বিশেষ প্রতিবেদন – সিএইচটি টুডে https://www.oldsite.chttoday.com news site Mon, 02 Apr 2018 11:40:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=4.9.25 পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে প্রশাসনিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে: জেলা প্রশাসক https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%a4/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%a4/#respond Mon, 05 Mar 2018 11:33:59 +0000 http://www.chttoday.com/?p=43779 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বিদায়ী জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় অনেকগুলো... বিস্তারিত.... »

The post পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে প্রশাসনিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে: জেলা প্রশাসক appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বিদায়ী জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, জেলায় কর্তৃত্ব কে করবে, কে সমন্বয় করবে, কে অথরীটির ভুমিকায় থাকবে এসব নিয়ে উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত দেয়া জরুরী। পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে করতে হলে প্রশাসনিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে অন্যথায় যে যার মত চললে পার্বত্য এলাকা পিছিয়ে পড়বে। এখানে কার সীমা রেখা কতটুকু, এখানকার ও দেশের প্রচলিত সংবিধানের সাথে সমন্বয় এবং মেনে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের বিদায় উপলক্ষে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কাপ্তাই লেক রাঙামাটির প্রাণ, এই লেক পর্যটন, মৎস্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ মানুষের জীবন জীবিকার সাথে ওত প্রোতভাবে জড়িত তাই এই লেককে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একে দুষণ ও দখলমুক্ত রাখতে হবে।
বিদায়ী জেলা প্রশাসক আবেঘন পরিবেশে বলেন, রাঙামাটি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে, রাঙামাটির যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রয়েছে তেমনি এখানকার মানুষগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য। জেলা প্রশাসক হিসাবে যেদিন দায়িত্ব নিয়েছি সেদিন এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে হিসেবে নিয়েছি। এখানকার মানুষ আন্তরিক ছিল বলে ভুমি ধব্বস, লংগদুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাসহ সকল ধরনের ঘটনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটাতে এখনি উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মানিক লাল দেওয়ান,সাবেক পৌর মেয়র কাজী নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সভাপতি মাওলানা শাহজাহান, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার উল হক, প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মদ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, ডা. একে দেওয়ান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন ভুইয়া, স্কাউটের নুরুল আবছার, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক কবির, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শফি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, মাত্র ১ বছরের অধিক সময় রাঙামাটি ছিলেন জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান। তার সময় রাঙামাটিতে পাহাড়ী বাঙালী সহিংসতা, লংগদুতে পাহাড়ীদের বাড়ী ঘরে আগুন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ১১০ জনের মৃত্যুসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করেছেন। গত এক বছরে কর্মদক্ষতায় জেলা প্রশাসক মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন, তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আরো কিছুদিন রাঙামাটি থাকা প্রয়োজন বলে বক্তারা মত দেন।
বক্তারা আরো বলেন, চাকুরি মানে চলে যেতে হবে, কিন্তু কিছু মানুষ তার কর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকে, তেমনি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকও মানুষের মাঝে তার কর্মের জন্য বেঁচে থাকবেন।
রাঙামাটির বিদায়ী জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান ২০১৬ সনের ২২ সেপ্টেমর রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। আগামীকাল দুপুর ১২টার পর তার রাঙামাটি ত্যাগ করার কথা এবং তার নতুন কর্মস্থল ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ে যোগ দিবেন।

Share This:

The post পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে প্রশাসনিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে: জেলা প্রশাসক appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%a4/feed/ 0
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%83%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%83/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%83%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%83/#respond Tue, 20 Feb 2018 10:07:57 +0000 http://www.chttoday.com/?p=43467 নুরুচ্ছাফা মানিক, সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের দ্বিতীয় বছরও পাঠ্যপুস্তকে... বিস্তারিত.... »

The post ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

নুরুচ্ছাফা মানিক, সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের দ্বিতীয় বছরও পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ থাকছে। শিক্ষক স্বল্পতা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধা না থাকায় আলোর মুখ দেখছে না সরকারের ইতিবাচক এমন কার্যক্রম। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে খাগড়াছড়ি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৯০ জন(চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের) শিক্ষককে পনের দিনের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হলেও এখনও প্রশিক্ষণ পাননি অধিকাংশ শিক্ষক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ক অনুচ্ছেদের ৩৩- এর খ-তে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ রয়েছে। দীর্ঘ ঊনিশ বছর পর ২০১৬ সালে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীতে পাচ সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়। পরবর্তীতে তা প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে খাগড়াছড়ির ৫৯২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিকে চাকমা সম্প্রদায়ের ৫১১২ জন, মারমা সম্প্রদায়ের ২৮৪৭ জন ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৩৫৭৩জন শিক্ষার্থী এবং প্রথম শ্রেণীতে চাকমা সম্প্রদায়ের ৪২৪৬জন, মারমা সম্প্রদায়ের ২০৪৭জন ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ২৮৯৮ জন শিক্ষার্থী মাতৃভাষার পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষক নিজেরাই মাতৃভাষার বর্ণমালার সাথে পরিচিত না থাকায় শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করাতে পাচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আলমারিতে স্তুপ করে রেখে দেয়া হয়েছে মাতৃভাষার পাঠ্যপুস্তকগুলো।
খাগড়াছড়ি সদরের পেরাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরভী তালুকদার বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে ৩৬ জন চাকমা ও ৬ জন ত্রিপুরা শিক্ষার্থী এবং প্রথম শ্রেণীতে ৫৮ জন চাকমা ও ১০ জন ত্রিপুরা শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য মাতৃভাষায় বই থাকলেও তা আলমারিতে রেখে দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
একই বিদ্যালয়ের অভিভাবক অনুরবা চাকমা বলেন, এই বছর মেয়েকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছি। মাতৃভাষায় বই পেলেও তা পড়ানো হয় না। আমরাও পড়তে পারি না। এই সমস্যা সমাধানে সরকার যেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য, প্রথা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে কাজ করছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে সীমিত ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে খাগড়াছড়ি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৯০ জন(চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের) শিক্ষকদের নিয়ে পনের দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষার লেখক প্যানেলের সদস্য মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা জানান, কয়েকজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে এতো বড় একটি উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরী।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াছমিন জানান, মাতৃভাষায় পাঠদানে সক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক সুসময় চাকমা জানান, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তিন জন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চলতি ব্যাচের ৩০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যক্রম বোর্ড মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লেখকদের সমন্বয়ে স্টাডিং কমিটি গঠন করে। লেখক প্যানেলদের প্রণীত পাঠ্যপুস্তকে ২০১৬ সাল থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদরী সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় পাঠ্য পুস্তক মুদ্রিত হয়ে আসছে।

Share This:

The post ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%83%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%83/feed/ 0
বছর শেষে রাঙামাটির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, পুলিশ বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a7%83/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a7%83/#respond Sat, 30 Dec 2017 06:12:57 +0000 http://www.chttoday.com/?p=41956 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বছরের শুরুতে রাঙামাটি জেলার আইন শৃঙ্খলা ভালো থাকলেও মাঝামাঝি এবং... বিস্তারিত.... »

The post বছর শেষে রাঙামাটির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, পুলিশ বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বছরের শুরুতে রাঙামাটি জেলার আইন শৃঙ্খলা ভালো থাকলেও মাঝামাঝি এবং শেষের দিকে এসে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্যে বিস্তার ও দুবুর্ত্তদের হামলায় রাঙামাটিতে গেল বছর কমপক্ষে ১৫জন মারা যায়।
বছরের শুরুতে জেলার আইন শৃঙ্খলা ভালো থাকলেও মাঝামাঝি এবং শেষের দিকে এসে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্যে বিস্তার ও দুবুর্ত্তদের হামলায় রাঙামাটিতে গেল বছর কমপক্ষে ১৫জন মারা যায়। এরমধ্যে আলোচিত ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১০ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচরে মোটর বাইক চালক সাদেকুল ইসলামকে হত্যা, নানিয়াচরে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতা রমেল চাকমাকে ৫এপ্রিল গাড়ী ভাংচুর ও আগুন দেয়ার মামলায় গ্রেফতারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল মারা যায়। ২জুন রাঙামাটির লংগদুতে মোটর বাইক চালক ও যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নকে হত্যা, হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ৩জুন বাঙালীদের সমাবেশ, সমাবেশের পর দুবৃর্ত্তরা পাহাড়ীদের তিলটিলা, মানিকজোড়, ও বাইট্টাপাড়া গ্রামে আগুন দেয় এতে প্রায় ২শতাধিক পাহাড়ীদের ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এসব ঘটনায় পাহাড়ী বাঙালীরা পরস্পরকে দোষারোপ হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসুচী পালন। বছরের শেষে এসে ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ সমর্থিত সাবেক ইউপি সদস্য অনাদি রঞ্জন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে নবগঠিত গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ, ৭ ডিসেম্বর জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা, একইদিন বিলাইছড়ি আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রাসেল মার্মাকে কুপিয়ে আহত করে দুবৃর্ত্তরা, ৭ডিসেম্বর ভোর রাতে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ঝর্ণা খীসাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুবৃর্ত্তরা। ১৭ ডিসেম্বর আবারো আধিপত্যে বিস্তারের লড়াইয়ে নব গঠিত ইউপিডিএফের গুলিতে ইউপিডিএফের সংগঠক অনল বিকাশ চাকমা প্লটো নিহত হন। আওয়ামীলীগ নেতা ও আহত হওয়ার ঘটনায় আঞ্চলিক দল জেএসএসকে দায়ী করেছে আওয়ামীলীগ। ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলায় হরতাল পালন করে ক্ষমতাসীন দলটি। তবে জেএসএস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হত্যা ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পুলিশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো থানায় মামলায় করলে বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার পুত্রসহ পুলিশ কমপক্ষে ৪০জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা সবাই জনসংহতি সমিতির নেতা কর্মী। গ্রেফতারের পর বিভিন্ন সময় ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারন দেখিয়ে জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, সদর উপজেলা এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার প্রায় ৪শতাধিক পাহাড়ী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছে। এঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করে আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে।

বিষয়গুলো নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বলেছেন, ১৯৯৭ সনের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তির পর জেএসএস চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে গনতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, এধরনের ঘটনাগুলো দু:খজনক, আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সজীব চাকমা বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের পদত্যাগের বিষয়টি তাদের দলীয় আভ্যন্তরীন বিষয়, এখানে আমাদের বলার কিছু নেই তবে শুনেছি ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারনে তারা পদত্যাগ করছে।

রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের হত্যা ও হামলার ঘটনায় জেএসএস দায়ী করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বলেছেন, অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজির কারনে পাহাড়ের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। পাহাড়ীরা যেন আওয়ামীলীগ করতে না পারে সে জন্য অবৈধ অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ী আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের পদত্যাগে বাধ্য করছে জেএসএস। আমরা সরকারকে বার বার বলে আসছি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলে পাহাড়ে শান্তি আসবে।

বছর শেষে এসে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলেও পুলিশের দাবি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের দাবি যে ঘটনাগুলো সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি অভিযান চালাচ্ছে।

Share This:

The post বছর শেষে রাঙামাটির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, পুলিশ বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a7%83/feed/ 0
পুনর্বাসন না করায় পাহাড়ে আবারো ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87/#respond Fri, 29 Dec 2017 05:57:01 +0000 http://www.chttoday.com/?p=41951 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি রাঙামাটির পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের। চলতি... বিস্তারিত.... »

The post পুনর্বাসন না করায় পাহাড়ে আবারো ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি রাঙামাটির পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের। চলতি বছর ১৩ জুন ভয়াল এ পাহাড় ধসের দুর্যোগ ঘটে। কেবল রাঙামাটি নয় সারাদেশের বছরের সবচেয়ে আলোচনাবহুল এবং মর্মস্পর্শী ঘটনা এটি। দুর্যোগে ৫ সেনা সদস্যসহ জেলায় ১২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বিস্তর রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক- যা গত ৬ মাসেও পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা। পুনর্বাসন ছাড়াই ফের ঝুঁকিপূর্ণ ভিটায় গিয়ে বাস করতে হচ্ছে এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে।
খোঁজ নিয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে দীর্ঘদিন দুর্বিষহ জীবন কেটেছে ক্ষতিগ্রস্তদের। সেই অবস্থায় প্রায় তিন মাসের মাথায় ৭ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেয়া হয় আশ্রয় কেন্দ্র। এদিকে তাৎক্ষণিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করে জেলা প্রশাসন। এগিয়ে সরকার এবং দেশী বিদেশী বিভিন্ন মহল। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসে সার্বিক পরিস্থিতি। শহরসহ জেলার আশেপাশে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় সরকারিভাবে ১৯ আশ্রয় কেন্দ্র খোলে জেলা প্রশাসন। এসব আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনায় সহায়তা করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, রাঙ্গামাটি পৌরসভা, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংস্থা। ৭ সেপ্টেম্বর আশ্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর যার যার চেষ্টায় মাথাগোঁজার ঠাঁই নেন আশ্রিতরা। বেশিরভাগ লোকজনের কোথাও যাওয়ার ঠাঁইটুকু ছিল না। কেউ গেছেন নিজেদের আত্মীয় আশ্রয়ে, কেউ ভাড়া বাসায় আবার অনেকে গেছেন বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভিটায়। সরেজমিন তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় লোকজন এখনও দুঃসহ মানবেতর দিনযাপন করছেন। অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভিটায় গিয়ে নতুন বসতি নির্মাণ বা বিধ্বস্ত বাড়িঘর মেরামত করে বাস করলেও দুর্ভোগ শেষ হয়নি তাদের।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ে সরকারিভাবে খোলা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ৭ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেয়া হয়। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বজন ও বাড়িঘর হারা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ। বিদায় বেলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা, ২ বান্ডেল ঢেউ টিন, ৩০ কেজি চাল এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) গ্রিণহিল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের আর্থিক দিয়েছে। পরে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) হতে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান বলেন, পুনর্বাসন কার্যক্রম একেবারে থেমে যায়নি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়ার সময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলেও যাতে বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভিটায় গিয়ে বাস করতে না হয় সেজন্য ক্ষতিগ্রস্তদের এক জায়গায় বাড়িঘর করে দিয়ে পুনর্বাসন করার চিন্তা ছিল। এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া দেশী বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার পক্ষেও পুনর্বাসনে এগিয়ে আসার প্রস্তাব পাওয়া যায়। কিন্তু পাহাড় ধসের পরপরই বন্যায় ক্ষত্রিগ্রস্ত এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ইস্যুতে রাঙামাটির পাহাড় ধসে ক্ষত্রিগস্তদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে যায়। তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ মানুষের নিজস্ব জমি নেই। যাদের ছিল তাদের বেশিরভাগ মানুষের ভিটামাটি বিধ্বস্ত ও বিলীন হয়ে গেছে। ফলে বাস্তব পরিস্থিতির কারণে অনেকে নিজেদের বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভিটায় গিয়ে বাস করতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতি তাদেরকে কিছুই বলারও নেই।
জেলা প্রশাসক বলেন, যদি সুযোগ হয় এক জায়গায় বাড়িঘর করে দিয়ে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের অবশ্যই পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে। এজন্য জায়গা নির্বাচনের প্রস্তাবও রয়েছে।

তিনি জানান, ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় শহরসহ জেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১২৩১ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ হাজার ৫৩৭। জেলায় এসব ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সর্বশেষ ৭৭৬ টন চাল, নদগ ১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার, ৭০০ বান্ডেল ঢেউ টিন এবং গৃহ নির্মাণ ব্যয় মঞ্জুরি বাবদ ১৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে ১২০ জনের- যাদের মধ্যে ছিলেন ৫ সেনা সদস্য। এছাড়া রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাস্তা, স্থাপনা, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ার পর শহরের ভেদভেদীর পশ্চিম মুসলিম পাড়া, সনাতন মন্দির এলাকা, যুব উন্নয়ন অফিস সংলগ্ন এলাকা, শিমুলতলী, রেডিও স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, রূপনগরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিধ্বস্ত ভিটায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত বা নতুন বসতি নির্মাণ করে বাস করছেন ক্ষত্রিগস্ত অনেকে। তারা বলেন, সরকারের তরফ থেকে আমাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেয়া হলেও তা আজ একেবোরে ভেস্তে গেছে। যাওয়ার তো আর কোথাও নেই। তাই ঝুঁকিতে হলেও এভাবে বাস করা ছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই। আজও দুঃসহ বেদনায় মানবেতর জীবন পার করছি আমরা।
শহরের রূপনগর এলাকা গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ার পর মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু করে নিয়েছেন পরিত্যক্ত স্থাপনা এবং আশেপাশের আত্মীয় বাড়ি ও ভাড়া বাসায়।
এ প্রতিবেদক কথা বলেন রমিজের স্ত্রী নার্গিস (৩০), চান মিয়ার স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৩০) ও কামরুলের স্ত্রী পারভীনের (২৯) সঙ্গে। তারা বলেন, তাদের ভিটাবাড়ি ছিল রূপনগরে। ১৩ জুনের পাহাড় ধসের ঘটনায় মাটির নিচে বিলীন হয়ে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ আড়াই মাস ছিলেন আশ্রয় কেন্দ্রে। আশ্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ায় যেতে হয়েছে পরিত্যক্ত স্থাপনায় ঠাঁই করে। আবার কেউ কেউ কষ্টে হলেও ভাড়া বাসায়। দুই বান্ডেল করে ঢেউটিন দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিধ্বস্ত ভিটায় নতুন করে ঘর বানানোর কোনো সুযোগ নেই। টিনগুলি আজও ফেলে রেখেছি।
এদিকে দেখা যায়, সদরের রেডিও সেন্টারের আশেপাশে কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ ভিটায় ফিরে বাস করছেন বাড়িঘর মেরামত করে। ত্রাণের ঢেউ টিন দিয়ে নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

Share This:

The post পুনর্বাসন না করায় পাহাড়ে আবারো ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87/feed/ 0
পাহাড়ে পর্যটনের সমস্যা ও সম্ভাবনার রূপরেখা : সমির মল্লিক https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%93/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%93/#respond Wed, 20 Dec 2017 11:09:45 +0000 http://www.chttoday.com/?p=41724 বিস্তৃত সংরক্ষিত বনাঞ্চল,উপতাক্য,ঝর্ণা,নদী,পাহাড়ী ঝিরি,সর্পিল পথ,উচুঁ পাহাড় আর বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ নিয়েই বৈচিত্র্যময় পার্বত্য চট্টগ্রাম। ভারত... বিস্তারিত.... »

The post পাহাড়ে পর্যটনের সমস্যা ও সম্ভাবনার রূপরেখা : সমির মল্লিক appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

বিস্তৃত সংরক্ষিত বনাঞ্চল,উপতাক্য,ঝর্ণা,নদী,পাহাড়ী ঝিরি,সর্পিল পথ,উচুঁ পাহাড় আর বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ নিয়েই বৈচিত্র্যময় পার্বত্য চট্টগ্রাম। ভারত আর মিয়ানমারের সীমান্তঘেষা বিশাল এই বনাঞ্চল এবং পাহাড় আর সমতল ভূমি নিয়ে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চল। আয়তনে দেশের প্রায় এক দশমাংশ।
চাকমা,মারমা,ত্রিপুরা,বম,মুৃরুং,খুমিসহ প্রায় ১৪টি জাতি গোষ্ঠীর বসবাস এখানে। এসব মানুষের জীবন সংগ্রাম কৃষ্টি সংস্কতির বৈচিত্র্য পাহাড়ের ডানায় যুক্ত করেছে নতুন পর্যটন সম্ভাবনার। ঘন সবুজ মেঘে ঢাকা পাহাড়, ঝর্ণা ঝিরি বৃহৎ পাহাড়ী অঞ্চল বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের পর্র্যটন খাতে এক বৃহৎ সম্ভাবনা থাকলেও, এখনো এই খাতের তেমন কোন উন্নতি হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় থাকলেও অদ্যবধি পাহাড়ের পর্যটন প্রশ্নে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, দিকনির্দেশনা কোন কিছুই নেই।

অভিভাবকহীন পাহাড়ের পর্যটন:
স্বাধীনতার পর পার্বত্যাঞ্চলের তিন জেলা দেশের অন্যান্য জেলার সাথে উন্নয়নে এগোতে পারেনি। কাপ্তাই বাঁধকে কেন্দ্র করে ভূমি উচ্ছেদ,শরণার্থী হয়ে দেশান্তরী হওয়া, আঞ্চলিক দাবী দাওয়ার আদায়ে গড়ে উঠে দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর স্বশস্ত্র লড়াই ইত্যাদি কারণেই দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে অবর্তীণ হয় আদিবাসীদের প্রেক্ষাপট। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর সাথে চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে স্বস্তি ফিরে আসে। কার্যত এই শতকের শুরু থেকে পাহাড় স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠে। যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হওয়ায় পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন সড়ক হয়েছে, মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। পাহাড়ে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রিক বিভিন্ন আর্কষণীয় স্থান। মূলত বেসরকারি উদ্যোগে এসব পর্যটন স্থান গড়ে উঠেছে। শান্তি চুক্তির পর ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে কোন নীতিমালা প্রণীত হয়নি। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত আট বছরে পর্যটনসহ মোট ১২টি বিভাগ জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত ‘দিন বদলের অগ্রযাত্রায় খাগড়াছড়ি’ শীর্ষক পুস্তিকায় খাগড়াছড়ি পর্যটন পরিকল্পনা নিয়ে কোন বাক্যই খরচ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। বরাবরই পাহাড়ে পর্যটন বিষয়টি উপেক্ষিত থেকেছে। যার নিদারুণ ফল হিসেবে পর্যটনকে কেন্দ্র করে যেভাবে শিল্প হিসেবে গড়ে উঠা দরকার তার সিকি ভাগ প্রস্তুতিও নেই।

পর্যটন শিল্প কেন দরকার?
বতর্মান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পযর্টন এক গুরত্বপূর্ণ শিল্প। এর ব্যাপ্তি কেবল স্থানীয় অর্থনীতিতে নয়, জাতীয় অর্থনীতির ভীত নির্মাণে পর্যটনের গুরুত্ব অধিক। বিশ্বের অনেক শহর, নগর এমনকি দেশও সিংহভাগ পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ নেপাল আামাদের সবচেয়ে কাছের উদাহরণ। ভারত,শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় বা তৃতীয় খাতই পর্যটন। আমাদের দেশেও পাহাড়কে কেন্দ্র করে যে পর্যটন সম্ভাবনা আছে তাকে কাজে লাগাতে পারলে ফলপ্রসূ হতো। কিন্তু সারাদেশের মত পাহাড়ে পর্যটনও উপেক্ষিত ছিল। অবহেলিত অবকাঠামো, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি পাহাড়ে ঘুরে ফিরে আসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়টি। পার্বত্যাঞ্চলের রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রভাব দেশের অন্য অংশের অধিকতর প্রকট। নিরাপত্তার শঙ্কায় পাহাড়ে দেশের অন্য অংশের তুলনায় অধিকতর সম্ভাবনা সত্ত্বেও পর্যটন বিকশিত হয়নি।
এক সময় দেশের অন্য অংশের মত কৃষিজ, বনজ অর্থনীতি ছিল পার্বত্যাঞ্চলের মূল চালিকা। পরিবর্তিত বৈশি^ক ও জাতীয় প্রেক্ষাটে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন জরুরী । পাহাড় এবং জুম চাষ কেন্দ্রিক বৃত্ত থেকে বের হতে না পারলে বিকাশমান অর্থনৈতিক গতির সাথে তাল মেলানো যাবে না। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছাড়া কখনো এই বৃহৎ বিস্তৃত খাতের অগ্রযাত্রা সম্ভব না। সরকারি উদ্যোগ ছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পকে দেশী-বিদেশী পযর্টকদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা যাবে না। বাংলাদেশে যে সংখ্যক বিদেশী পর্যটক বেড়াতে আসে তার সিকি ভাগ আসে পার্বত্য চট্টগ্রামে। বিদেশী পযর্টকদের পার্বত্য এলাকায় প্রবেশে আইনী জটিলতা হ্রাস, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে এই কাজে সম্পৃক্ত করতে না পারায় বিদেশীদের কাছে পার্বত্যাঞ্চল কখনোই জনপ্রিয় হয়নি। পর্যটনকে শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে জাতীয় অগ্রযাত্রা অনেকাংশ ব্যাহত হবে।

পর্যটনের ধরন কি হাওয়া উচিত:
পর্যটন খুবই সংবেদনশীল খাত। এর মাধ্যমে খুব সহজেই একটি দেশের বা অঞ্চলের সংস্কৃতি অন্য দেশের বা অঞ্চলের মানুষের মাঝে বিনিময়ের সেতুবন্ধন করে দেয়। যা একটি জাতিগোষ্ঠীকেও প্রবাহিত করতে পারে। বিশে^ও অনেক জায়গায় পর্যটন নির্ভর সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকদের জীবন ধারা, পোশাক পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি স্থানীয় অধিবাসীদের সংস্কৃতি গ্রাস করেছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকলে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবন-সংস্কৃতির উপর এর প্রভাব পরবে। তাই বিশ্বব্যাপী পর্যটন অনেকটা এখন ইকো ট্যুরিজম বা প্রকৃতি বান্ধব। ক্রমাগত জলবায়ূ এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাব ও বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রকৃতি ও প্রাণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে। তাছাড়া মানুষ ক্রমাগত বন ধ্বংস, পাহাড়ী ঝিরি থেকে পানি উত্তোলন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রকৃতির বিপুল ক্ষতি করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিস্তৃত বনাঞ্চল, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, ¯্রােতস্বিনী নদী থাকলেও বর্তমানে তার ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বিপন্ন হওয়ার পথে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল প্রকৃতি কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলঅ। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈচিত্র্যময় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকশিত করা একইসাথে সামাজিক রীতিনীতি,আইন-প্রথা, জীবনধারা, সামাজিক আচরণ রীতি পদ্ধতিকে ব্যাহত করে এমন কোন উদ্যোগ থেকে বিরত থাকা ।

পথ দেখাতে পারে ইকো বা প্রকৃতি বান্ধব ট্যুরিজম:
পাহাড়ের সুন্দরবন বলা হয় পাবলাখালী অভয়ারণ্যকে। আয়তনে (৪২০৮৭ হেক্টর প্রায়) বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। চিরহরিৎ এই বনে একসময় পর্যটকের আগমন ছিল চোখের পরার মতই। বন বিভাগের হিসাব মতে, প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখানে আসে। বন বিভাগের ২০০৭ সালের রের্কড অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার পর্যটক পাবলাখালীতে বেড়াতে আসে। তবে প্রকৃতি ঘেরা এই ঘন বনাঞ্চল এখন প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একসময় ১৮৩ প্রজাতির পাখি, ৭৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ উভয়চর প্রাণী থাকলেও আজ তা বিলুপ্তির পথে। বিরল প্রজাতির সাম্বার হরিণ, মায়া হরিণ এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান হলেও আজ তা বিলুপ্তপ্রায়। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে জীববৈচিত্র্যের ভূমিকা অত্যাধিক। কিন্তু পাবলাখালীর মত পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ অবহেলায় এখন বিলুপ্তি পথে। পাবলাখালী অভয়ারণ্য পাহাড়ের বন ধ্বংসের একমাত্র উদাহরণ নয়,কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, সাগু আর কর্ণফুলীর মোহনায় অবস্থিত বিভিন্ন অরণ্যভূমির একই অবস্থা । প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে দায়িত্বশীল পযর্টন শিল্প গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় তা ক্রমাগত ধ্বংসের পথে। প্রতি বছর বনভূমি ধ্বংস করে হাজার হাজার বৃক্ষ উজাড় হচ্ছে। মানবসৃষ্ট এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ পাহাড়ী বনাঞ্চলের ওপর মারাত্মক প্রভাব তৈরি করবে। গহীন অরণ্যেও এখন চোখে পড়ার মত বড় বৃক্ষের সন্ধান পাওয়া যায় না। তার সবচেয়ে বড় প্রভাব স্থানীয় আদিবাসী, বনের জীব বৈচিত্র্যের ওপর ।
তাছাড়া প্রাকৃতিক স্থান সমূহ: ঝর্ণা, লেক, পাহাড়ের চূড়া, পাহাড়ী ট্রেইল (পযর্টকদের চলার পথ)ইত্যাদি মানুষের ব্যবহত পানির বোতল, প্লাস্টিক সামগ্রী ও পলিথিনের মোড়কের মতো অপচনশীল বর্জ্যে দিন দিন ময়লা আবর্জনার বাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। তাই ইকো ট্যুরিজমের বিকাশে সচেতনতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী।

