সিএইচটি টুডে ডট কম,রাঙামাটি। রাঙামটিতে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশসহ অন্তত ত্রিশ জন আহত হয়। সংঘর্ষে ৩টি মোটর সাইকেলসহ সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় সমাবেশ থেকে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এক পর্যায়ে জেলা পরিষদের কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এসময় ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে রাঙামাটি-চট্ট্রগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে সন্ধ্যায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শুক্রবার বিকেল চারটায় জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাঙামাটি পৌর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলাপ্রশাসকের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় তারা চট্টগ্রাম-রাঙামাটি প্রধান সড়ক যান চলাচল বন্ধ করে সমাবেশ শুরু করে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, সরকারী সম্পদ রক্ষা ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সমাবেশ চলাকালীন সমাবেশের একটি অংশ হঠাৎ পুলিশ ও এর আশে পাশের দোকানপাট ভাঙচুর ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাল্টা ধাওয়া করলে সমাবেশের কর্মীরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
এদিকে রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, ১৮দল কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছিল। মিছিল শেষে সমােেবশ চলাকালে হঠাৎ পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডাররা আক্রমণ করে। এতে বিএনপি’র ২৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তিনি জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে বলেন, আমাদের কোনো কর্মসূচি না থাকায় কর্মীরা মাঠে ছিলো না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৮দলীয় জোটের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুর শুরু করে। বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে সকালে জেলার কাউখালী উপজেলা শহরে বিএনপির মিছিলের উপর ঢিল মারাকে কেন্দ্র করে ১ পুলিশ সদস্য ৮ জন আহত হয়েছে।