সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ১৮ বছরে পর্দাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম জেলার তিনজন সফল কৃষককে সম্মাননা দিয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আয়োজিত কৃষক সম্মননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, দৈনিক অরন্যবার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান,খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়–য়া, সমাজকর্মী ইঞ্জিনিয়ার নির্মাণ কান্তি দাশ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,চ্যানেল আই খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি দীলিপ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে চ্যানেল আই বর্ষপূর্তিতে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জেলার বিশিষ্ট জনরা বলেন,বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে পাশে থেকে চ্যানেল আই ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা বলেন,দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আর কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে চ্যানেল আই দায়িত ¡পূর্ন অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করে চলেছে।
প্রধান অতিথি এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন,চ্যানেল আই বাংলাদেশের কৃষকদের নিয়ে ব্যতিক্রমী কাজ করছে। এতে দেশের কৃষক উপকৃত হচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, চ্যানেল আইয়ের তুলনা কেবল চ্যানেল আই হতে পারে। কেননা এ চ্যানেলটি শুধু নিউজ বা বিনোদন নির্ভর নয়,চ্যানেল আই দেশের কৃষি,সংস্কৃতি,ক্রীড়াসহ জনসচেতনামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
স্থানীয় জনপ্রিয় দৈনিক অরণ্যবার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান লোক লোকালয় অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ও উপস্থাপক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা বলেন,চ্যানেল আই কৃষকদের নিয়েও যে ঈদের ঈদ আনন্দ হতে পারে তার ধারণা দিচ্ছেন। চ্যানেল আই এক্ষেত্রে তার স্বকীয়তা রক্ষা করে চলেছে।
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জীতেন বড়–য়া বলেন,সংস্কৃতির বিকাশে চ্যানেল আই উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
চ্যানেল আইয়ের ১৮তম বর্ষে পদার্পন অনুষ্ঠানে এবছর খাগড়াছড়ি জেলা চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম জেলায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তিনজন কৃষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। সম্মাননা প্রাপ্ত তিন সফল কৃষক হলেন,জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়ার বাবুশ্যি মারমা। তিনি ২০০৩ সালে তেতুলতলা এলাকায় পাহাড়ি জমিতে বাগান সৃজন করে এক দশকের মধ্যেই সফলতা পেয়েছে। তিনি ১৯৮৯ সালে জেলায় সফল শাক সবজি চাষি হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। জেলা সদরের অপর সফল ফল বাগানি খবং পুড়িয়া এলাকার কৃষক সমাবর্তন দেওয়ান। তিনি ২০০৪ সালে বাগান সৃজন করে ফল উৎপাদন ছাড়াও উন্নত জাতের ফলের চারা কলম উৎপাদন করছে। এতে তার আয়ের পাশাপাশি এসব উন্নত জাতের ফলের চারাতে বাগান সম্প্রসারণের মাধ্যমে অনেকেই লাভবান হচ্ছে।
সম্মাননা প্রাপ্ত অপর কৃষক মো. হারুণ মিয়া প্রায় ৩০ বছর ধরে শালবন মোহাম্মদপুর এলাকার বর্গা জমিতে সবজি চাষি চাষ করে সফল হয়েছেন। জৈব সারের ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে তিনি বিষ মুক্ত সবজি চাষে বেশ সুনাম রয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করে জেলা শিল্পকলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে এখানে চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনের কেক কাটা হয়।