সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর শুরু করেছি। রায় কার্যকরের আগে থেকেই বিএনপি নেত্রী অস্থির হয়ে গেছেন। বিচার বন্ধ করার জন্য তারা ’৭১ সালের মতো মানুষ হত্যা করছে। রেলের ফিশপ্লেট তুলে আগুন দেওয়া হচ্ছে। পেট্রল ঢেলে মানুষ মারা হচ্ছে।’ যত চেষ্টা করুন যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। একটা রায় আমরা কার্যকর করেছি পর্যায়ক্রমে সব রায় কার্যকর করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, সরকার অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু তিনি আর নৈরাজ্য সহ্য করবেন না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করবেন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। নারী-শিশু হত্যা করবেন, ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা দিতে দেবেন না, আর আমরা বসে বসে সহ্য করব, তা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন, জনগণও জানে কীভাবে যুদ্ধে জয়ী হতে হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে করবই করব। এ যুদ্ধে বাংলার জনগণ জয়ী হবেই।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জামায়াতকে নিয়ে থাকতে চান, থাকেন। খুন-খারাবি করবেন না। এসবের জবাব কীভাবে দিতে হয়, তা আমরা জানি। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হতে পারবেন না।’
বিপুলসংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় অনেকগুলো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। যাঁরা আমাদের সঙ্গে সর্বদলীয় সরকারে আছে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা এ পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। যে কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। বিএনপি এলেও আমরা একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতাম।’
বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘আদালতে যা অবৈধ হয়েছে, এটাকে নিয়ে টানাটানি করা ঠিক হবে না। আমাদের একভাবে না-একভাবে শুরু করা উচিত। ৩৮ বছর বছর ধরে এ সমস্যা চলছে। এ জন্যই বিএনপি নেত্রীকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু তিনি জামায়াত ছাড়া নির্বাচন করবেন না।’
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন তোফায়েল আহম্মদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আবদুর রাজ্জাক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন প্রমুখ।