সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকা ৩টি দেশের জাতীয় সংগীত লিখেছেন। যার লেখা জাতীয় সংগীত স্ব-স্ব দেশে আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে গেয়ে যাই। পৃথিবীতে আর কোন কবি নেই যিনি ৩টি দেশের জাতীয় সংগীত লিখেছেন। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তার কর্মগুনেই পৃথিবীর মানুষ সবসময়ই স্মরণ করে যাবে কারন রবীন্দ্রনাথ আমাদের অনেক কিছুই দিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে চিরন্তন তিনি আমাদের জীবনের সাথে মিশে আছেন। আমাদের উচিৎ রবীন্দ্রনাথকে জানা এবং তার রেখে যাওয়া অফুরন্ত জ্ঞানভান্ডার থেকে কিছু জ্ঞান সঞ্চয় করে তা চলার পথে কাজে লাগানো উচিৎ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫শে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি সরকারী বিশ্ব-বিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জামাল আহমেদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে এ বিষয় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাঙামাটি সরকারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিপম চাকমা ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিশ্ব-কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসংখ্য গান লিখেছেন যে কারনে রবীন্দ্র সংগীত আমাদের বাংলা সংগীত ভান্ডারে অমূল্য সম্পদ। এগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে,চর্চা করতে হবে। তাহলেই আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আমরা যেন শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা ভুলে না যাই তা খেয়াল রাখতে হবে, রবীন্দ্রসংগীত চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের শুদ্ধ সংস্কৃতি বিকশিত হবে। তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ তার লেখনির মধ্য দিয়ে যা রেখে গেছেন তা আমাদের জানতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে ও তা জানতে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনাসভা শেষে যেমন খুশি তেমন সাজোঁ, কবিতা আবৃতি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিযোগীদের পুরস্কার বিতরন করা হয়। পরে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন মনোজ বাহাদুর, স্বপন দাশ, শিমুল দাশ, অনামিকা দে, সাবিত্রী চক্রবর্তী, কবিতা আবৃতি করেন মণিষা বড়–য়া।