শিরোনামঃ

টেন্ডার বাতিল করার দাবী সাধারন ঠিকাদারদের

রাঙামাটিতে সর্বদলীয় রাজনৈতিক সমঝোতায় পিডিবির ৫ কোটির টাকার কাজ ভাগিয়ে নিল সিন্ডিকেট চক্র

সিএইচটি টুডে ডট ,রাঙামাটি। রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের প্রায় ৫ কোটি টাকার কাজ সর্বদলীয় রাজনৈতিক সমঝোতায় একটি সিন্ডিকেট চক্র ভাগিয়ে PDBনেয়ার অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডারবাজিতে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বিএনপি ও জেএসএস সমর্থিত ঠিকাদাররা ছিল। সমঝোতার কারনে সরকার হারিয়েছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ন্ত্রধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যু বিতরন প্রকল্পের আওতায় ২টি নোটিশে ৪০টি প্যাকেজের বিপরীতে প্রায় ৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে সিডিউল বিক্রি করার শেষ সময় ছিল গত বুধবার এবং টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলায়মান চৌধুরী, যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি শাহ এমরান রোকন, সাধারন সম্পাদক সাইদুল হকসহ বিএনপি ও জেএসএস সমর্থিত ঠিকারদারদের বুধবার রাতে সমঝোতা বৈঠক করেন। প্রায় ৫৫ লাখ টাকা সমঝোতা হয়। জানা গেছে ৪০টি কাজের মধ্যে সমঝোতায় বিএনপিকে ৫, জেএসএস ৫ এবং আওয়ামীলীগে ৩০টি কাজ ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। সমঝোতার কারনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেন্ডার জমাদান পর্যন্ত যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি এবং জেএসএস সমর্থিত ক্যাডাররা সকাল থেকে টেন্ডার বাক্স পাহাড়া দেয় এবং সমঝোতাকারীরা ছাড়া অন্য কাউকে টেন্ডার ড্রপ করতে দেয়নি।

বিএনপির পক্ষ থেকে টেন্ডারে মামুন, নুরন্নবী অংশগ্রহন করে। জেএসএস সমর্থিত ঠিকাদারদের নাম  জানা যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের ডিভিশন ১ এর আওতায় ২২টি প্যাকেজে ৯৬টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে এবং ৫৭টি জমা পড়েছে। এখানে ২২টি প্যাকেজের বিপরীতে বরাদ্দ রয়েছে ৩কোটি ১৬ লাখ টাকা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের ডিভিশন ২ এর আওয়তায় ১৮টি প্যাকেজের বিপরীতে ৯০টি সিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে ৩২টি সিডিউল।
ঠিকাদারী সিন্ডিকেট চক্র টেন্ডার কাজ যেন হাত ছাড়া না হয় সে কারনে স্কীমের বিপরীতে ২/৩টি করে সিডিউল জমা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলায়মান চৌধুরীকে কয়েক দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী জানান, টেন্ডারে অংশ নিলে নানা বির্তক হয় বলে তিনি টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন না। তবে টেন্ডার সমঝোতার মাধ্যমে হলে কারো সমস্যার কথা না দাবী করে তিনি  আরো  বলেন কোন ঠিকাদারের আপত্তি থাকলে তিনি লিখিত অভিযোগ তো করতে পারেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুতায়ন প্রকল্প পরিচালক অতিক্রম চাকমা টেন্ডার প্রকিয়া নিয়ে জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়ার সময় বাইরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ছিল। আমাদের বাউন্ডারীর মধ্যে কোন অনিয়ম হয়নি বাইরে কি হয়েছে সেটা আমাদের জানার বিষয় না। সিডিউল বিক্রিও হয়েছে জমাও পড়েছে।
২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়। প্রকল্পের শুরু থেকে একটি ঠিকাদারী সিন্ডিকেট চক্র টেন্ডার আহবান করা হলেই সমঝোতার মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয় অন্যদিকে সরকার হারায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
সাধারন ঠিকাদাররা সিন্ডিকেটের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না, তবে তারা ৫কোটি টাকার টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করার দাবী জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 527 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen