হিমেল চাকমা, অতিথি প্রতিবেদক,রাঙামাটি। পার্বত্য আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)। সংগঠনটি সৃষ্টির পর একাধিকবার ভাঙ্গনের কবলে পড়লেও টিকে আছে সুনামের সাথে। এই সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক মেধাবী নেতা থাকলেও গড়ে উঠেনি শক্তিশালী নারী নেতৃত্ব।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি নামে দুটি সহযোগী নারী সংগঠন থাকলেও নেতৃত্ব দেওয়ার মত নারী নেই। এবার বরকল উপজেলায় মণি চাকমাকে চেয়ারম্যান করার মাধ্যমে নারী নেতৃত্বের অভাব কিছুটা পুরণ করল জেএসএস। জেএসএসের সূত্র এর সত্যতা স্বীকার করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা, নারী উপজেলা চেয়ারম্যান চাই জেএসএস। এ জন্য প্রয়োজন বিপুল জনপ্রিয়তা। বেচে নেওয়া হয় বরকলকে। কারণ এটি জেএসএসের প্রাণ কেন্দ্র বলে পরিচিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনে এই উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার একাধিক কেন্দ্রে শূণ্য ভোট পাওয়ার নজির আছে। এই অবস্থায় নির্বাচন করলে জেএসএসের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। কিন্তু জেএসএসের পরিকল্পনা সাধারণ মানুষ জানে তো?
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, একাধিক সিনিয়র নেতা থাকতে নারী চেয়ারম্যান কেন? এই নিয়ে যেন নতুন বির্তকের জন্ম দেয় জেএসএস। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিধান চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ান দেওয়া হয় শুকন্তলাকে। প্রশ্ন, মণি পারবে তো বাঘা দুই প্রার্থী সন্তাষ কুমার চাকমা ও বিহারী রঞ্জনকে হারাতে? বরকলের মানুষের এই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দুর করতে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে বাধ্য করে জেএসএস কেন্দ্রীয় নেতাদের। মাঠে নেমেই বাজিমাত। জেএসএসের তিন প্রার্থী বাকী সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিপুল ভোটে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে নেয়।
এই বিষয়ে জেএসএস কেন্দ্রীয় নেতা ও আঞ্চলিক পরিষদেস সদস্য থৈম্রাচিং চৌধুরী বলেন, এটি কারোর একার সিদ্ধান্ত ছিল না। সংগঠনের সিদ্ধান্ত। দলে নারী নেতৃত্বের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। মুলত নারী নেতৃত্বকে আরো শক্তিশালী করার জন্য জেএসএস বরকলের সহজ জয়কে কঠিন করে নিয়েছে।