সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স এবং অনলাইনে মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মিলন মেলা ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। “ ব্যস্ত জীবনে অবকাশের একদিন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার দিন ব্যাপী বার্ষিক মিলন মেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পরিবার ও স্বজন অংশ গ্রহন করেন।
রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থাকলেও সম্মিলিতভাবে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহায়তার হাত প্রসারিত করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
রাঙামাটির বালুখালীর কৃষি হর্টিকালচারে বার্ষিক মিলন মেলা ও বনভোজনের অতিথি হিসেবে যোগ দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য রেম লিয়ানা পাংখোয়া, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, অমিত চাকমা রাজু ও স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল আল হক, রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারন সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোলায়মান, সাধারন সম্পাদক হিমেল চাকমাসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক বনভোজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের মধ্যে কাজের মিল হচ্ছে সমাজ সেবা। তাই রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবদিকদের মধ্যে পরষ্পরকে আরও সেতুবন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় ব্যস্ত সময় পার করে, তাদের লিখনির মাধ্যমে দেশ জাতি ও সরকার অনেক কিছু জানতে পারে তাই তিনি সাংবাদিকদের প্রতি সত্য নিষ্ঠ গঠনমুলক সংবাদ পরিবেশন করার অনুরোধ জানান।
এদিকে র্যফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পরিবার ও তাদের আত্বীয় স্বজনরা সারাদিন আনন্দে মেতেছিল।
সারাদিন কর্মব্যস্ততার কারনে যেখানে সংবাদকর্মীরা আনন্দ বা বিনোদন উপভোগ করার সময় পান না সেখানে এই আনন্দ আয়োজন খানিকটা ক্লান্তি দুর করে একটু শীতলতা বা আনন্দ বয়ে নিয়ে এসেছে সংবাদকর্মীদের পরিবারের মাঝে।