সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ও প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাইং,বৈসুক, বিষু, বিহু উপলক্ষে রাঙামাটিতে ৯
এপ্রিল থেকে চার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে উদযাপপন কমিটি।
“আদিবাসী জুম্ম সংস্কৃতি বিকাশে ও ঐতিহ্য সংরক্ষনে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিজু, সাংগ্রাইং,বৈসুক, বিষু, বিহু উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ৯ এপ্রিল পৌর সভা প্রাঙ্গন থেকে রাঙামাটি স্টেডিয়াম পর্ষন্ত বর্নাঢ্য শোভা যাত্রা বের করা হবে। এছাড়া ওই দিনে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আয়োজন ছাড়াও রাঙামাটি স্টেডিয়ামে আদিবাসী জুম পিঠা,পোষাক,বই, আলোক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল আদিবাসী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনূষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নাদেং খেলা, ঘিলা খেলা, পুত্তি খেলা, গুদু খেলা, বয়োজ্যেষ্ঠদের সন্মাননা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ১১ এপ্রিল আদিবাসী জুম্ম খেলাধুলা রয়েছে। এর মধ্যে বৈদ্যদের তন্ত্র-মন্ত্র প্রদর্শনী, বলি খেলা এবং পুরুস্কার বিতরণী আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ এপ্রিল রাজ বন বিহার পূর্বঘাট এলাকায় ফুল ভাসানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এসব বর্নাঢ্য র্যালী ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)। প্রধান অতিথি থাকবেন চাকমা সার্কেল চীয় ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিথ থাকবেন সাংসদ উষাতন তালুকদার, পার্বত্য নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মানিক লাল দেওয়ান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জগৎজ্যোতি চাকমা। আদি ও স্থায়ী বাঙালী কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলম। সভার সভাপতিত্ব করবেন উৎসব বিজু, সাংগ্রাইং,বৈসুক, বিষু, বিহু-এর উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী পাহাড়ি জাতিসত্তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু। উৎসবটির উচ্চারনগতভাবে বিভিন্ন নামের পালন করলেও এর নিবেদন কিন্তু একই। তাই এ উৎসবটি আদিবাসী পাহাড়িদের শুধু আনন্দের নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে তিন দিন ব্যাপী এই উৎসব শুরু হবে।