বিকাশিত হতে পারে সংস্কৃতির প্রতি সংবেদনশীল বা কালচার ট্যুরিজম :
পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিকভাবে যেমন বৈচিত্র্যপূর্ণ তেমনি সেখানে বসবাসরত নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন, আচার রীতি, প্রথা, উৎসব, ধর্মীয় রীতিনীতি পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বাংলাদেশের ৪৫ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১৩টি জাতিগোষ্ঠীর বাসই পার্বত্য চট্টগ্রামে। তাদের আত্মসামাজিকতা, জীবনযাত্রার মান, সংস্কৃতি, উৎসব পার্বণ ইত্যাদিই পর্যটন খাতের সহায়ক। বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও বেশী বর্ণিল ভাবে উদযাপন করা হয়। পহেলা বৈশাখ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদেরও প্রধান সামাজিক উৎসব। তবে তা পহেলা বৈশাখে হিসেবে নয়, খাগড়াছড়িতে বৈসাবি, রাঙামাটিতে বিজু উৎসব ও বান্দরবানে সাংগ্রাইং উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এসময় পাহাড়ের উৎসব উপভোগ করতে দেশ বিদেশের হাজারও পর্যটন পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থান করে। এসব আচার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যদি ট্যুরিজম পরিকল্পনা করা হয় তাহলে পাহাড়ের পর্যটন অনেক বেশী বিকশিত হবে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা বা কম্যুনিটি ভিত্তিক পযর্টনের ধারণা:
বাংলাদেশে বসবাসরত বৃহৎ জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনধারা, খাদ্যাভাস, আইন প্রথা, সামাজিক-ধর্মীয় রীতিনীতি, উৎসব বেশ তফাৎ। স্ব জাতিসত্ত্বার মধ্যে নিবিড় সর্ম্পক বিদ্যামান। পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশের এই অঞ্চলে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। একইসাথে তা হতে হবে এই অঞ্চলের মানুষকে যুক্ত করে। আদিবাসীদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনধারা, সামাজিক প্রথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে। তা না হলে, এখানকার জনগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়া উন্নয়ন কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশের নামে কোন জাতিগোষ্ঠীকে নিজভূমি থেকে উচ্ছেদ কখনোই মঙ্গলজনক নয় ।

পর্যটনের অর্থনৈতিক গুরত্ব:
বিশ্বে নানা দেশে সেবা খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম পর্যটন শিল্প। বর্তমান বিশ্বে এটি একটি বিকশিত শিল্প খাত। প্রধানত প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের উপর নির্ভর করে ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটে। তাছাড়া মানবসৃষ্ট ইকো পার্ক, রিসোর্ট, উৎসব ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে ট্যুরিজম গড়ে উঠে। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পর্যটন বেশ সম্ভাবনাময় এবং লাভজনক খাত। দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় পাহাড়ে বৃহৎ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। কর্ণফুলী পেপার মিল, কাপ্তাই প্লাইউড কারখানা এবং রাবার প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে উঠলেও নানা কারণে তা অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মৌসুমী ফল উৎপাদন হলেও সরকারি হিমাঘর এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এতে করে পাহাড়ের সবচেয়ে বিকাশমান খাত হিসেবে পযর্টনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ খুবই সম্ভাবনাময়। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ এ অঞ্চলের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া আদিবাসীদের নিজের তৈরি হস্তশিল্প-আদিবাসী পোশাক, কুটির শিল্প, খাদ্য সামগ্রী বিপননের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন এখানকার স্থানীয় মানুষদের এই খাতের সাথে সম্পৃক্ত করা।

পরিশেষে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের বিকাশে সরকারি ও বেসরকারি যেকোন উদ্যোগে সবার আগে ভাবতে হবে স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ততা। মনে রাখতে হবে স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীদের অবহেলা/ক্ষতিগ্রস্ত করে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা কখনো সম্ভব নয়।

সমির মল্লিক, সংবাদকর্মী ও পর্যটন উদ্যোক্তা

Share This:

The post পাহাড়ে পর্যটনের সমস্যা ও সম্ভাবনার রূপরেখা : সমির মল্লিক appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%93/feed/ 0
খাগড়াছড়ির নতুন বিনোদন কেন্দ্র ‘মায়াবিনী লেক’ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%87/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%87/#comments Mon, 11 Dec 2017 11:01:26 +0000 http://www.chttoday.com/?p=41305 সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। জেলার পানছড়ি উপজেলাধীন লতিবান ইউনিয়নে কংচাইরী পাড়ায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক রূপে... বিস্তারিত.... »

The post খাগড়াছড়ির নতুন বিনোদন কেন্দ্র ‘মায়াবিনী লেক’ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। জেলার পানছড়ি উপজেলাধীন লতিবান ইউনিয়নে কংচাইরী পাড়ায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক রূপে অপূর্ব সৌন্দর্য্য  মন্ডিতএকটি পর্যটন স্পট ‘মায়াবিনী’র লেক।  খাগড়াছড়ি শহর থেকে এই লেকে’র দূরত্ব যে কোন পরিবহন দিয়ে মাত্র ২০ মিনিটের পথ। পাহাড়ের উঁচু-নিচু ৪০ একর জায়গায় নিসর্গময় ১৫ একর লেকের মাঝখানে দ্বীপের মতো গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পটটি।

এই পর্যটন স্পটের জন্য সার্বক্ষনিক সহযোগীতা করছেন পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম। তাঁর পরিকল্পনায় ও বাস্তবায়নে পানছড়ি উপজেলাধীন লতিবানস্থ কংচাইরী পাড়ায় গত ৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর লেকে,র ‘মায়াবিনী’র লেক পর্যটন হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
লেকটি’র স্বচ্ছ পানির প্রবাহমান ধারা নিঃসন্দেহে মুগ্ধ করবে সকল বয়সী ভ্রমন পিপাসুদেরকে। দ্বীপের মধ্যে আছে পর্যটকদের জন্য একটি দর্শণার্থী বিশ্রামাগার। ভ্রমণ পিপাসুদের ভ্রমন সুবিধা রয়েছে ৪টি নৌকার ব্যবস্থা। তবে স্পীড বোট থাকলে আরো লেকে’র অল্প সময়ে ঘুরে বেড়ানো যেতো। বন্ধুরা মিলে বেড়াতে যেতে পারেন আবার পারিবারিক ভ্রমণের জন্যেও চমৎকার পর্যটন স্পটটি। একা একা চুপচাপ নির্জনে সময় কাটাতে চাইলেও পারবেন ‘মায়াবিনী’র লেক’র সীমানার মধ্যেই। মোট কথা জেলা শহরের খুব কাছেই আপনার সময়টি অসাধারণ কাটবে।
পানছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিস’র সহযোগীতা কংচাইরী পাড়াতে মৎস্য চাষের জন্য একতা মৎস্য সমবায় সমিতি। ২৮ জন সদস্যরা মিলেমিশে লেকে’র মৎস্য চাষ ও হাঁস চাষ শুরু করেন। একতা মৎস্য সমবায় সমিতি সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ’র কর্মচারী অংহ্লাপ্রু মারমা ভ্রমণ পর্যটকদের পিপাসুদের কথা চিন্তা করে পর্যটনে জন্য প্রস্তাব দেন পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমকে।
গত ৭ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লেককে ‘মায়াবিনী’র লেক পর্যটন হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা পর দিনদিন মায়াবিনী লেকে’র পর্যটনে পর্যটকে সংখ্যা বাড়ছে।
মায়াবিনী লেক’র যেমন পরিচ্ছন্ন তেমনি মনোরম পরিবেশ, আবার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। তাই খাগড়াছড়ি মায়াবিনী লেক’র কাছাকাছি ভাইবোনছড়াতে রাবার ড্রাম,বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের উপসনালয় অরন্য কুঠিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে সুবিধা রয়েছে।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা হতে শান্তি, এস আলম ,হানিফ, ইকোনো , শ্যামলী, সৌদিয়া এসি /নন এসি পরিবহনের মাধ্যমে সরাসরি যেতে পারেন খাগড়াছড়িতে। খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি উপজেলা সড়কের দিকে সিএনজি অথবা মাহিন্দ্র পরিবহন করে যেতে হবে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া বাজারে। সেখান থেকে পশ্চিম দিকে পাঁচ মিনিটে কংচাইরী পাড়াতে মায়াবিনী লেকে যেতে পারবেন। মায়াবিনী লেক’রর পিকনিকের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সুবিধাও রয়েছে। সেখানে মায়াবিনী লেকে’র তত্ত্বাবধায়ক হিবেবে দায়িত্ব পালন করছে অংহ্লাপ্রু মারমা। তার সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন মায়াবিনী লেকে’র মোবাইল নং ০১৫৫৩৬৬৯৫৯৬।

