সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। “আত্মরক্ষার কৌশল আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজে চলছে কারাতে প্রশিক্ষণ আর এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে বেসরকারী একটি এনজিওর অর্থায়নে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সরকারি মহিলা কলেজের ৩০ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছে এই কারাতে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণটি পেয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আগ্রহ ও উদ্দীপনার প্রকাশ পেয়েছে। আর ত্রিশজনের জন্য কোর্সের বরাদ্ধ থাকলে ও প্রতিদিন বিকেলে হাজির হচ্ছে কলেজের প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট জন প্রশিক্ষনার্থী । বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে এই কারাতে প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণ নেয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী থুইনু প্রু র্মামা বলেন, আমি বান্দরবানের থানচি উপজেলা থেকে গত বছর এই কলেজে র্ভতি হয়েছি । আমরাদের মেয়েদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূণ এই কারাতে প্রশিক্ষণ। আমি এই প্রশিক্ষণ নিতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি। দ্বাদশ শ্রেণির তামান্না আক্তার বলেন, আমাদের মেয়েদের কোন নিরাপত্তা নেই। আমাদের নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি। মরতোজা হামিদ নামে এক প্রশিক্ষানার্থী বলেন, আমরা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে রক্ষার কৌশল সর্ম্পকে জানতে পারছি। যেকোন সময় নিজের আত্মরক্ষাতে আমরা আমাদের এই প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো বলে আশা করছি ।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মেসিংহ্লা বলেন , একটা সময় আমরা স্কুল বা কলেজে আসলে আমাদের মা বাবার চিন্তা কোন শেষ থাকতো না। আমি মনে করি আমাদের এই প্রশিক্ষণের কারণে আমরা নিজের সকল বিপদে মোকাবেলা করতে পারবো। মেয়েদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করছে কারাতে ওস্তাদ ব্ল্যাক বেল্টধারী উক্যহ্লা মারমা। প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সর্ম্পকে জানতে চাইলে প্রশিক্ষক উক্যহ্লা মারমা বলেন, কারাতে একটি আঘাতের কৌশল যেটি ঘুষি,লাথি,হাঁটু এবং কনুইয়ের আঘাত ও মুক্তহস্ত কৌশল যেমন ছুরিহস্ত ব্যবহার করে । কিছু স্টাইলে আকঁড়ে ধরা,আবদ্ধ করা,বাঁধা,আছাড় এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আঘাত শেখানো হয় এই প্রশিক্ষণে। যারা কারাতে অনুশীলন করে তাদের কে কারাতেকা বলা হয়।
কারাতে প্রশিক্ষণ বিষয়ে বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়–য়া বলেন,মেয়েদের জন্য এটি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ বলে আমি মনে করি।এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি মেয়ে নিজেকে নিজে আত্মরক্ষার প্রাথমিক কৌশল শিখার পাশাপাশি শারিরীকভাবে সুস্থ থাকবে বলে আমি মনে করি।