সিএইচটি টুডে ডট কম,রাঙামাটি। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় এসে আমি আবারো পাহাড়ী-বাঙ্গালী সম্প্রীতির শান্তির পাহাড়ে বিপদের গন্ধ পাচ্ছি, বারুদের গন্ধ পাচ্ছি, রক্তের গন্ধ পাচ্ছি, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। আমার কেন জানি মনে হয়, পাহাড় অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য একটি মহল আবারো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের অপতৎপরতা শুরু করেছে।
যোগাযোগ মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
যোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, এ মহলটি পার্বত্য এলাকার সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করে চাঁদাবাজী করছে, সন্ত্রাস করছে। মহলটি পাহাড়ের শান্তিপূর্ন পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই এখানকার পাহাড়ী-বাঙ্গালী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তুলতে হবে।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মূছা মাতব্বর, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য নেতা মাহবুবুর রহমান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা চিংকিউ রোয়াজা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কে এম জসিম উদ্দিন বাবুল, রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনছুর আলী, রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমূখ।
যোগাযোগমন্ত্রী পার্বত্য জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক চিত্র বিগত বছর গুলোর তুলনায় অনেক ভাল হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, রাঙামাটির দূর্গম সাজেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হওয়ায় পার্বত্য এলাকারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পুরণ হয়েছে। আজ তারা অবাধে দূর্গম সাজেকে যাতাযাত করতে পারছে, যা এক সময় কল্পনা ও করা যেত না।
তিনি রাঙামাটিবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত নানিয়ারচর উপজেলার চেঙ্গী নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের কাজও সহসা শুরু হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। মত বিনিময়সভায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগসহ এর অংগ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।