Share This:

The post খাগড়াছড়ির নতুন বিনোদন কেন্দ্র ‘মায়াবিনী লেক’ appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%87/feed/ 1
ভুমি অধিগ্রহণে পার্বত্য জেলাগুলোতে জটিলতা কাটছে না https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af/#respond Fri, 17 Nov 2017 19:39:32 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40525 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ভুমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধন না হওয়ায় পার্বত্য জেলাগুলোতে ভুমি অধিগ্রহনে... বিস্তারিত.... »

The post ভুমি অধিগ্রহণে পার্বত্য জেলাগুলোতে জটিলতা কাটছে না appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ভুমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধন না হওয়ায় পার্বত্য জেলাগুলোতে ভুমি অধিগ্রহনে জটিলতা কাটছে না। সম্প্রতি গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং তারিখে “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ : সংসদে পাশ হয়েছে। দেশের ৬১ জেলায় এই আইন কার্যকর করার কথা বলা হলেও পার্বত্য এলাকার জন্য আলাদা ভুমি অধিগ্রহন আইন করার জন্য ভুমি, আইন ও পার্বত্য মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু পার্বত্য এলাকার জন্য আলাদা ভুমি অধিগ্রহন আইন তৈরি না হওয়ায় সরকারি কাজে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে, আর পার্বত্যবাসী বঞ্চিত হচ্ছে সমতল অঞ্চলের মত সুযোগ সুবিধা থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় এজন্য ভুমি মন্ত্রনালয়কে দোষারোপ করে বলছে বিষয়টি নিয়ে ভুমি মন্ত্রনালয়কে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় জানালেও তারা এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৬১ জেলার ভুমি অধিগ্রহণ করা হয় ১৯৮২ সালের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, আর পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভুমি অধিগ্রহন করা হয় ১৯৫৮ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি অধিগ্রহন প্রবিধান অনুযায়ী। ওই আইন অনুযায়ী সমতল এলাকার জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তরা পায় ১৫০ শতাংশ আর পার্বত্য এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা পায় ১৫% শতাংশ। সম্প্রতি নতুন আইনে এলাকার জমির দাম বিবেচনা করে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপুরনের পরিমান ২০০ শতাংশ করা হয়, অর্থাৎ জমির মুল্য যদি ১ কোটি টাকা হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি পাবেন ৩ কোটি টাকা। ১৯৫৮ সালের অধিগ্রহন আইন সংশোধনীর লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি, সার্কেল চীফদের নিয়ে আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি।

 

ভুমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধনী করার বিষয়ে গত রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ১২ মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে “তিন পার্বত্য জেলায় ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্ষতিপুরন প্রদানের বিষয়ে নির্দেশনা” চেয়ে ভুমি মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠালেও মন্ত্রনালয় থেকে কোন নির্দেশনা এখনো দেয়া হয়নি। এর  মধ্যেগত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং তারিখে “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ : সংসদে পাশ হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পার্বত্য জেলা সমূহে ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রম পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহন) প্রবিধান, ১৯৫৮ অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়। উক্ত আইনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে জমির বাজার মূল্যের উপর ১৫% ভাগ অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে। সমতল এলাকায় ১৯৮৪ সনের জরুরী অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত ১৫% ভাগ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হত। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সনের জরুরী অধিগ্রহন আইন সংশোধন করে ১৫% পরিবর্তে ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ মূল্য প্রদানের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু তিন পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহন) প্রবিধান, ১৯৫৮ সংশোধন করা হয়নি। ফলে পার্বত্য জেলা সমূহে অদ্যাবধি ১৫% ভাগ অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান বলবৎ রয়েছে।

২) ভূমি মন্ত্রালয়ের স্মারক নং-ভুঃ মঃ/শা-১১হুঃ দঃ/খাগড়া-৩৫/৯৬-১৫৬, তাং-১৬/৬/২০১০ খ্রিঃ মূলে পার্বত্য এলাকায় ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে এ কার্যালয় স্মারক নং- ১১০, তাং- ২১/০৭/২০১০খ্রিঃ মূলে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় পার্বত্য এলাকায়ও ৫০% অরিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়ে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহন) প্রবিধান, ১৯৫৮ সংশোধন করে ৬১ সমতল জেলার ন্যায় তিন পার্বত্য জেলায় ১৫% এর পরিবর্তে ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বর্ণিত বিষয়ে এ কার্যালয়ে হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের এবং ভূমি মন্ত্রাণালয়ে এ সংক্রান্তে পত্র প্রেরন করা হয়।

৩) পার্বত্য এলাকায় চলমান ক্ষতি পূরণ প্রদানের প্রক্রিয়ার উপর এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(খ)(১০২) এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(ঘ্র)(১০২) এর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদ্বয় জেলা প্রশাসকের, রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে বিবাদী/প্রতিপক্ষ করে ভূমি মন্ত্রালয়ের পরিপত্র নং-ভুঃ মঃ/শা-১০/হুঃ দঃ/সাধারণ-১৬/৯১/৫৮৪(৮৩)একুইন, তারিখ- ৮/১১/১৯৯৩ এর আলোকে সাড়া দেশের ন্যায় ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে বাজারমূল্যসহ ৫০% অতিরিক্তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ আদালত, রাঙামাটি বরাবর মিছ রিভিউ মামলা নং- ০৩/০৮ এবং সিভিল ৫৫৯/০৮ দায়ের করেন। উক্ত মামলাদ্বয়ের আদেশে আদালত কর্তৃক বাদীকে বর্তমান বাজার মূল্যসহ ৫০% অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করতে বিবাদী/প্রতিপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(খ)(১০২) ও এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(ঘ্র)(১০২) এর ক্ষেত্রে বাজারমূল্য সহ অতিরিক্ত ৫০% ক্ষতিপূরণ ধার্য করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়। উক্ত মামলাদ্বয়কে রেফারেন্স হিসাবে বিবেচনা করে পরবর্তীতে এ কার্যালয়ে এল এ মামলা নং-২ডি/২০০৯-১০(১০২), ৪(ডি)/২০১১-১২(১০২), ১(ডি)/২০১২-১৩(৯৮), ২(ডি)/২০১৩-২০১৪(১০০), ৪(ডি)/২০১৩-১৪(৯৫এ ও ৮৭) ও ৬(ডি)/২০১৩-১৪(১১০) এর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে বাজার মূল্যসহ ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা বিধি সম্মত কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন উস্থাপিত হচ্ছে।

৪) কাপ্তাই বাধ সৃষ্টির ফলে রাঙামাটি জেলার অধিকাংশ সমতল জমি প্লাবিত হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ভূমি প্রাপ্তি ক্রমশ: দূরহ হয়ে পড়েছে। এছাড়া ১৯৫৮ সালের প্রবিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হওয়ায় ভূমি মালিক ন্যায়্য ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না, ফলে তারা তাদের মালিকানাধীন জমি/সম্পত্তি অধিগ্রহনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ ও বিলম্বিত হচ্ছে। বর্তমানে এ জেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত জনগুরুত্বপূণূ হিসাবে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলিক পরিষদ, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, বিজিবি, আনসার, ফায়ার স্টেশন, বিআরটিএ এবং বিভিন্ন সংস্থার জমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহনের জন্য প্রত্যাশি সংস্থা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে প্রদানের জন্য বাজার মূল্যসহ ৫০% অতিরিক্তসহ ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হলেও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভূমি অধিগ্রহনের নিমিত্ত প্রস্তাবিত জমির ক্ষতিপূরণ প্রাক্কল প্রস্তুতের পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু উপরোক্ত জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে ক্ষতিপূরণ এবং এলএ মামলার ক্ষতিপূরণের প্রাক্কলণ প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে চলমান প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ বাজারমূল্য সহ ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবি করেছেন। কিন্তু আইনগত জটিলতার কারণে এবং ক্ষতিপূরণের হারের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও চলমান প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিঘœ ও বিলম্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাজারুল মান্নান জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রে ভুমি অধিগ্রহন আইন সংশোধন না হওয়ায় ভুমি অধিগ্রহনে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহনকৃত জমি বুঝিয়ে দিলেও মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনার জন্য জায়গা অধিগ্রহন সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রনালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়ে চিঠি পাঠালেও তার কোন উত্তর এখনো আসেনি।

গত ৪ নভেম্বর রাবিপ্রবির জায়গা বুঝে নেয়ার পর কর্তৃপক্ষ সাইন বোর্ড স্থাপন করেন

বিষয়টি নিয়ে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, ভুমি অধিগ্রহন আইনে সারাদেশে জমির মুল্যর ক্ষতিপুরন ৩গুন করার কথা বলা হয়েছে এটা ভালো দিক. কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কথা ভুলে গিয়ে এই আইন করা হয়েছে। যাদের জমি বন্দোবস্তীকৃত তারাই কেবল ক্ষতিপুরন পাবেন কিন্তু যারা প্রথাগত নিয়মে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে, বন সংরক্ষন করে, জুম চাষ করে তাদের জমি যদি সরকার নিয়ে যায় তাদের কি হবে? তারা কি ক্ষতিপুরন পাবেন সে বিষয়টি উল্লেখ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে বিষয়টি সরকারকে জানানো হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলাকে বাদ রেখে ৬১ জেলার জন্য আইনটি করা হলেও পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রে আইন করার সময় এখানকার প্রথা, রীতিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে সংশোধন করতে হবে। পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রে ভুমি অধিগ্রহন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এখানকার রাজনৈতিক, সামাজিক প্রথাগত ব্যাক্তিদের মতামত নিতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানান, ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপনা পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের হাতে ন্যস্ত নয়, তাই আমরা কিছু করতে পারছি না। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে ভুমি অধিগ্রহণ বিষয়ে একটি মতামত পাঠানো হয়েছে এটি আমরা ভুমি মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি কিন্তু ভুমি মন্ত্রনালয় থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ভুমি সংক্রান্ত সকল কাজ ভুমি মন্ত্রনালয়ের আমরা কেবল তাদের কাছে পাঠাই বাকি কাজ তারা করে তাই আমরা কিছু করতে পারি না। তবে শীঘ্রই আমরা বিষয়গুলো নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্তে যাব বলে আশা করছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব বলেন, ১৯৫৮ সনের আইন অনুযায়ী সমতলে যে সুযোগ সুবিধা সেটি যেন পার্বত্য এলাকার মানুষ পায় আমরা সে ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছি। পার্বত্য মন্ত্রনালয় ৩ পার্বত্য জেলা দেখে, আর ভুমি মন্ত্রনালয় ৬৪ জেলা দেখে আমরা যেভাবে গুরুত্ব দেই তারা হয়ত সেভাবে গুরুত্ব দেয় না তাই দেরি হচ্ছে। তবে শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।

 

বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশে সিং জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৫৮ সনের আইন সংশোধন করা হবে এবং একটি আন্ত:মন্ত্রনালয় সভা ডাকা হবে। যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ সব পক্ষ থাকবে যাতে সমতলের মত পাহাড়ের মানুষরা সমান সুযোগ পাবে।

সাইন বোর্ড লাগানোর ১৩দিন পরে এসে কে কারা রাবিপ্রবির সাইন বোর্ডটি সরিয়ে নিয়ে যায়

শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপন পার্বত্য মন্ত্রনালয়ে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও চুক্তির ২০ বছরেও ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে হস্তান্তর না করায় তারা পার্বত্য এলাকার ভুমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

নানা জটিলতায় থমকে আছে পাহাড়ে নানা উন্নয়ন কার্যক্রমে ভুমি অধিগ্রহণের কাজ, আইন সংশোধন না হওয়ায় ভুমি অধিগ্রহণ জটিলতা কাটছে না। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপনা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কাছে হস্তান্তর করলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভুমি সংক্রান্ত জটিলতা কমে আসবে বলে অভিজ্ঞমহলের ধারণা।

Share This:

The post ভুমি অধিগ্রহণে পার্বত্য জেলাগুলোতে জটিলতা কাটছে না appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af/feed/ 0
শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে টাস্কফোর্স https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/#respond Thu, 16 Nov 2017 17:58:51 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40497 সিএইচটি টুডে ডট কম। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন অস্থিরতা এবং যুদ্ধাবস্থা ছিল তখন প্রাণ বাঁচাতে অনেক... বিস্তারিত.... »

The post শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে টাস্কফোর্স appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন অস্থিরতা এবং যুদ্ধাবস্থা ছিল তখন প্রাণ বাঁচাতে অনেক পাহাড়ী  ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর সরকার সে সব শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চুক্তি মোতাবেক “ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্স” গঠন করে। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে সংস্থাটি এমনটা জানালেন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

তিনি আরো জানান, পার্বত্য শান্তি চুক্তির (ঘ) ১ ধারা মোতাবেক ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থানরত উপজাতীয় ১২,২২২টি পরিবারের ৬৪ হাজার ৬১২জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের ২০ দফা প্যাকেজ অনুযায়ী পুর্নবাসন করা হয়েছে, তবে কিছু পরিবার নিয়ে সমস্যা রয়েছে এসব যাচাই বাছাই চলছে। ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১২,১৬৯ পরিবার এবং রাঙামাটিতে ৫৩ পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে।

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্স
কার্যালয়ে সিএইচটি টুডে ডট কম এর সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।

টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমরা কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারি না, কেবল সুপারিশ করতে পারি। ২০ দফা প্যাকেজের মধ্যে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের গৃহ নির্মাণের জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা, চাল, ডাল, তেল এবং তেল রেশন হিসেবে দেয়া হচ্ছে, ঋণের টাকা মওকুফ, মামলা প্রত্যাহার, মালিকাধীন জমি প্রত্যপর্নসহ চাকুরি দেয়া হয়েছে।
যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, চুক্তি অনুযায়ী শরনার্থীদের প্রায় ২৮টি জায়গাতে পুনর্বাসন করা হয়েছে, কিছু মামলাজনিত কারনে বাকি আছে। এসব আমরা সরকারকে জানিয়েছি মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হলে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিছু শরনার্থী প্যাকেজের মধ্যে নাই। কারণ তারা চুক্তির আগে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছে এরকম সংখ্যা ৩শতাধিক। তারা আসার পরে সরকার থেকে কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। এখন তাদেরও দাবি হচ্ছে এই চুক্তির মাধ্যমে যেন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের এই দাবি আমরা সরকারকে জানিয়েছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান বলেন, পাহাড়ে পুর্নবাসিত বাঙালী রয়েছে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীসহ উদ্ধাস্ত রয়েছে সরকার বছরে বছরে তাদের পেছনে হাজার হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশষ্যে বরাদ্ধ দিচ্ছে এসব কতদিন চলবে। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত, মানুষকে অলস না বানিয়ে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার। যারা ক্ষতিগ্রস্ত না
পাকিস্তানি বার্মাইয়া লোক তারাও এখানে বসে আছে। তাদের পুনর্বাসনে সরকারের পরিকল্পনা করা উচিত।

শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিকতার কারনে ১৯৯৭ সনের ২রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, চুক্তির বেশীর ভাগই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভুমি কমিশন পুরোদমে কাজ শুরু করলে এবং ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি হলে চুক্তির সফলতা আসবে। শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে মত পার্থক্য থাকতে পারে তবে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করতে হবে।

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবির বিষয়ে টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীরা জনগনের শত্রু, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী চাদাবাজি করা হয় আমিও চাই সরকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করুক।

খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগের গ্রুপিং সর্ম্পকে যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমি ২০০৪-২০১৩ইং পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলাম। তখন কোন গ্রুপিং ছিলো না। এখন কেনো গ্রুপিং শোনা যায়, এর কারণটা নির্ণয় করা দরকার। এটা কেন্দ্র থেকে দেখা দরকার। যদি গ্রুপিং থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। দ্বন্দ্বের শুরুতে যদি কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করত তাহলে এতদিনে এগুলো নিষ্পত্তি হয়ে যেত। আমার মনে হয় কেন্দ্র চাইলে এগুলো কোন ব্যাপার না। দুই গ্রুপের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু সমাধানের পথে কেউ না হেটে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে এটা সরকার ও দলের জন্য বিব্রতকর।

আগামী নির্বাচনে কে মনোনয়ন পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারে। তবে দল যাকে দিবে তাকেই সমর্থন করবো আমরা, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত: ১৯৯৮ সনের ২০ জানুয়ারী ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্স গঠিত হয়। এর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন কল্প রঞ্জন চাকমা এমপি, পরে দীপংকর তালুকদার এমপি ও সমীরণ দেওয়ান দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সরকার প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ২০০৯ সনের ২৭ আগষ্ট টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন, তিনি অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন।

Share This:

The post শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ২০ দফা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে টাস্কফোর্স appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/feed/ 0
আওয়ামীলীগ নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/#respond Thu, 16 Nov 2017 17:55:32 +0000 http://www.chttoday.com/?p=40491 ওয়াদুদ ভুইয়া সাবেক সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির... বিস্তারিত.... »

The post আওয়ামীলীগ নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

ওয়াদুদ ভুইয়া সাবেক সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি। পাহাড়ের বাঙ্গালীদের মধ্যে নেতৃত্বের যে সংকট চলছে তার শুন্যতা পুরনের চেষ্টা করছেন। তার এলাকার পাশাপাশি তিনি রাঙামাটি জেলার বাঙ্গালীদের একটি অংশের কাছে বেশ জনপ্রিয় নেতা। ওয়াদুদ ভুইয়া ১৯৬৫ সনের ৫ জানুয়ারী তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৮০ সনে রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তার উচ্চতর লেখা পড়া শেষ করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শোনার সময় ১৯৯৮৬-৮৭সনে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৮৯ সনে খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওয়াদুদ ভুইয়া ষষ্ঠ, সপ্তম, ৮ম নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন এবং দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জেলে থাকার কারনে ২০০৯ সনের নবম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারেননি। সর্বশেষ ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। গতবার বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ বছর জেলে থাকার পর ২০০৯ সনের মে মাসে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর ২/৩ এলাকায় গেলেও প্রশাসনের বাঁধার কারনে এলাকায় থাকতে পারেননি। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নানাভাবে সর্ম্পক গড়ে তোলে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। বর্তমানে তিনি বেশীর ভাগ সময় এলাকায় অবস্থান করছেন এবং আগামী নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জোট থেকে খাগড়াছড়ি আসনে অংশ গ্রহন করবেন।
ওয়াদুদ ভুইয়া পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন দৈনিক সিএইচটি টুডে ডট কমের ৪ বছর পেরিয়ে ৫ বছর পর্দাপন উপলক্ষে একান্ত সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন আগামীতে নির্বাচিত হলে পাহাড়ী বাঙ্গালী সবাইকে সাথে নিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। তিনি জানান, পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলো যেভাবে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে তিন পার্বত্য জেলায় আগামী সংসদ নির্বাচন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মধ্যে নয়, আঞ্চলিক দলগুলোর সাথেই করতে হবে। তিনি অবিলম্বে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার দাবি জানান। সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন সিএইচটি টুডে ডট কম এর সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন। নিচে তার সাক্ষাতকারটি হুবহু তোলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: কেমন আছেন?
ওয়াদুদ ভুইয়া : ভালো আছি।

