রায় ২২শত ফুট উচ্চতায় আবস্থিত মিরিঞ্জা। পাহাড় আর মেঘের মিলনের অপরুপ দৃশ্য দেখা যাবে এখানে। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। পিকনিকের রান্না করার সুযোগ রয়েছে। প্রায় ৩৩একর জায়গায় নির্মিত পর্যটন মিরিঞ্জা সহজেই সকলের মন কেড়ে নেবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া থেকে জীপ, বাস ও প্রাইভেট গাড়ীতে করে আসা যাবে। দূরত্ব ১৭ কি.মি। চকরিয়া হতে মিরিঞ্জা পর্যটনের ভাড়া ৪৫-৫০ টাকা। রাতে থাকার সুব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলে ভাল। তবে লামা শহরে মাঝারি ধরনের হোটেল রয়েছে। প্রতিরুমের ভাড়া পড়বে ৩শত থেকে ৮শত টাকা পর্যন্ত। ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস স্থল লামা যে কোন ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মন কাঁড়বে।
বেঁকে যাওয়া পাহাড়ের মাঝখান হতে বয়ে যাওয়া মাতামুহুরীর নদীর অববাহিকা ও মনোরম দৃর্শ্য উপভোগ করার জন্য লামা শহর হতে টমটম বা রিক্সা করে যেতে হবে।

শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বান্দরবান জেলার মধ্যে উপজেলাটি শীর্ষস্থানে রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নতুন-নতুন শিক্ষা ও কলকারখানা গড়ে উঠার কারণে এখানকার জনসাধারণ অর্থনৈতিকভাবেও ক্রমশঃ সমৃদ্ধ হয়েছে।
বান্দরবান জেলা সদর হতে লামা উপজেলার দূরত্ব মাত্র ৯৫ কিলোমিটার। উপজেলাটির উত্তরে- বান্দরবান সদর এবং থানচি উপজেলা, দক্ষিণে- নাইক্ষ্যংছড়ি, পূর্বে- মায়ানমার বর্ডার, রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলা এবং পশ্চিমে- চকরিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা বিদ্যমান রয়েছে।

Share This:

The post প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনিন্দ্য নিকেতন বান্দরবানের লামা উপজেলা appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%bf/feed/ 0
চলুন ঘুরে আসি পর্যটন শহর বান্দরবান https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a6%b0-%e0%a6%ac/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a6%b0-%e0%a6%ac/#respond Fri, 27 Mar 2015 11:57:02 +0000 http://www.chttoday.com/?p=13677 সিএইচটি টুডে ডট কম, লামা (বান্দরবান)। চট্টগ্রাম থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবান।... বিস্তারিত.... »

The post চলুন ঘুরে আসি পর্যটন শহর বান্দরবান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, লামা (বান্দরবান)। চট্টগ্রাম থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবান। এর আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের অবারিত সবুজের bandarban photoসমারোহ এবং মেঘে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে যার আছে সে বাংলাদেশের পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান ঘুরে আসতে পারেন। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

দেখার মত জায়গা: নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা, শৈল প্রপাত, নীলাচল, মিলনছড়ি, চিম্বুক, সাঙ্গু নদী, তাজিলডং, কেওক্রাডং, জাদিপাই ঝরণা, বগালেক, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স, প্রান্তিক লেক, ঋজুক জলপ্রপাত, নাফাখুম জলপ্রপাত, আলীকদমের আলী সূড়ং। এছাড়া বান্দরবানে কয়েকটি ঝিরি রয়েছে, যেমনঃ চিংড়ি ঝিরি, পাতাং ঝিরি, রুমাানা পাড়া ঝিরি।

যাতায়াত: ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান; অথবা ডাইরেক্ট বান্দরবান যাওয়া যায়।

শৈল প্রপাতঃ বান্দরবান রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার দূরে শৈলপ্রপাত অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সৃষ্টি। ঝর্ণার হিমশীতল পানি এখানে সর্বদা বহমান। এই ঝর্ণার পানিগুলো খুবই স্বচ্ছ এবং হিম শীতল। বর্ষাকালে এ ঝর্ণার দৃশ্য দেখা গেলেও ঝর্ণাতে নামা দুস্কর, বছরের বেশীর ভাগ সময় দেশী বিদেশী পর্যটকে ভরপুর থাকে। রাস্তার পাশে শৈল প্রপাতের অবস্থান হওয়ায় এখানে পর্যটকদের ভিড় বেশী দেখা যায়। এখানে দুর্গম পাহাড়ের কোল ঘেষা আদিবাসী বম সম্প্রদায়ের সংগ্রামী জীবন প্রত্যক্ষ করা যায়। যাতায়াত: বান্দরবান শহর থেকে টেক্সি, চাঁদের গাড়ি কিংবা প্রাইভেট কার ও জীপ ভাড়া করে শৈলপ্রপাতে যাওয়া যায়। শহর থেকে জীপ গাড়ীতে ৮০০-৯০০ টাকা এবং চাঁদের গাড়ীতে ৬৫০-৭০০ টাকা লাগবে।

নীলাচল: বান্দরবান জেলা শহেরর নিকটবর্তী পর্যটন কেন্দ্র। এটি জেলা সদরের প্রবেশ মুখ টাইগার পাড়ার পাশাপাশি অবস্থিত। এখানে পর্যটন কেন্দ্র দুটি। নীলাচল জেলা প্রশাসন ও শুভ্রনীলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ পর্যটন কেন্দ্র দুটি পরিচালিত হয় । এ পর্যটন কেন্দ্রের উচ্চতা প্রায় ১৭০০ ফুট। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত। এ পাহাড়ের উপর নির্মিত এ দুটি পর্যটন কেন্দ্র থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার দৃশ্য দেখতে খুবই মনোরম।
যাতায়াত: বান্দরবান শহরের বাস ষ্টেশন থেকে জীপ, ল্যান্ড ক্রু জার, ল্যান্ড রোভার ভাড়া নিয়ে যেতে হবে অথবা বান্দরবান শহরের সাঙ্গু ব্রীজের কাছে টেক্সি ষ্টেশন থেকে টেক্সি ভাড়া নিয়ে নীলাচল ও শুভ্রনীলায় যেতে পারেন । জীপ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার ৬০০-৭০০/-, টেক্সি ৩০০/- মত নিয়ে থাকে।

মিলনছড়ি: মিলনছড়ি বান্দরবান শহর হতে ৩ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বে শৈল প্রপাত বা চিম্বুক যাওয়ার পথে পড়ে। এখানে একটি পুলিশ পাড়ি আছে। পাহাড়ের অতি উচ্চতায় রাস্তার ধারে দাড়িয়ে পূর্ব প্রান্তে অবারিত সবুজের খেলা এবং সবুজ প্রকৃতির বুক ছিড়ে সর্পিল গতিতে বয়ে সাঙ্গু নামক মোহনীয় নদীটি।

চিম্বুক: বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। চিম্বুক সারা দেশের কাছে পরিচিত নাম। বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়ের অবস্থান। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৫০০ শত ফুট। চিম্বুক যাওয়ার রাস্তার দুই পাশের পাহাড়ি দৃশ্য খুবই মনোরম। চিম্বুক যাওয়ার পথে সাঙ্গু নদী চোখে পড়ে। পাহাড়ের মাঝে আঁকা বাঁকা পথ বেয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সড়ক দিয়ে যাতায়তের সময় মনে হবে গাড়ীতে করে চাঁদের বুকে পাড়ি জমানোর অনুভূতি। ২৫০০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে এ অপরুপ বিচিত্র দৃশ্য দেখতে পাবেন চিম্বুকে। চিম্বুক পাহাড় থেকে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের নিচ দিয়ে মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা যায়।এখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন উপজেলা গুলোকে দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে চিম্বুক পাহাড়ের পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘ দেখে মনে হয় মেঘের স্বর্গরাজ্য চিম্বুক। মেঘের হালকা হিম ছোঁয়া যেন মেঘ ছোয়ার অনুভূতি। চিম্বুককে বাংলার দার্জিলিং বলা হয়। চিম্বুক থানছি সড়কের দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানে হোটেল বা রেস্তোরা গড়ে ওঠেনি। জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি রেষ্টহাউস আছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোতিক্রমে রাত্রি যাপনের সুযোগ রয়েছে। চিম্বুকের পাশে সেনাবাহিনীর ক্যান্টিন রয়েছে। এখানে সকালের নাস্তা ও দুপুরে খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া খাবারের জন্য বান্দরবান থেকে চিম্বুক যাওয়ার পথে মিলনছড়ি ও শাকুরা নামে ২টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। চিম্বুক যাওয়ার পথে বান্দরবান থেকে হালকা খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে যাওয়ায় উত্তম।
যাতায়াত: চিম্বুক যেতে হলে বান্দরবান শহরের রুমা বাস স্টেশন থেকে চাঁদের গাড়ি হিসেবে পরিচিত জীপ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, পাজেরো এবং বান্দরবান-থানছি পথে যাতায়তকারী বাস ভাড়া নিতে হবে (স্পেশাল বাস যা দূর্গম পাহাড়ী পথে চলাচল করতে সক্ষম)। নিজস্ব গাড়ী হলে ভাল হয়। রাস্তা অত্যান্ত দূর্গম হওয়ায় বাসে যাতায়ত করা ঝুঁকিপূর্ণ। চাঁদের গাড়ীতে জন প্রতি ৭০-৮০ টাকা এবং ল্যান্ড ত্রুজার রির্জাভ ১৭০০-১৮০০/-, ল্যান্ড রোভার, পাজেরো ২১০০-২২০০/- টাকা মত নিয়ে থাকে। চিম্বুক থানছি পথে বিকেল ৪টার পরে কোন গাড়ী চলাচল করে না বিধায় পর্যটকদের ৪ টার মধ্যে ফিরে আসা উচিত।

আলী সূড়ংঃ বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় আলী সূড়ং অবস্থিত। আলীকদম উপজেলা শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এর অবস্থান। আলীকদম সেনা জোনের পাশ দিয়ে মাতামুহুরী নদীর তীর ঘেষে প্রায় ৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যেতে হয় আলী সূড়ং। সেখানে কোন দোকান না থাকায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় আলীকদম বাজার থেকে সাথে নিয়ে যাওয়া দরকার। ভরা বর্ষা মৌসুমে ঝিরিতে পানি থাকায় যাওয়া যায় না। আলী সূড়ং নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে নানান গল্প কথা আছে। কেউ মনে করেন হযরত আলী (রাঃ) আলী সূড়ং নামক স্থানে তার আসা হয়েছিল। যাতে করে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় স্থানটিকে পবিত্র স্থান মনে করেন। পক্ষান্তরে অনেকে মনে করেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় বৃটিশ সেনা কর্তৃক এই সূড়ংগ তৈরি করা হয়েছিল।
যাতায়াতঃ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার আরাকান সড়কের চকরিয়া হতে বাস ও জীপ যোগে যাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৫০-৭০ টাকা। প্রাইভেট মাইক্রো, কার, নোহা, ল্যান্ডক্রুজার ও পাজেরো ভাড়া করে নেওয়া যায়। চকরিয়া হতে আলীকদম রিজার্ভ ভাড়া ১হাজার থেকে ২হাজার টাকা নিয়ে থাকে।

থাকা খাওয়াঃ আলীকদম বাজারে মাঝারি ধরনের কিছু খাওয়ার হোটল ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। রাত্রি যাপনে নরমাল রুম ভাড়া পড়বে ৩শত থেকে ৭শত টাকা। জেলা পরিষদের রেষ্ট হাউজ রয়েছে। সরকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে স্বল্প খরছে থাকা যেতে পারে। জনপ্রতি রুম ভাড়া ৫০০-৭০০ টাকা নিয়ে থাকে।

Share This:

