ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ/ তোর সোনাদানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ/ দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ/ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে/ যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ/ ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ… কাল বৃহস্পতিবার ঈদ। সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
পবিত্র কোরআন নাজিল ও মাগফিরাতের মাস রমজান শেষে ঈদের চাঁদ দেখামাত্র ছোট-বড়, ধনী-গরিব প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে বইবে আনন্দের ঝরনাধারা। ঈদের দিন সকালে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় শেষে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। কোলাকুলি আর ফিরনি সেমাই খাওয়ার ধুম থেকে বাদ যাবে না কেউই।
ইতোমধ্যে সবাই ঈদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন। কিনেছেন জামাকাপড়সহ পছন্দের নানা জিনিস। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন। পাশাপাশি ঈদ কার্ডে মনের কথা লিখে প্রিয়জনকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই।
প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মদিনাতে হিজরতের অব্যবহিত পরই সংযম আর আনন্দের প্রতীক পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উৎসব শুরু হয়। সৃষ্টি হয় সংযম আর সম্প্রীতির বৈষম্যমুক্ত এক নতুন মূল্যবোধের। প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘চাঁদ দেখে রোজা পালন এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করবে। চান্দ্র মাস ২৯ দিনে হয়, আবার ৩০ দিনেও হয়। যদি আকাশে মেঘ থাকায় চাঁদ দেখা না যায়, তবে ৩০ দিনের গণনা পূর্ণ করবে।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর পার্বত্য এলাকার জন্য একটু ভিন্ন আঙ্গিকের, এখানে রয়েছে মুসলমানদের পাশাপাশি ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি সত্বার বসবাস। বৈসাবি আর ঈদ এখানকার পাহাড়ী বাঙ্গালীরা জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলে এক সাথে পালন করে। সকল ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের বাসায় সেমাই, পোলাও রুটিসহ যে যার সাধ্যমতে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকলের মাঝে নিয়ে আসুক সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি। পবিত্র ঈদুল ফিতর হোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অটুট বন্ধন। সবাইকে পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন সিএইচটি টুডে ডট কম পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। “ঈদ মোবারক”।