প্রশ্ন: আপনার ছাত্রজীবন ও রাজনৈতিক জীবন সর্ম্পকে যদি কিছু বলেন, রাজনীতিতে কিভাবে জড়ালেন?
ওয়াদুদ ভুইয়া: আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে উনি ফেণীর জিয়াউর রহমানের সাথে আমার প্রথম দেখাটা হয়, ফেণীর শুভপুর ব্রিজের কাছে। তিনি সেখানে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধের স্মৃতিগুলো দেখতে এসেছিলেন। আমি সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধে তখন আমরা যার নাম শুনেছিলাম তিনি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান শুভপুর ব্রিজের কাছে আসার পর তখন আমি উনার কাছে ছোট শিশু হিসেবে বেশ আদর পেয়েছি, তখন থেকে উনার প্রতি আমার একটা আকর্ষণ ছিল। এখান থেকেই প্রথম সূচনা। পরে আমি যখন ১৯৮০সালে এসএসসি পরীক্ষা দেই তখন তিনি রামগড় এসেছিলেন একটা সমাবেশে, সেই সমাবেশে রাঙামাটির তৎকালীন ডিসি আলী হায়দার সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আমি সেই সভা উপস্থাপনা করি। তখন আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি, কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু সেই দিনের সভায় আমি রামগড়ে যেহেতু কলেজ ছিলো না, তাই আমি সভায় কলেজ নির্মানের দাবি জানালাম। তারই প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসককে ৩ মাসের মধ্যে কলেজ নির্মানের নির্দেশ দেন জিয়াউর রহমান। সে সময় তিনি বলেন, আগামী বছরই আমি কলেজ চালু দেখতে চাই ও উদ্বোধনও করতে চাই। ফলে রামগড় সরকারি কলেজ মর্নিং শিফট চালু হয়েছিল। তাই আমি চট্টগ্রাম ভর্তি না হয়ে আমার বাড়ীর পাশে যে রামগড় কলেজ নির্মাণ হলো সেখানে ভর্তি হলাম। আর সেই থেকে জিয়াউর রহমানের আদর্শ উপর ভিত্তি করে, তার আদর্শকে ভালোবেসে রাজনীতিতে জড়ালাম এবং কলেজে পুরাদমে রাজনীতি শুরু করলাম।

কলেজে পড়ালেখা কালে আমি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। তারপর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হলাম, পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। সেখানে রাজনীতিতে ছাত্রদলের সদস্য থেকে শুরু করে আহ্বায়কও হলাম। পরে আমি আমার নিজ বাড়ী খাগড়াছড়িতে এসে রাজনীতি শুরু করলাম।

দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে নেতা কর্মী বেষ্টিত বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভুইয়া

প্রশ্ন: আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রস্তুতি কেমন,বিজয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী? নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলো ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে কিনা?

ওয়াদুদ ভুইয়া: নির্বাচনে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে তখন আমরা নির্বাচন করবো এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমরা শতভাগ বিজয় অর্জন করব। আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। কারণ পাহাড়ের রাজনীতিতে তারা মূল দল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। এর জন্য আমি সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করব। তাদের কারণেই পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো আত্নপ্রকাশ করে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে। জাতীয় দলগুলোর অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলো।

প্রশ্ন: সরকার বলছে, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধীনে হবে সেক্ষেত্রে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হওয়ার ব্যাপারে আপনারা কতটুকু আশাবাদী?

ওয়াদুদ ভুইয়া: বর্তমান সরকার ২০১৪সালেরর ৫ই জানুয়ারীর মত আবার নির্বাচন তারা করতে চাচ্ছে। আমরা আগের সেই নির্বাচন করব না, মানবো না এবং শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে যাব না। বর্তমান সরকারের অধীনে আমরা এইবার কোন নির্বাচন করতে দিব না। দেশে বিদেশে জাতীয়, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন সরকারকে করতে হবে। যদি তারা ৫ই জানুয়ারীর মত নির্বাচন করতে চায় তাহলে দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে সেই নির্বাচন প্রতিহত করবো।

প্রশ্ন: ১০ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে , দলের নেতা কর্মীরা কেমন উজ্জীবিত? শোনা যায়, খাগড়াছড়ি বিএনপিতে গ্রুপিং আছে বিষয়টি কতটুকু সত্য?

 

ওয়াদুদ ভুইয়া: ১০বছর ধরে বিএনপি শুধু ক্ষমতার বাইরে নয়, তার পাশাপাশি মামলা হামলায় জর্জরিত। এরপরও বিশেষ করে আমার এলাকার নেতাকর্মীরা ভীষণ রকমের উজ্জ্বীবিত ও চাঙ্গা এবং আমার এলাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত গতিতে নির্বাচন করবে।

খাগড়াছতিতে বিএনপিতে কোন গ্রুপিং নাই। তবে নির্বাচনে অনেকে মনোনয়ন চাইতে পারে। আমি এটিকে গ্রুপিং মনে করি না, এটি একটি প্রতিযোগিতা। মনোনয়ন চাওয়াটা কোন গ্রুপিং না। নির্বাচনে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইতে পারে। তাই এটিকে অনেকে গ্রুপিং মনে করছে, কিন্তু আমি এটাকে গ্রুপিং মনে করি না।

প্রশ্ন: ওয়ান এলেভেনের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, এখনো অনেকগুলো মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন, এক সময় ঢাকা থাকলেও বর্তমানে বেশিরভাগ সময় খাগড়াছড়িতে থাকছেন, এতে দলের নেতা কর্মীরা কতটুকু প্রাণ ফিরে পেয়েছে? দলীয় কর্মসুচীগুলোতে কেমন অংশ গ্রহণ করছে, আপনার নামে অনেকগুলো রাজনৈতিক মামলা রয়েছে, নির্বাচনের সময় মামলাগুলোতে জামিনে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন বলে কি মনে হয়?

ওয়াদুদ ভুইয়া: আমি আমার সব মামলায় জামিনে আছি। এই মামলাগুলো আমার নির্বাচনে কিংবা আমার কার্যক্রমে কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না। সরকারদলীয় লোকেরা আমাকে অনেক দিন এলাকায় থাকতে দেয়নি । তখনও আমার নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা ছিল, এখনো আছে। এখন আমি আমার নিজ এলাকায় রয়েছি তাই নেতা কর্মীরা আমি মনে করি আগের চেয়ে অনেক উজ্জ্বীবিত ও উৎসাহিত। কেন্দ্র ঘোষিত সকল জাতীয় ও স্থানীয় সকল কর্মসূচি একমাত্র খাগড়াছড়িতে ঠিকমত আমাদের নেতা কর্মীরা পালন করে, আমার জেলায় একটা কর্মসূচিও বাতিল হয়নি। আমরা সরকারের সব বাঁধা উপেক্ষা করে সকল কর্মসূচি পালন করছি।

প্রশ্ন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আপনাদের বর্তমান অবস্থান কি?
ওয়াদুদ ভুইয়া: শান্তি চুক্তি নিয়ে বিএনপির অবস্থান আগে যেমন ছিল এখনো তেমনি আছে। আমরা দলের অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শান্তি চুক্তি নিয়ে আপাতত কিছু ভাবছি না। তাহলে পাহাড়ীরা বিএনপিকে কিভাবে গ্রহন করবে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি পাহাড়ীদের বেশীর ভাগ এই চুক্তিকে মানে না, আমরাও মানি না। তাই আমি মনে করি, বিএনপির সাথে পাহাড়ীদের রাজনীতিতে কোন সমস্যা হবে না।

আমরা এই শান্তি চুক্তি মানি না কারণ এই চুক্তি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এই চুক্তি জাতিতে জাতিতে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ সৃষ্টি করেছে, বৈষ্যম সৃষ্টি করেছে। এই চুক্তিতে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষিত হয়নি। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অনেকটা হুমকির মুখে তাই আমরা এটার বিরোধীতা করেছি।
যেমন এই চুক্তি বলা হয়েছে, কোন ভূমি অধিগ্রহন করতে হলে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়াম্যানের অনুমতিক্রমে করতে হবে। কিন্তু আমি মনে করি যে, রাষ্ট্রের স্বার্থে রাষ্ট্র যে কোন জায়গা নিতে পারবে কিন্তু এখানে আঞ্চলিক পরিষদের অনুমতি লাগবে কেন? আমাদের দেশের সরকার বিদেশের সাথে বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে পারবে কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের কোন খনিজ সম্পদ নিয়ে সরকার চুক্তি করতে পারবে না। আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন নিয়ে করতে হবে। এতে প্রমাণিত হয় যে, পার্বত্য অঞ্চলের উপর সরকারের কোন অধিকার নেই। তাহলে সরকারের যদি অস্তি¡ত্ব না থাকে তাহলে এটি তো সরাসরি সংবিধানের পরিপন্থি হয়ে গেল এবং সেই কারণে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। হাইকোট আঞ্চলিক পরিষদকে বাতিল করেছে এবং এই মামলাটিকে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। বর্তমানে তা চলমান বয়েছে। আপিলে যদি আমরা জয়লাভ করি তাহলে শান্তি চুক্তি আর থাকবে না।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক দল জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউপি নির্বাচনে পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেছে, এটি জাতীয় রাজনীতির জন্য কোন অশনি সংকেত কিনা? নাকি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা?

ওয়াদুদ ভুইয়া: এটি সরকারসহ জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা। সরকারের ব্যর্থতার কারণেই পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। তা না হলে তাদের দিনে দুপুরে তারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে কিভাবে বিচরণ করে, নির্বাচনের সময় অবৈধ অস্ত্র ধরে ভোটারদের বাধ্য করে তাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে, এছাড়া প্রকোশ্যে অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি করা এসবের জন্য সরকারই দায়ী, সরকার যদি এদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় না দিত তাহলে এরা এসব কিছু পারত না। সশস্ত্র গ্রুপগুলো সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আছে বলেই আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নয়, আমাদের প্রতিযোগিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে। তাই আমি মনে করি পাহাড়ে জাতীয় নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোর প্রভাব পড়বে আর এজন্য দায়ী থাকবে জাতীয় দলগুলো ও সরকার।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে খোদ আওয়ামীলীগ মাঠে নেমেছে, এতে বিএনপির অবস্থান কি?

ওয়াদুদ ভুইয়া: আমরা এই ইস্যুতে বরাবরই মাঠে আছি সবসময়। আমরা বিভিন্ন জায়গায় সভা, বিভিন্ন সেমিনারে সব সময় দাবি করে আসছি পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। অবৈধ অস্ত্র বহনকারীদের গ্রেফতার করা হোক। অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করা হোক, তারা কি করে ঢাকায় আরাম আয়াশে থাকে, তারা কি করে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দেয়। অবৈধ অস্ত্র বহনকারী, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণ আদায়কারীরা যে সব অন্যায় কাজ করছে এসবের জন্য সরকার দায়ী, না হলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এরা এইগুলো করছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিস্কার, আমরা চাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হোক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার হোক। শান্তি চুক্তির পর সন্ত্রাসীরা যদি সব অস্ত্র জমা দিয়ে থাকে তাহলে পাহাড়ে অস্ত্র আসে কোথা থেকে? আমার মনে হয় প্রশাসন এদের সহযোগিতা করছে, কারন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বছরে হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে সেই চাঁদার ভাগ হয়ত প্রশাসনের কেউ কেউ পায়, না হলে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?

প্রশ্ন: পাহাড়ে বাঙালী সংগঠনগুলোর আন্দোলনের বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

ওয়াদুদ ভুইয়া: পাহাড়ে যে বাঙালী সংগঠনগুলো রয়েছে সেগুলো বেশীর ভাগই ভুইফোড়, এগুলোর কোন কাঠামো, জনভিত্তি নাই। মৌলিক অর্থে আন্দোলন সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্তকরণে ব্যর্থ হয়েছে, তারা কেবল কে কিভাবে শিরোনামে আসবে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে। বাঙালী সংগঠনগুলোর পেছনে কোন জনবল নাই, শুধু একটি মাত্র সংগঠন রয়েছে সেটি হলো সমঅধিকার আন্দোলন। এই সংগঠনটাকে সবাই চিনে এবং সবাই সম্পৃক্ত আছে। কিন্তু এই সংগঠনটা কে সরকার আগাতে দিচ্ছে না। সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি এই সংগঠনকে গলা চিপে ধরেছে। এই সংগঠনকে বাদ দিলে আর কোন সংগঠন নাই যে বাঙালী সংগঠন বলা যায়। বরং এদের বলা যায় বাঙালী চাঁদাবাজি সংগঠন। এরা বাঙালী অধিকারের নামে চাঁদা সংগ্রহ করে। পেট চালায়, পরিবার চালায়। এদের কেউ করে জামাত, কেউ করে বিএনপি কেউ আওয়ামীলীগ।

বিএনপির কর্মসুচী পালনের সময় পুলিশের বাধা

প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পাহাড়ী বাঙালী সর্ম্পক উন্নয়নে কি উদ্যেগ নিবেন?

ওয়াদুদ ভুইয়া: আমরা অবশ্যই পরস্পরের প্রতি সমঝোতামুলক, আস্থা বিশ্বাস স্থাপন করে একটি সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করবো, যাতে করে কোন সম্প্রদায় জাতিগোষ্ঠী উন্নয়ন বঞ্চিত না থাকে। এখন জাতি সম্প্রদায় দল দেখে উন্নয়ন করা হচ্ছে, আমি মনে করি সব সম্প্রদায় যখন উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে তখন তারা মূল ¯্রােতধারার সাথে সম্পৃক্ত হবে।

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীরা থাকলে বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা, হুমকির মুখে পড়বে। এখনি সময় সরকার এবং তাদের এজেন্সিদের যাতে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়। তা না হলে সরকার যদি এই চাঁদাবাজি সংগঠনগুলোকে আশ্রয় প্রশয় দেয় তাহলে পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এখনি সময় বাংলাদেশকে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমা রেখার মধ্যে রাখতে হলে পাহড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর লাগাম টেনে ধরতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

প্রশ্ন: আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ওয়াদুদ ভুইয়া: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।

Share This:

The post আওয়ামীলীগ নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/feed/ 0
পুর্নবাসন নয় ত্রাণ নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%86/ https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%86/#respond Tue, 05 Sep 2017 12:56:46 +0000 http://www.chttoday.com/?p=38460 সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। অনিশ্চিত পুনর্বাসনের মধ্যে ত্রাণ নিয়েই আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে রাঙামাটিতে... বিস্তারিত.... »

The post পুর্নবাসন নয় ত্রাণ নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। অনিশ্চিত পুনর্বাসনের মধ্যে ত্রাণ নিয়েই আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে রাঙামাটিতে ১৩ জুনের পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে এসব সরকারি ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদারকে। এ সময় ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলে দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে।
জেলা প্রশাসনক মো. মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার ত্রাণ বিতরণ করলেও কোনো বক্তব্য দেননি। এ সময় পুলিশ সুপার সাঈদ মো. তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. জসিম উদ্দিন বাবুল উপস্থিত ছিলেন। পরে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা, ২ বান্ডেল ঢেউ টিন ও ৩০ কেজি চাল এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এ দিন রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ১৪০ পরিবার এবং আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা ২৬৩ পরিবারকে এসব ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালানা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সরকারি বরাদ্দ শেষ। এ অবস্থায় কোনোতেই আশ্রয় কেন্দ্র চালানো সম্ভব নয়। তাই জমা রাখা ত্রাণ থেকে এসব সহায়তা দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলা হচ্ছে। আশা করি এসব ত্রাণ নিয়ে ঘরমুখী হবেন। তবে নিজেরার উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ বা বিধ্বস্ত ভিটায় গিয়ে ঘরবাড়ি বানানোর চেষ্টা করবেন না। যেখানে ঘর বানাবেন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তা করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ঘর করলে আমরা পরে তা ভাঙতে বাধ্য হব।
তিনি বলেন, পুনর্বাসনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেলে এবং জায়গা খুঁজে পেলে তাৎক্ষণিক পুনর্বাসনের জন্য বাড়িঘর করে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) হতে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেগুলো দ্রুত বিতরণ করা সম্ভব হবে। এর আগে এনজিও সংস্থা গ্রিণহিল হতেও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ পুনর্বাসন করা হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি জেলা প্রশাসক।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া এক ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় শহরসহ জেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১২৩১ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ হাজার ৫৩৭। জেলায় এসব ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৭৭৬ টন চাল, নগদ ১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার, ৫০০ বান্ডেল ঢেউ টিন এবং গৃহ নির্মাণ ব্যয় মঞ্জুরি বাবদ ১৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, সামান্য এ ত্রাণ নিয়ে কোথায় যাবেন, কী করবেন তা কিছুই বুঝতে পারছেন না তারা। তারা বাড়িভিটা বিধ্বস্ত হয়ে সর্বহারা। তাদের মধ্যে অনেকে বলেন, সরকার পুনর্বাসনের আশ্বাস দেয়ায় এত দিন তার অপেক্ষায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলাম। কিন্তু আজও পুনর্বাসনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলা হচ্ছে না। প্রশাসন থেকে এখনও সেই একইভাবে উপযুক্ত জায়গা খোঁজা এবং সরকার বরাদ্দ দিলে পরবর্তীতে পুনর্বাসন করার কথা বলা হচ্ছে। এখন সামান্য এই ত্রাণ দিয়ে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলে দেয়া হচ্ছে। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ও বিধ্বস্ত ভিটায়ও বাড়িঘর করতে দেয়া হচ্ছে না। জানি না, এ অবস্থায় কোথায় গিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু করে নেব।

Share This:

The post পুর্নবাসন নয় ত্রাণ নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে appeared first on সিএইচটি টুডে.

]]>
https://www.oldsite.chttoday.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%86/feed/ 0