The post চলুন ঘুরে আসি পর্যটন শহর বান্দরবান appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a6%b0-%e0%a6%ac/feed/ 0
বান্দরবানের নীলাচল https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%b2/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%b2/#respond Fri, 18 Apr 2014 09:52:07 +0000 http://www.chttoday.com/?p=5797 কৌশিক কুমার দাশ গুপ্ত ,সিএইচটি টুডে ডট কম,বান্দরবান। বান্দরবানের অপরুপ সৌন্দর্য্য নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ।... বিস্তারিত.... »

The post বান্দরবানের নীলাচল appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

কৌশিক কুমার দাশ গুপ্ত ,সিএইচটি টুডে ডট কম,বান্দরবান। বান্দরবানের অপরুপ সৌন্দর্য্য নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র । বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এ জায়গার Nilachall Bandarban (37)-অবস্থান। শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ যোগে যাওয়া যায় এই নয়নাবিরাম পর্যটন কেন্দ্রে। নীলাচল পাহাড়ি এলাকাটি অনেকেই স্বর্গভূমি বলে থাকেন। নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন।
সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ২০০০ ফুট উচ্চতায় এ পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমন আরামদায়ক , এখানে সব সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করছে জেলা প্রশাসন বান্দরবান । বান্দরবানে বর্তমানে যে কোন আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথম প্রাধান্য দেওয়া হয় এই স্থানটিকে। শিশুদের বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খেলনা । বড়দের জন্য কফি হাউস ও জুস কর্ণার। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্ত্ববধানে পরিচালিত দুইকক্ষবিশিষ্ট একটি রেস্ট হাউজ আছে। চালু হতে যাচ্ছে আরো নবনির্মিত নতুন কয়েকটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত কটেজ ।

এখান থেকে পাহাড়ের অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবানের এই নীলাচল ভ্রমন পিয়াসু পথিককে হাতছানি দিয়ে ঢাকছে। সবচেয়ে বড় আকষর্ন হলো পড়ন্ত বিকালের সুযাস্ত ও শুভ্র বাতাস।Nilachall Bandarban -

বিশেষ করে নীলাচলে সুর্যাস্তের দৃশ্য মনে স্বর্গীয় অনুভূতি আনে এবং এর নির্মল বাতাসে যেকোন পুরানো দু:খ ভূলে নতুন আশার সংঞ্চার ঘটায় । পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে কটেজও রেস্টুরেন্ট নির্মাণসহ আধুনিক সাজে সাজানো হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্রকে ।

Share This:

The post বান্দরবানের নীলাচল appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%b2/feed/ 0
পাহাড়-মেঘের মিতালী বান্দরবানের নীলগিরী পর্যটন কেন্দ্র https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6/#comments Sun, 27 Oct 2013 17:44:29 +0000 http://www.chttoday.com/?p=565 একবার ঘুরে এলে যেখানে আবারো যেতে মন চায়। আকাশ-মেঘ যেখানে ভ্রমন পিপাসু মানুষকে হাতছানি দিয়ে... বিস্তারিত.... »

The post পাহাড়-মেঘের মিতালী বান্দরবানের নীলগিরী পর্যটন কেন্দ্র appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

একবার ঘুরে এলে যেখানে আবারো যেতে মন চায়। আকাশ-মেঘ যেখানে ভ্রমন পিপাসু মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। অবারিত সবুজ প্রান্তর যেখানে মিশে যায় মেঘের ভেলায়। মেঘের সাথে পাহাড়ের যেখানে আজন্ম বন্ধুত্ব। প্রকৃতির এমন বন্ধুত্ব যে কারো মন ভালো করে দেবে মুহুর্তেই।
মেঘ পাহাড়ের বন্ধুত্বের পাশাপাশি আপনিও হতে পারেন মেঘের বন্ধু। এখানে এলে মেঘ আপনাকে বন্ধু না বানিয়ে ছাড়বেনা। বলছি নীল গিরি পর্যটনের কথা।
এখানে পাহাড় ও মেঘের সাথেই বসবাস করে পাহাড়ি আদিবাসী ম্রো সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা। ম্রোদের জীবন ধারায় রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এরা যুগ-যুগ ধরে নিভৃতে বসবাস করছে দুর্গম পাহাড়ে।Nilgiri 01

সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে ২ হাজার ২ শত ফুট উচ্চতায় এই নীলগীরি পাহাড়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এখানে থাকার জন্য রয়েছে মনোরম কটেজ এবং খাবার জন্য আধুনিক মানের রেঁেস্তারা।
কিভাবে আসবেন ঃ
সারা দেশের সাথে বান্দরবানের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম সড়কপথ। সড়ক পথে ঢাকার ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, আরামবাগ, কমলাপুর, কলাবাগান থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এসব ষ্টেশন থেকে এস.আলম, সৌদিয়া পরিবহণ, হানিফ পরিবহণ, ইউনিক সার্ভিস, শ্যামলী এন্টারপ্রাইজ, বি.আর.টি.সি, সেন্টমার্টিন , ঈগল পরিবহনের বাসগুলো যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এসি এবং নন এসি উভয় বাসই বান্দরবান যাতায়াত করে। ভাড়া ৮শ থেকে ১ হাজারের মধ্যে।

সড়ক পথের যানজট এড়িয়ে আকাশ পথে আসতে চাইলে দেশের সব বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হয়েও বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা করা যায়। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট নামক বাসটার্মিনাল থেকে এবং রেলষ্টেশন সংলগ্ন বি.আর.টি.সি ষ্টেশন থেকে বান্দরবানে উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বাস সার্ভিস চালু আছে।

কোথায় থাকবেন?
বান্দরবানে এসেই আপনাকে কোন আবাসিক হোটেলে রুম নিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। শহরের মধ্যে বিভিন্ন দামের এসি/ ননএসি হোটেল পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত হোটেল থাকায় রুম পেতে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে পর্যটনের ভরা মৌসুমে আগেভাগে বুকিং দিয়ে আসা ভালো। এখন বেশির ভাগ আবাসিক হোটেলের সাথেই খাবারের রেস্তোরা রয়েছে।

খাবার-দাবার সেরে রুমে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আপনি নীলগিরীর পথে রওনা হতে পারেন। নীলগিরী যাবার পথে শৈলপ্রপাত ঝর্নাও আপনি দেখে যেতে পারেন। এই এলাকায় নেমে ঝর্নার স্বচ্ছ জলে আপনি একটু মুখ-হাত ধুয়ে নিলে যাত্রা পথের ক্লান্তি অনেক কমে যাবে। স্থানীয় বম সম্প্রদায়ের বিচিত্র জীবন প্রনালী উপভোগ করাটা হবে যাত্রা পথে অতিরিক্ত পাওনা।

শহরের রুমা বাসষ্টেশন থেকে বিভিন্ন চাঁদের গাড়ী, জীপ ইত্যাদি নীলগিরী পর্যটন কেন্দ্রে চলাচল করে। আপনাকে এসব গাড়ী রিজার্ভ করেই যেতে হবে গন্তব্যে। কারণ রিজার্ভ গাড়ীতে না গেলে আপনাকে পথে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। যা আপনার ভ্রমনের আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। গন্তব্যে পৌঁছাতে এসব গাড়ী ২-৩ ঘন্টা সময় নিতে পারে।

শহর থেকে চাঁদের গাড়ীগুলো নীলগিরী পর্যন্ত ৩/৪ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে থাকে। এসব চাঁদের গাড়ীগুলো একসাথে ২০/২৫ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ করে।

নীলগিরী পৌঁছে আপনি সেখানে রাত যাপনও করতে পারবেন। এখানকার কটেজগুলো একটু ব্যয়বহুল। এখানকার প্রতিটি কটেজের ভাড়া রাতপ্রতি ৪/৫ হজার টাকার মধ্যে। আর থাকতে না চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে আবার বান্দরবান শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।

নীলাচল ঃ
বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দুরে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উচ্চতায় এই পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত নীলাচলের এই পাহাড়ি এলাকাটিকে অনেকে বাংলার দার্জিলিং বলে থাকেন।

এখান থেকে বান্দরবান শহরটি একনজরে দেখা যায়। সন্ধ্যায় মেঘমুক্ত আকাশে কর্নফুলী নদীর মোহনায় দাড়ানো অসংখ্যা লাইটারেজ জাহাজের আলোকছটা আপনার মনে এনে দেবে অপুর্ব তৃপ্তি। বিকেলের সুর্যাস্তের দৃশ্যও মন মাতানো।Nilachol

যেভাবে যাবেন ঃ
বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, সিএনজি, মাহেন্দ্র, জিপ ইত্যাদি ভাড়ায় চলাচল করে এই রুটে। প্রতিটি চাঁদের গাড়ীর আসা যাওয়া ভাড়া ৫শত টাকা। অন্যান্য যানগুলো আলোচনা সাপেক্ষে।

কোথায় থাকবেন ঃ
নীলাচলে রাত্রি যাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে একটি রেষ্টহাউস আছে। বুকিংয়ের জন্য প্রশাসন থেকে আগাম অনুমতি নিতে হয়। রাত যাপন করতে না চাইলে শহরে ফিরেই যে কোন হোটেলের রুম বুকিং দেওয়া যায়।

শৈল প্রপাত ঃ
প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট হিমশীতল ও ঝর্নাটিতে সর্বদা পানি বহমান থাকে। এখানে স্থানীয় অধিবাসীদের হাতের তৈরী বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যসামগ্রী পাওয়া যায়। বছরের যে কোন সময় এ ঝর্নার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য প্রকৃতি প্রেমী মানুষকে কাছে টানে।

এখানে বসবাসরত বম সম্প্রদায়ের বিচিত্র জীবনধারাও আপনার মনের ফ্রেমে বেধে রাখতে পারেন বহুদিন।

বুদ্ধ ধাতু জাদি ঃ
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কে বুদ্ধ ধাতু জাদি বা স্বর্ন মন্দিরের অবস্থান। এখানকার পাহাড়ের চুড়ায় দেবতা পুকুর নামে একটি পুকুর আছে। এই পুকুরকে ঘিরে অনেক কল্প কাহিনী প্রচলিত আছে। এখানে নির্মিত মন্দিরটি স্থাপত্য শিল্পের এক অনবদ্য সৃষ্টি।
চিম্বুক ঃ
শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দুরত্বে চিম্বুক পাহাড়। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১৫শ ফুট। এ পাহাড় থেকে একই সাথে সুর্যোদয় এবং সূর্যোদয়ের অপরুপ দৃশ্য অবলোকন করা যায়। পাহাড়ের আশে পাশের বম ও ম্রো জনগোষ্ঠীর বিচিত্র জীবন ধারাও উপভোগ করার মতো।
বগালেক ঃ
এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাহাড়ের উপরে একটি লেক। প্রায় ১৫ একর জমির উপর এই লেকের অবস্থান। যার পানির উচ্চতা শীত কিংবা বর্ষা কখনোই পরিবর্তিত হয়না। লেকটি নিয়ে অনেক রুপকথা প্রচলিত আছে। অনেকেই এখানে ড্রাগনের অস্তিত্ব রয়েছে বলে মনে করে থাকেন।

কিভাবে যাবেন ঃ বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত বগালেক। সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সুন্দর। তবে বর্ষা মৌসুমে না যাওয়াই ভালো। বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ী ও জিপে বগালেক ভ্রমন করা যায়। ভাড়া ৭ হাজার টাকার মধ্যে। বগালেকে রাত্রি যাপনের জন্য জেলা পরিষদ নির্মিত একটি রেষ্ট হাউস আছে। তবে বুকিংযের জন্য আগে ভাগে যোগাযোগ করে যাওয়া ভালো। রেষ্ট হাউস ছাড়াও বগালেকের আশে পাশের গ্রামে স্থানীয়দের তৈরি বিভিন্ন কটেজেও কম খরচে রাত্রি যাপন করা যায়।
রুমা বাজার এলাকার বাসিন্দারা বগালেকগামী পর্যটকদের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে।
রিপোর্টটি তৈরি করেছেন আমাদের বান্দরবান প্রতিনিধি রফিকুল আলম মামুন।

 

Share This:

The post পাহাড়-মেঘের মিতালী বান্দরবানের নীলগিরী পর্যটন কেন্দ্র appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6/feed/ 2