সিএইচটি টুডে ডট কম,খাগড়াছড়ি। আনুষ্ঠানিক সম্মেলনের দুই বছর পর বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ।
বিগত ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরের উপস্থিতি সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং সাঃ সম্পাদক পদে মোঃ জাহেদুল আলম নির্বাচিত হন।
বাকী পদগুলো সমন্বয় করে পুরণের দায়িত্ব দিয়ে সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি ত্যাগ করেন। এর প্রায় এক বছর পর জেলা আওয়ামীলীগের বয়োজেষ্ঠ্য নেতারা পূর্নাঙ্গ কমিটি জমাদানের আরো এক বছর পর কেন্দ্রের অনুমোদন মিললো।
কমিটির অনুমোদন না থাকার সময়ে অধিকাংশ জেলা নেতাকে দলীয় কার্যক্রমে অনুপস্থিতির পাশাপাশি জেলাতেও দেখা যায়নি। আবার অনেক নেতাকে দেখা গেছে, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে একচ্ছত্র টেন্ডারবাজি এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে ব্যস্থ থাকতে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক মোঃ জাহেদুল আলম জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় সাঃ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অনুমোদিত কমিটির তালিকা এরই মধ্যে খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছেছে।
এদিকে কমিটি অনুমোদনের সংবাদ পেয়ে জেলা আওয়ামীলীগের নবাগত তরুণ নেতা এবং তৃণমুল কর্মীদের মাছে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
অনুমোদিত কমিটির নয় সহ-সভাপতির মধ্যে যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, বীর কিশোর চাকমা অটল, কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, চাইথোঅং মারমা, এড. মহিউদ্দীন কবীর বাবু, মনির হোসেন খান, ¤্রাগ্য মারমা, কংজরী চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা।
তিন যুগ্ম-সম্পাদক পদে আছেন যথাক্রমে এস এম শফি, নির্মলেন্দু চৌধুরী ও সাবেক পৌর মেয়র মংক্যচিং চৌধুরী।
তিন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন এড. আশুতোষ চাকমা, সত্যজিৎ চৌধুরী ও মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ জব্বার।
আর অর্থ সম্পাদক পদে আছেন, খাগড়াছড়ি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী।
কমিটি অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাহার মিয়া বলেন, এতোদিন জেলা কমিটি না থাকায় জেলার দু’একজন ছাড়া কেউ-ই সুখে-দুঃখে উপজেলা-ইউনিয়নসহ তৃণমুলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতেন না। এখন সে সংকট থাকবে না।
মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক রতন শীল বলেন, একটি চ্যােিলঞ্জিং সংসদ নির্বাচন অতিক্রান্ত হয়েছে অনেকটা কমিটি ছাড়াই।
মানিকছড়ি’র আওয়ামীলীগ কর্মী মোঃ হালিম বলেন, কমিটির অনুমোদনের অজুহাতে অধিকাংশ জেলা নেতা বিগত নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। কমিটি অনুমোদনের পর যেনো তাঁরা সক্রিয় হোন, এটাই আশা।
তবে কমিটি অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় জেলা সভাপতি ও এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, অনুমোদনের বিলম্ব সারাদেশের বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রেই ঘটেছে। কমিটি’র অনুমোদন না থাকায় দলের কাজের চেয়ে অন্য কাজেই সুযোগ সন্ধানীরা সক্রিয় ছিলো। এখন কমিটির অনুমোদন হয়েছে বিধায় সংশ্লিষ্ট সবার দায়-দায়িত্ব বেড়েছে।