সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। দেশের প্রবীণ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। শনিবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৯ অক্টোবর তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তার ফুসফুসের অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই গিয়াস কামালকে আইসিইউতে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হয়।
বিএনপি পন্থী এই সাংবাদিক জীবনের শেস সময়ে এসে অবহেলা আর অনাদরে ছিলেন। কেউ তার তার খোজ খবর রাখেনি, কেউ তার পাশে এসে দাড়ায়নি অনেকটা অভিমান কষ্ট নিয়ে চলে গেছেন গিয়াস কামাল চৌধুরী। কেবল তাকে একবার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার চিকিৱসার খোজ খবর কেউ নেই। এক সময় ভয়েস অব আমেরিকায় খবর পাঠিয়ে যিনি দেশকে বিশ্বের কাছে তোলে ধরতে ধরতেন সেই মানুষটি নিরবে নির্ভৃতে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি গিয়াস কামাল চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ‘ঢাকা টাইমস’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং পরে ’দি মর্নিং নিউজ’এ যোগ দেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) যোগ দেন। তিনি ’ভয়েস অব আমেরিকা’ (ভিওএ)-এর ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন এবং ‘দৈনিক খবরপত্র’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। গিয়াস কামাল চৌধুরী ১৯৯২ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।
তিনি মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসন অন্দোলনে অংশ নিয়ে বহুবার কারাবরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন যা তার স্মৃতিশক্তি ও স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ফেনী জেলার সদর উপজেলার শর্শদিতে ১৯৩৯ সালের ২১ জুলাই গিয়াস কামাল চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
আমরা সিএইচটি টুডে ডট কম পরিবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি গিয়াস কামাল চৌধুরীর মুত্যৃতে গভীরভাবে শোকাহত।