সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ক্রীড়াই যুবকদের মাঝে ভ্রার্তৃত্ববোধ সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ৩৩৩নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তিনি বলেন, খেলা মানুষের সামাজিক বন্ধন সৃষ্টিতে যেমন সহায়ক ভুমিকা পালন করে তেমনি সুস্বাস্থ্যর অধিকারী হতে সাহায্য করে। এই বিদ্যালয়ের মাঠটি সংষ্কারের বিষয়ে তিনি তার পক্ষ থেকে সুদৃষ্টি রাখবেন বলেও প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেন।
আজ মঙ্গলবার রাঙামাটি শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাঝেরবস্তী যুব সংঘ আয়োজিত সৌখিন ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা স্বপন কিশোর চাকমা, শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী, ক্রীড়া শিক্ষক আবুল বাশার চৌধুরী, সাবেক পৌর মহিলা কমিশনার মনোয়ারা জসিম, বিশিষ্ট সমাজ উন্নয়ন কর্মী অমিত চাকমা রাজু, পুলক দে, উসাং মারমা এবং সুরঞ্জিত তালূকদার পাপ্প।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এই বিদ্যালয়ের মাঠটি থেকে অনেক জাতীয় দলের খেলোড়ার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু বিগত বছরে অনেক রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও সরকারী কর্মকর্তারা মাঠটি সংস্কারের প্রতিশ্র“তি দিলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। বক্তারা বিদ্যালয়ের মাঠটি দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে সংসদ সদস্যের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
ফাইনাল খেলায় শহরের গর্জনতলী হেমাবালা একাদশ বনাম বালুখালী ইউনাইটেড একাদশ মুখোমুখি হয়। খেলার প্রথমার্ধে দুই দলের ফলাফল শুন্য শুন্য থাকলেও দ্বিতৃয়ার্ধে বালুখালী ইউনাইটেড একাদশের ১৩নং জার্সি পরিহিত তপন চাকমার এক গোলে দলকে চ্যাম্পিয়ন দলে এগিয়ে নিয়ে যায়। পরিশেষে এক ঘন্টার এই খেলায় রেফারির শেষ বাশিঁটি বাজিয়ে বালুখালী ইউনাইটেড একাদশকে চ্যাম্পিয়ন দলে ঘোষিত করা হয়। প্রধান রেফারি হিসেবে খেলা পরিচালনা করে হাসমত আলী ও তার দুই সহকারী মুন্না আসাম ও জনি ত্রিপুরা।
পরে অতিথিবৃন্দরা বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন দল বালুখালী ইউনাইটেড ও রানার্সআপ হেমাবালা একাদশ দলের খেলোড়ারদের মাঝে ক্রেষ্ট ট্রফি বিতরণ করে।
খেলায় ৫ গোল করে কর্ণফুলী একাদশের খেলোড়ার আনন্দ তংচঙ্গ্যা শ্রেষ্ট গোল দাতার পুরষ্কারটি পান।
উল্লেখ, যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার প্রত্যয় নিয়ে গত মে মাসের ২৯ তারিখ হতে এ সৌখিন ফুটবল খেলাটির আয়োজন করে যুুব সংঘের রাজেশ দে, মুন্না আসাম, জনি ত্রিপুরাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা।